দার্জিলিং: পাহাড় মানেই সকলের কাছে একটা আবেগ, তাই চার-পাঁচদিনের টানা ছুটি হোক বা উইকেন্ড, একটু সুযোগ পেলেই পাহাড়ে ছুটে যান পাহাড়প্রেমিরা। বর্তমানে পাহাড়ের এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে সারি সারি সবুজে ঘেরা পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য। দার্জিলিং যাওয়ার পথে কার্শিয়াংয়ের এই জায়গায় এলে নিমেষেই মন ভাল হয়ে যাবে। পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কার্শিয়াংয়ের গিদ্দা পাহাড়ের এই ভিউ পয়েন্ট।
পাহাড়ের কোলে, চারিদিকে প্রকৃতির মাঝে এই জায়গায় এলে আপনার পায়ের নিচে ভাসবে মেঘ যেন কিছুক্ষণের জন্য মনে হবে আপনি মেঘের উপরে দাঁড়িয়ে। কার্শিয়াং পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা এই জায়গায় ভিড় জমাচ্ছে পর্যটকেরা। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য এই জায়গায় তৈরি করা হয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার যেখানে দাঁড়িয়ে পর্যটকেরা পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত থাকেন।
দার্জিলিং যাওয়ার পথে কার্শিয়াংয়ের আগে পাহাড়ের কোলে এই ভিউ পয়েন্টে না দাঁড়ালেই বড় মিস। পর্যটকদের জন্য এই জায়গায় তৈরি হয়েছে একটি রেস্টুরেন্ট যেখানে বসে গরম গরম দার্জিলিং চা হাতে, মোমো খেতে খেতে শান্ত শীতল আবহাওয়ায় পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনি যে দিকে তাকাবেন সেদিকেই সবুজে ঘেরা পাহাড় যেন আপনাকে হাতