Tag Archives: Lakshmi Puja 2024

Lakshmi Puja: অভিনব উদযাপন! দশদিন ধরে হয় লক্ষ্মীপুজো! উৎসবে মাতেন অসংখ্য গ্রামবাসী

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ বীরভূম সীমান্তের গ্রাম রামনগরে ১৯ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী লক্ষ্মী। তবে এই গ্রামে কোনও দুর্গাপুজো না হওয়ার কারণে প্রচলন হয়েছিল লক্ষ্মীপুজোর। যা চলে আসছে আজও । ফলে ১০দিন ধরে উৎসব চলে গ্রামে। দুর্গাপুজোর পরেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোতে ১০ দিন ধরে চলে মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ময়ূরাক্ষী নদী থেকে ঘট ভরে নিয়ে এসে, ভোর পর্যন্ত চলে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা ।

আরও পড়ুন : এ বছর দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো কবে? পুজোর শুভ মুহূর্ত কখন? জানুন পঞ্জিকা কী বলছে

এই বছর লক্ষ্মীপুজোতে একাধিক থিমের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য আনন্দ দিতে আকর্ষণীয় শো-য়ের আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামবাসী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ২০০৫ সালে সূচনা করা হয়েছিল এই লক্ষ্মীপুজোর। যা আজও মহাসমারহে চলে আসছে রামনগর গ্রামে, এই লক্ষ্মী পুজা আর এই পুজো ঘিরেই গ্রামে বসে আট দিনের মেলা । লক্ষ্মী পুজোতেই গ্রামের সব পরিবারে থাকে সকল ধরনের আয়োজন। এই বছর থিমের আকারে দেবী ধনলক্ষ্মীর আরাধনায় ব্রত হয়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা।

Lakshmi Puja 2024: কেদার-বদ্রীর মাটি দিয়ে তৈরি ধনদেবী, রয়েছে মন্দাকিনীর জল, জানেন কোথায়?

পুরুলিয়া : ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে শিক্ষক শিক্ষিকার ভূমিকা অপরিসীম। সমাজ গড়ার কাণ্ডারি হন শিক্ষকেরা। আর জেলা পুরুলিয়ার এমনই একজন সমাজ গড়ার কাণ্ডারির হাতে তৈরি হচ্ছে ধনদেবী। পেশায় শিক্ষক হলেও মনে-প্রাণে তিনি একজন শিল্পী। পুরুলিয়া শহরের রাচি রোড বাই লেনের বাসিন্দা শিক্ষক শংকর মুখোপাধ্যায়। মফস্বলের বেলকুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক তিনি। নিজের শিল্পী সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে বিগত ১৮ বছর ধরে নিজের হাতে তৈরি করছেন লক্ষ্মী প্রতিমা।

আর তাঁর হাতের জাদুতে অপরূপ সাজে সেজে ওঠে ধনদেবী যা দেখে রীতিমত তাক লেগে যায়। ‌এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দেড় ফুটের লক্ষ্মী মূর্তি বানিয়েছেন শিক্ষক তথা শিল্পী শংকর মুখোপাধ্যায়। তাই ১৩ রকমের মাটি দিয়ে তিনি তৈরি করেছেন এই মূর্তি। ‌এবং এর সাজ  জন্য ব্যবহৃত হয়েছে পাট ও থার্মোকল।

আরও পড়ুন: কেন অটোতে ৪টি ‘চাকা’ নেই বলুন তো…? আপনি জানেন উত্তর? ‘আসল’ কারণ চমকে দেবে, গ্যারান্টি!

দূষণমুক্ত পরিবেশ করার বার্তা রয়েছে তার প্রতিমার মধ্যে দিয়ে। ‌এ বিষয়ে শিক্ষক তথা শিল্পী শংকর মুখোপাধ্যায় বলেন , ছোটবেলা থেকেই তার মৃৎশিল্পের প্রতি অগাধ ভালোবাসা রয়েছে।‌ তিনি দুর্গা প্রতিমার মতই ১৩ রকমের মাটি দিয়ে লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি করেন। এই মাটির মধ্যে কেদারনাথ, বদ্রীনাথেরও মাটি রয়েছে আর রয়েছে মন্দাকিনীর জল। তিনি সব রকম ভাবেই এই প্রতিমা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।

এই মাটি যাতে কোনওভাবেই নষ্ট না হয় সেই কারণে তিনি তার বাড়ির টবে এই প্রতিমা বিসর্জন করেন এবং পরের বছর সেই টব থেকেই মাটি নিয়ে পুনরায় প্রতিমা তৈরি করেন। শিক্ষকের নিপুন হাতের এই শিল্পকলা শহর ছাড়িয়ে গোটা জেলা জুড়ে যথেষ্টই সাড়াফেলেছে। প্রতিবছর দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে ছুটে আসেন এই মূর্তি দেখতে। ‌

শমিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়

Jhargram News: লক্ষ্মীপুজোর জিলিপির টানে ভিড় জমান পর্যটকরা, কি রয়েছে এই জিলিপিতে?

ঝাড়গ্রাম : পাঁচ থেকে ছয় জন কারিগর একনাগাড়ে তৈরি করে চলেছে মুখরোচক সুস্বাদু জিলিপি। লক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র করে জিলিপির মেলায় মেতে ওঠেন এলাকার মানুষজন। এক-দুই কুইন্টাল নয় প্রায় ১৬০০ কুইন্টাল জিলিপি বিক্রি হয় লক্ষ্মীপুজোর এই জিলিপির মেলায়। মেলার মধ্যে সমস্ত প্রকারের দোকান একাধিক থাকলেও জিলিপির দোকান থাকে মাত্র একটি। তাও আবার নিলামে নিতে হয় জিলিপির দোকান। ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার বিনিময়ে বরাত পেয়েছেন জিলিপি এই দোকানের এক গ্রামবাসী। যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে চলছে জিলিপি তৈরি। লুটপাট এর মত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কেজি কেজি জিলিপি।

ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের হাড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়দা গ্রামে ১৬২ বছর ধরে চলে আসছে লক্ষ্মীপুজো। এখানে কেবল লক্ষ্মী নয় লক্ষ্মীর পাশাপাশি বিষ্ণুপুরাণ অনুযায়ী বিষ্ণুর দুই স্ত্রী হওয়ায় সরস্বতীরও আরাধনা করা হয়। পাঁচ দিন ধরে পুজো চলে আর এই পুজোকে কেন্দ্র করে মেতে থাকেন গ্রামবাসীরা। আর বিশেষ আকর্ষণ থাকে এখানকার জিলিপি।

চালের গুড়ি, বিরি গুড়ি দিয়ে তৈরি হয় এই জিলিপি। ১৫ থেকে ২০ দিন বাড়িতে রেখে খেলেও নষ্ট হয় না লক্ষ্মী পুজোর এই জিলিপি। জিলিপির টানে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকেও বহু মানুষ জিলিপির টানে এখানে আসে। দোকানের বরাত যত টাকাই নেওয়া হোক না কেন জিলিপির দাম কিন্তু ১০০ টাকা প্রতি কেজি থাকে প্রতিবারেই। দোকানদার তার ইচ্ছে মতদাম ঠিক করতে পারে না লক্ষ্মীপুজোর কমিটি দাম ঠিক করে দেয়।

এবছর লক্ষ্মীপুজোয় জিলিপির দোকানের বরাত পেয়েছেন হাড়দা গ্রামের বাসিন্দা বীরেশ্বর মন্ডল। বীরেশ্বর বলেন,”লক্ষ্মীপুজোর সময় একমাত্র এই জিলিপি পাওয়া যায়, অন্যান্য সময় এই ধরনের জিলিপি পাওয়া যায় না। চালের গুড়ি, বিরি গুড়ি দিয়ে এই জিলিপি তৈরি করা হয়। ১৫ থেকে ২০ দিন বাড়িতে রেখে খেলোও জিলিপি টাটকা থাকে। এই বছর আমি দু’লক্ষ ৯০ হাজার টাকায় জিলিপির দোকানের বরাত পেয়েছি। প্রায় ১৬০০ কুইন্টাল এরও বেশি জিলেপি বিক্রি হবে”।

আরও পড়ুনঃ Lakshmi Puja 2024: এই গ্রামে লক্ষ্মী পুজোই প্রধান উৎসব! জাঁকজমক দেখলে অবাক হবেন

গত বছর যিনি বরাত নিয়েছিলেন তিনি পাঁচজন কারিগর নিযুক্ত করেছিলেন এবার আমি আর একজন বাড়িয়েছি। বিভিন্ন জায়গার মানুষের পাশাপাশি এখানে যে সমস্ত বাসিন্দারা রয়েছে তারা এই জিলিপি তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদেরও পাঠায়। শারদউৎসবের চেয়েও বড় উৎসব লক্ষ্মীপুজো হাড়দা গ্রামের প্রায় ৫০০ টি সাহা ও মন্ডল পরিবারের। আর এই লক্ষ্মীপুজোয় মেতে ওঠে এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি দূর দূরান্তের বহু মানুষ। জিলিপির টানে ঝাড়গ্রাম বেড়াতে আসা পর্যটকরাও পৌঁছে যায় হাড়দার এই লক্ষ্মীপুজোয় ।

বুদ্ধদেব বেরা

Lakshmi Puja 2024: এই গ্রামে লক্ষ্মী পুজোই প্রধান উৎসব! জাঁকজমক দেখলে অবাক হবেন

হুগলি: গোঘাটের প্রত্যন্ত গ্রাম বেঙাই। এই গ্রামে হয় না কোনও দুর্গা পুজো। এখানকার মূল উৎসব লক্ষ্মী পুজো। গত ১৬০ বছর ধরে সমৃদ্ধির দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষ। প্রথমে মাটির মন্দিরে দেবীর পুজো হতো। এখন গ্রামে গড়ে উঠেছে দেবীর স্থায়ী মন্দির। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, লক্ষ্মীদেবীর কৃপায় তাঁরা সাবলম্বী হয়েছেন। ধন-সম্পত্তি বেড়েছে। তাই দুর্গা পুজো নয় লক্ষ্মী পুজোর জন্য তাঁদের বছর ভরের অপেক্ষা চলে।

কর্ম সূত্রে যাঁরা বাড়ির বাইরে থাকেন তাঁরা এই সময় ঘরে ফেরেন। বাড়ির মেয়েরাও শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপেরবাড়ি আসেন। গোটা গ্রাম মেতে ওঠে সমৃদ্ধির দেবীর আরাধনায়। পুজো উপলক্ষে গ্রামে বসেছে মেলা। প্রতিটি বাড়িতে আসে আত্মীয়-স্বজন। রাতভর চলে দেবীর আরাধনা। আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষ এই পুজোয় শামিল হন। দিনদিন আড়ম্বর বাড়ছে এই পুজোর।

আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: ‘খেলাটা ছাড়বে কবে?’ দেশের এক নম্বর তারকাকে বিরাট প্রশ্ন! ভারত ৪৬-এ শেষ হতেই হইচই

একেবারে দুর্গাপুজোর মতন করেই হয় লক্ষ্মী পুজোর আরাধনা। পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষজন। পাঁচ দিন ধরে বসে মেলা। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর এমন ধুমধাম করে পালিত হতে আর অন্য কোথাও দেখা যায় না, এমনটাই বলছেন গ্রামের মানুষরা। মূলত ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে তারা আরাধনা করেন কারণ গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কৃষক। যাতে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা হয় তাদের জমি এবং তাতে যাতে সোনার ধান ফলে সেই আশাতেই লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষজন।

রাহী হালদার

Lakshmi Puja 2024: হাওড়ার জোড়া লক্ষীগ্রামে থিমের হিড়িক! খালনা ও জোকা সরগরম কোজাগোরীতে

কোজাগরি লক্ষ্মী পুজোয় থিমের উৎসবে মেতেছে হাওড়া খালনা এবং জোকা গ্রাম।
কোজাগরি লক্ষ্মী পুজোয় থিমের উৎসবে মেতেছে হাওড়া খালনা এবং জোকা গ্রাম।
 লক্ষ্মীপুজো মানেই গ্রামে খুশির জোয়ার। সর্বত্রই আলো ঝলমলে উৎসবের বাহার। প্রতি বছর লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।
লক্ষ্মীপুজো মানেই গ্রামে খুশির জোয়ার। সর্বত্রই আলো ঝলমলে উৎসবের বাহার। প্রতি বছর লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো হলেও এই গ্রাম ব্যতিক্রম। এখানে দুর্গাপুজোর আগে থেকেই লক্ষ্মী পুজোর প্রস্তুতি, দুর্গাপুজোর শেষ হলেই লক্ষ্মী পুজোর উৎসবে মাতে মানুষ।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো হলেও এই গ্রাম ব্যতিক্রম। এখানে দুর্গাপুজোর আগে থেকেই লক্ষ্মী পুজোর প্রস্তুতি, দুর্গাপুজোর শেষ হলেই লক্ষ্মী পুজোর উৎসবে মাতে মানুষ।
গত কয়েক বছর পুজোর বাজেট বেড়ে এখানে আরও আকর্ষণীয় মণ্ডপ ও প্রতিমা। পুজো উপলক্ষে কয়েক দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান।
গত কয়েক বছর পুজোর বাজেট বেড়ে এখানে আরও আকর্ষণীয় মণ্ডপ ও প্রতিমা। পুজো উপলক্ষে কয়েক দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান।
সারা বছর এখানের মানুষ লক্ষ্মী পুজোর অপেক্ষায় দিন গণে। প্রতি বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ভরে ওঠে। পুজোর দুই দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী হাজির হয়।
সারা বছর এখানের মানুষ লক্ষ্মী পুজোর অপেক্ষায় দিন গণে। প্রতি বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ভরে ওঠে। পুজোর দুই দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী হাজির হয়।

Lakshmi Puja 2024: দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে পূজিত হন আরও ১০ দেব-দেবী! ৫ দিন ধরে চলে এই পুজো, রায়বাড়ির পুজোর ইতিহাস

মালদহ: পাঁচদিন ধরে চলে কোজাগরী লক্ষীপুজো। রীতি মেনে লক্ষ্মী ছাড়াও একাধিক দেব দেবীর মূর্তি পূজিত হন এখানে। এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয় মালদহ শহরের কোঠাবাড়ি রায় পরিবারে। এ বছর রায় পরিবারের পুজো ৮৫ বছরে পড়ল। নিয়ম মেনে পুজোর আগের দিন স্থানীয় তিনশো বিশ মোড়ে মেলার আসর বসে। পুজোর প্রথমদিন রাতভর অনুষ্ঠিত হয় লক্ষীপুজো। পাঁচদিনের এই লক্ষীপুজো হয় পুরানো ঠাকুর দালানে। আজও নিয়ম নিষ্ঠা মেনে পুজো করে আসছেন বর্তমান প্রজন্ম। এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হল একটি চালির মধ্যেই দেবীলক্ষী-সহ অন্যান্য দেব দেবীদের বসানো হয়।

মাঝে থাকেন দেবী লক্ষ্মী। সকলের উপরে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। লক্ষ্মী দেবীর মাথার ওপরে দুই পাশে রাম ও লক্ষণ । ডানদিকে গণেশ লক্ষ্মী বাঁদিকে থাকেন সরস্বতী কার্তিক। পাঁচ দিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হওয়ার পর মহানন্দা নদীতে নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হয় সদরঘাটে। সেদিন সদরঘাটে মেলা হয়। সদরঘাট থেকে নৌকায় আবার কোঠাবাড়ি ঘাটে নিয়ে এসে দেবী লক্ষ্মীর বিসর্জন হয়। পরিবারের বর্তমান সদস্য বিশ্বনাথ রায় বলেন, আমার বাবা এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। লক্ষ্মী ছাড়াও এখানে আরও দশ দেবদেবীর পুজো করা হয় একই চালিতে। সেই নিয়ম মেনে এখনও পুজো দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ গোটা গ্রাম জুড়ে অতিথি আসা বন্ধ! বিয়ে হচ্ছে না কোনও মেয়ের! কারণ শুনলে চমকে উঠবেন

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষিতীশ চন্দ্র রায় এই পুজো শুরু করেছিলেন। প্রথম থেকেই পরিবারের কুল দেব-দেবীদের লক্ষ্মী দেবীর মূর্তির সঙ্গে স্থান দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পুজিত হন তাঁরা। সেই রীতি আজও বহাল। বর্তমানে শুধুমাত্র পুজো মেলায় অনুষ্ঠিত হয়। তবে এক সময় এই পুজোকে ঘিরে গম্ভীরা বাউল গানের আসর বসত পাঁচদিন ধরে চলত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শহরের গোটা বাড়ি এলাকায় বর্তমানে জায়গা অনেক কমে গিয়েছে, ঘিঞ্জি পরিবেশ তাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর সম্ভব হয় না। তবে নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে এই লক্ষ্মীপুজো।

হরষিত সিংহ

Lakshmi Puja 2024: কোজাগরীতেই থিমের ছোঁয়া! সদিয়ালে লক্ষীপুজোর মন্ডপ রাঁচির মাইথন ম্যারেজ হাউস

মথুরাপুর: মথুরাপুরের সদিয়ালে লক্ষীপুজোতে থিম রাঁচির মাইথন ম্যারেজ হাউস। এই গ্রামে মা দুর্গা নয়, লক্ষ্মীর আরাধনাই এই গ্রামের প্রধান উৎসব। আট থেকে আশি সকলেই এখন মেতে ওঠেন এই কোজাগরী উৎসবে। জেলায় সর্বজনীন কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর জন্য বিখ্যাত এই সদিয়াল গ্রাম। প্রতিবারই বিভিন্ন থিমের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জা। এবার ১৮ তম বর্ষ এই পুজোর। এবছর মণ্ডপ সাজানো হয়েছে রাঁচির মাইথন ম্যারেজ হাউসের আদলে। মণ্ডপ সম্পূর্ণ প্লাইউড ও ফাইবারের তৈরি।

আরও পড়ুন: আলপনায় মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ না থাকলে পুজোই হয় না, কিন্তু কেন এই আলপনা দেওয়া হয়, রইল কারণ

মাতৃমূর্তি কৃত্রিম মুক্ত ও ঝিনুকের তৈরি। তালপাতা ও পাটজাত দ্রব্য দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে ভরতের খড়মপুজোর দৃশ্য। আটদিন ধরে চলবে এই কোজাগরী উৎসব। প্রতিদিন তুলে ধরা হবে বাংলার হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন সংস্কৃতি যাত্রাপালা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই পুজো নিয়ে সাংসদ বাপী হালদার জানিয়েছেন, মা লক্ষ্মী কেবলমাত্র ঘরেই পূজিত হবেন কেন? শ্রমের বিনিময়ে উপার্জন তো সকলেই করেন। তাই ধনদেবীকে সর্বজনীন করতেই গ্রামের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এই বারোয়ারি পুজোর সূচনা। এই পুজো আজ গোটা সুন্দরবন পুলিশ জেলার মানুষের গর্বের বিষয়। ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি বাজেটের এই পুজোয় গ্রামের সাধারণ মানুষের আন্তরিক ও সক্রিয় অংশগ্রহণই এই পুজোর মূল বিষয়বস্তু। এই পুজো দেখতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষজন আসছেন। যা এই উৎসবকে অন্য মাত্রা যোগ করেছে।

নবাব মল্লিক

Readymade Naru: লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজার দখল করছে রেডিমেড নাড়ু, কীভাবে তৈরি হচ্ছে এগুলি? স্বাস্থ্যকর তো? জানুন

লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজার দখল করছে রেডিমেড নাড়ু। কীভাবে তৈরি হচ্ছে, দামই বা কত এই নাড়ুর? একটা সময় উৎসবের মরশুম শুরু হলেই বাংলার গ্রামে গ্রামে জিভে জল আনা নানা ধরনের নাড়ু তৈরির সুবাস পাওয়া যেত। (প্রতীকী ছবি)
লক্ষ্মীপুজোর আগে বাজার দখল করছে রেডিমেড নাড়ু। কীভাবে তৈরি হচ্ছে, দামই বা কত এই নাড়ুর? একটা সময় উৎসবের মরশুম শুরু হলেই বাংলার গ্রামে গ্রামে জিভে জল আনা নানা ধরনের নাড়ু তৈরির সুবাস পাওয়া যেত। (প্রতীকী ছবি)
কিন্তু ক্রমেই মা-ঠাকুমাদের হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের নাড়ুর সুবাস আজ এক প্রকার অতীত। এখন এই শিল্প হেঁশেল ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে মিষ্টির দোকান সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর দোকানে।
কিন্তু ক্রমেই মা-ঠাকুমাদের হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের নাড়ুর সুবাস আজ এক প্রকার অতীত। এখন এই শিল্প হেঁশেল ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে মিষ্টির দোকান সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর দোকানে।
তাই রেডিমেড নাড়ুর হাত ধরে স্বনির্ভর হচ্ছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের শান্তি কলোনির সাহা পরিবার। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোতে দিন নিজের হাতের তৈরি নাড়ু এবার দোকানে দোকানে বিক্রি করছেন সাহা পরিবার।
তাই রেডিমেড নাড়ুর হাত ধরে স্বনির্ভর হচ্ছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের শান্তি কলোনির সাহা পরিবার। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোতে দিন নিজের হাতের তৈরি নাড়ু এবার দোকানে দোকানে বিক্রি করছেন সাহা পরিবার।
সারা বছর নাড়ু, মোয়া বানালেও পুজোর মরশুমে বাড়িতে একটু বেশি লক্ষ্মী লাভের আশায় কাজ চলছে জোর কদমে। বিশ্বনাথ সাহা জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে চিড়া, মুড়ি নারকেল, তিল, চালভাজা-সহ বিভিন্ন নাড়ু বানাচ্ছেন রাতদিন এক করে।
সারা বছর নাড়ু, মোয়া বানালেও পুজোর মরশুমে বাড়িতে একটু বেশি লক্ষ্মী লাভের আশায় কাজ চলছে জোর কদমে। বিশ্বনাথ সাহা জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে চিড়া, মুড়ি নারকেল, তিল, চালভাজা-সহ বিভিন্ন নাড়ু বানাচ্ছেন রাতদিন এক করে।
মহাজনের মারফত কেরালা থেকে নারকেল এনে সকলে মিলেই নারকেল নাড়ু বানান পাশাপাশি স্থানীয় বাজার থেকে অন্যান্য নাড়ু তৈরির সামগ্রী সংগ্রহ করেন।
মহাজনের মারফত কেরালা থেকে নারকেল এনে সকলে মিলেই নারকেল নাড়ু বানান পাশাপাশি স্থানীয় বাজার থেকে অন্যান্য নাড়ু তৈরির সামগ্রী সংগ্রহ করেন।
তাঁদের হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের নাড়ু প্যাকেট মারফত কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার, তাঁরা বাজার-সহ বিভিন্ন বাজারে এছাড়াও জেলার পাইকাররাও এসে নিয়ে যান।
তাঁদের হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের নাড়ু প্যাকেট মারফত কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার, তাঁরা বাজার-সহ বিভিন্ন বাজারে এছাড়াও জেলার পাইকাররাও এসে নিয়ে যান।
ছোট নাড়ুর প্যাকেট ১০ টাকা ও বড় নাড়ুর প্যাকেট ৬০ টাকা দামে তিনি বিক্রি করেন।
ছোট নাড়ুর প্যাকেট ১০ টাকা ও বড় নাড়ুর প্যাকেট ৬০ টাকা দামে তিনি বিক্রি করেন।
লক্ষ্মীপুজোতে লক্ষ্মী লাভের আশায় হাতে সময় না থাকায় বেশি পরিমানে কারিগর নিয়ে রাত দিন এক করে বিভিন্ন ধরনের নাড়ু বানাতে ব্যস্ত সাহা পরিবার। এই ব্যবসা করে ভালই লক্ষ্মী লাভ হয় তাঁদের। (পিয়া গুপ্তা)
লক্ষ্মীপুজোতে লক্ষ্মী লাভের আশায় হাতে সময় না থাকায় বেশি পরিমানে কারিগর নিয়ে রাত দিন এক করে বিভিন্ন ধরনের নাড়ু বানাতে ব্যস্ত সাহা পরিবার। এই ব্যবসা করে ভালই লক্ষ্মী লাভ হয় তাঁদের। (পিয়া গুপ্তা)

Lakshmi Puja 2024: অতিথিরা পাতে তাকিয়ে চমকে যাবে! লক্ষ্মীপুজোতে বাড়িতে বানান রেস্তোরাঁর এই মিষ্টিগুলি

আজ ও আগামীকালকোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এই সন্ধ্যায় বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজো। অতিথিদের আপ্যায়নেও থাকে জাঁকজমক। এই বছর লক্ষ্মীপুজোয় অন্য রকম মিষ্টি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেবেন নাকি অতিথিদের? রইল বিশেষ কিছু মিষ্টি বানানোর রেসিপি।
আজ ও আগামীকাল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এই সন্ধ্যায় বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজো। অতিথিদের আপ্যায়নেও থাকে জাঁকজমক। এই বছর লক্ষ্মীপুজোয় অন্যরকম মিষ্টি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেবেন নাকি অতিথিদের? রইল বিশেষ কিছু মিষ্টি বানানোর রেসিপি।
দুধের সন্দেশ: খুব সহজ উপায়ে মাত্র ২ কেজি দুধ এবং আধ কেজি চিনি দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন দুধের সন্দেশ। প্রথমে ২ কেজি দুধকে জ্বাল দিয়ে ১ কেজির পরিমাণে নিয়ে আসতে হবে। এর পর দুধে ভাল করে চিনি মিশিয়ে ভাল করে নাড়তে হবে। মিশ্রণটি একটানা পাক দেওয়ার পর ক্ষীর হয়ে শুকিয়ে আসবে। তখন নামিয়ে ছাঁচে ফেলে সন্দেশ তৈরি করতে হবে।
দুধের সন্দেশ: খুব সহজ উপায়ে মাত্র ২ কেজি দুধ এবং আধ কেজি চিনি দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন দুধের সন্দেশ। প্রথমে ২ কেজি দুধকে জ্বাল দিয়ে ১ কেজির পরিমাণে নিয়ে আসতে হবে। এর পর দুধে ভাল করে চিনি মিশিয়ে ভাল করে নাড়তে হবে। মিশ্রণটি একটানা পাক দেওয়ার পর ক্ষীর হয়ে শুকিয়ে আসবে। তখন নামিয়ে ছাঁচে ফেলে সন্দেশ তৈরি করতে হবে।
সুজির নাড়ু: সুজির নাড়ু তৈরি করতে প্রয়োজন ২ কাপ সুজি, ৪ চা চামচ চিনি, ৪ চা চামচ গুঁড়ো দুধ, ২টি এলাচের গুঁড়ো, ৩ চা চামচ ঘি এবং পরিমাণ মতো কিশমিশ। প্রথমে শুকনো কড়াইতে ভাল করে সুজি ভেজে অর্ধেক ঘি ঢেলে দিতে হবে। সুজির রং হাল্কা লাল হয়ে এলে, ঘি এবং সুজি ভাজার মধ্যে চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়তে হবে। কিছু ক্ষণ পরে দুধ ঢেলে এলাচের গুঁড়ো উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে মিশ্রণটিতে। যখন পাক ধরে আসবে তখন নামিয়ে নিয়ে নাড়ুর আকার দিতে হবে।
সুজির নাড়ু: সুজির নাড়ু তৈরি করতে প্রয়োজন ২ কাপ সুজি, ৪ চা চামচ চিনি, ৪ চা চামচ গুঁড়ো দুধ, ২টি এলাচের গুঁড়ো, ৩ চা চামচ ঘি এবং পরিমাণ মতো কিশমিশ। প্রথমে শুকনো কড়াইতে ভাল করে সুজি ভেজে অর্ধেক ঘি ঢেলে দিতে হবে। সুজির রং হাল্কা লাল হয়ে এলে, ঘি এবং সুজি ভাজার মধ্যে চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়তে হবে। কিছু ক্ষণ পরে দুধ ঢেলে এলাচের গুঁড়ো উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে মিশ্রণটিতে। যখন পাক ধরে আসবে তখন নামিয়ে নিয়ে নাড়ুর আকার দিতে হবে।
শাহী ক্ষীর: চিরাচরিত পায়েসের বাইরে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন শাহী ক্ষীর। প্রয়োজন- ৫০ গ্রাম চাল (২ ঘণ্টা ভেজানো এবং গুঁড়ো করা), ২ লিটার দুধ, ৭৫ গ্রাম চিনি, আধ চা চামচ সবুজ এলাচ গুঁড়ো, ১ চা চামচ গোলাপ জল, ১ চা চামচ কিশমিশ এবং তরমুজের সাদা বীজ বা চিরঞ্জি। প্রথমে ভাল করে দুধ ফুটিয়ে, তাতে গুঁড়ো করা চাল দিয়ে দিতে হবে। এরপর ক্রমাগত নাড়তে হবে, যাতে জমাট বেঁধে না যায়। মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে এবং চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে চিনি মিশিয়ে দিতে হবে। চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত নেড়ে চিরঞ্জি ও কিশমিশ দিতে হবে।
শাহী ক্ষীর: চিরাচরিত পায়েসের বাইরে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন শাহী ক্ষীর। প্রয়োজন- ৫০ গ্রাম চাল (২ ঘণ্টা ভেজানো এবং গুঁড়ো করা), ২ লিটার দুধ, ৭৫ গ্রাম চিনি, আধ চা চামচ সবুজ এলাচ গুঁড়ো, ১ চা চামচ গোলাপ জল, ১ চা চামচ কিশমিশ এবং তরমুজের সাদা বীজ বা চিরঞ্জি। প্রথমে ভাল করে দুধ ফুটিয়ে, তাতে গুঁড়ো করা চাল দিয়ে দিতে হবে। এরপর ক্রমাগত নাড়তে হবে, যাতে জমাট বেঁধে না যায়। মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে এবং চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে চিনি মিশিয়ে দিতে হবে। চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত নেড়ে চিরঞ্জি ও কিশমিশ দিতে হবে।
বিবিখানা: এই মিষ্টি তৈরি করতে প্রয়োজন ১ টি কোরানো নারকেল, ৩০০ গ্রাম পাটালি গুড়, ২০০ গ্রাম সেদ্ধ চালের গুঁড়ো, ১০০ গ্রাম আতপ চালের গুঁড়ো এবং ১৫০ মিলিমিটার মতো দুধ। পদ্ধতি: নারকেল কোরা, ২ রকমের চালের গুঁড়ো এবং দুধ ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে প্রথমে। এর পরে মিশ্রণটি একটি বেকিং পাত্রে ঢেলে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২০ মিনিট মতো বেক করে নিতে হবে। ২০ মিনিট পর বেক হয়ে গেলে গুড়ের রস দিয়ে অতিথিদের পরিবেশন করতে পারেন।
বিবিখানা: এই মিষ্টি তৈরি করতে প্রয়োজন ১ টি কোরানো নারকেল, ৩০০ গ্রাম পাটালি গুড়, ২০০ গ্রাম সেদ্ধ চালের গুঁড়ো, ১০০ গ্রাম আতপ চালের গুঁড়ো এবং ১৫০ মিলিমিটার মতো দুধ। পদ্ধতি: নারকেল কোরা, ২ রকমের চালের গুঁড়ো এবং দুধ ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে প্রথমে। এর পরে মিশ্রণটি একটি বেকিং পাত্রে ঢেলে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২০ মিনিট মতো বেক করে নিতে হবে। ২০ মিনিট পর বেক হয়ে গেলে গুড়ের রস দিয়ে অতিথিদের পরিবেশন করতে পারেন।

Lakshmi Puja 2024: আজ লক্ষ্মীপুজোয় উপোস করবেন নিশ্চই? মেনে চলুন এই ছোট্ট নিয়ম, দিনভর চাঙ্গা শরীর, ছুটে পালাবে ক্লান্তি

*তিথি অনুসারে ১৬ অক্টোবর পূজিত হবেন দেবী লক্ষ্মী। অধিকাংশ বাড়িতে হবে দেবীর আরাধনা। কোজাগরী শব্দের অর্থ 'যে রাত জাগে'। কথিত আছে, রাত জেগে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে মেলে সুখ-শান্তি। ঘটবে আর্থিক উন্নতি। প্রতিবেদনঃ অনির্বাণ রায়। ফাইল ছবি। 
*তিথি অনুসারে ১৬ অক্টোবর পূজিত হবেন দেবী লক্ষ্মী। অধিকাংশ বাড়িতে হবে দেবীর আরাধনা। কোজাগরী শব্দের অর্থ ‘যে রাত জাগে’। কথিত আছে, রাত জেগে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে মেলে সুখ-শান্তি। ঘটবে আর্থিক উন্নতি। প্রতিবেদনঃ অনির্বাণ রায়। ফাইল ছবি।
*এদিন অধিকাংশ রমণীরা উপবাস করে দেবীর আরাধনা করেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপবাস করেন অনেকে। তাই জন্য রইল চিকিৎসকের পরামর্শ। ফাইল ছবি। 
*এদিন অধিকাংশ রমণীরা উপবাস করে দেবীর আরাধনা করেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপবাস করেন অনেকে। তাই জন্য রইল চিকিৎসকের পরামর্শ। ফাইল ছবি।
*উপবাস করলে মাথায় রাখতে হবে এই কয়টি জিনিস। ড: শঙ্খ সেন জানান, "উপবাস করলে অধিকাংশ মানুষই ডিডাইড্রেশনের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেলে মেনে চলুন বিশেষ টিপস। প্রচুর পরিমাণে জল খান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। ডিডাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেবে না। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সমস্যা কম। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। এই সময় অল্প অল্প করে বারে বারে জল খান। এতে শরীর হবে সুস্থ।" ফাইল ছবি। 
*উপবাস করলে মাথায় রাখতে হবে এই কয়টি জিনিস। ড: শঙ্খ সেন জানান, “উপবাস করলে অধিকাংশ মানুষই ডিডাইড্রেশনের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেলে মেনে চলুন বিশেষ টিপস। প্রচুর পরিমাণে জল খান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। ডিডাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেবে না। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সমস্যা কম। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। এই সময় অল্প অল্প করে বারে বারে জল খান। এতে শরীর হবে সুস্থ।” ফাইল ছবি।
*এই সময় ডাবের জল খেতে পারেন। খেতে পারেন নারকেলের জল। এই সকল জলে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। কিংবা খেতে পারেন ফলের রস। এই সকল পানীয়তে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান, যা শরীর রাখবে সুস্থ।" ফাইল ছবি। 
*এই সময় ডাবের জল খেতে পারেন। খেতে পারেন নারকেলের জল। এই সকল জলে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। কিংবা খেতে পারেন ফলের রস। এই সকল পানীয়তে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান, যা শরীর রাখবে সুস্থ।” ফাইল ছবি।
*পুজোর দিন বেশি পরিশ্রম নয়। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে উপবাসের সময় বেশি পরিশ্রম করবেন না। উপবাস করে সকলে পুজোর কাজ করে থাকেন। এই সময় শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে বেশি পরিশ্রম করবেন না। এত শরীর আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই উপবাস করলে বেশি পরিশ্রম করবেন না। এই সময় অল্প অল্প করে কাজ করুন। ফাইল ছবি। 
*পুজোর দিন বেশি পরিশ্রম নয়। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে উপবাসের সময় বেশি পরিশ্রম করবেন না। উপবাস করে সকলে পুজোর কাজ করে থাকেন। এই সময় শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে বেশি পরিশ্রম করবেন না। এত শরীর আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই উপবাস করলে বেশি পরিশ্রম করবেন না। এই সময় অল্প অল্প করে কাজ করুন। ফাইল ছবি।
*উপবাসের পর ভুলেও ভাজা খাবার খাবেন না। খালি পেটে ভাজা খাবার খেলে হতে পারে শারীরিক জটিলতা। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে উপবাসের পর কী খাবেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় এমন খাবার খান যা থেকে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কম। শরীর সুস্থ রাখতে মেনে চলতে হবে এই বিশেষ টিপস। ফাইল ছবি।
*উপবাসের পর ভুলেও ভাজা খাবার খাবেন না। খালি পেটে ভাজা খাবার খেলে হতে পারে শারীরিক জটিলতা। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে উপবাসের পর কী খাবেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় এমন খাবার খান যা থেকে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কম। শরীর সুস্থ রাখতে মেনে চলতে হবে এই বিশেষ টিপস। ফাইল ছবি।
*তিথি অনুযায়ী কখন করা যাবে লক্ষ্মীপুজো? গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, বুধবার সন্ধে ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে পূর্ণিমা তিথি শেষ। যাঁরা গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করবেন, তাঁরা এই সময়েই পুজো করতে পারবেন। আবার বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, বুধবার রাত ৮টা ৪১ মিনিটে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি শুরু। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শেষ। সংগৃহীত ছবি।
*তিথি অনুযায়ী কখন করা যাবে লক্ষ্মীপুজো? গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে, বুধবার সন্ধে ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ। পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে পূর্ণিমা তিথি শেষ। যাঁরা গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করবেন, তাঁরা এই সময়েই পুজো করতে পারবেন। আবার বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, বুধবার রাত ৮টা ৪১ মিনিটে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি শুরু। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে ৫৬ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শেষ। সংগৃহীত ছবি।
*নাম, ধন, যশ ও খ্যাতি প্রাপ্তির জন্য পূর্ববঙ্গবাসী কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সূচনা করলেও আজ অনেকের বাড়িতেই এই পুজো হয়। অনেক বারোয়ারী কমিটিও এই পুজোর করেন। পঞ্জিকা অনুযায়ী এই বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তিথি শুরু হচ্ছে বুধবার ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে। আর শেষ হচ্ছে ১৭ অক্টোবর বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। সংগৃহীত ছবি।
*নাম, ধন, যশ ও খ্যাতি প্রাপ্তির জন্য পূর্ববঙ্গবাসী কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সূচনা করলেও আজ অনেকের বাড়িতেই এই পুজো হয়। অনেক বারোয়ারী কমিটিও এই পুজোর করেন। পঞ্জিকা অনুযায়ী এই বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তিথি শুরু হচ্ছে বুধবার ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৪২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে। আর শেষ হচ্ছে ১৭ অক্টোবর বিকেল ৫টা ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। সংগৃহীত ছবি।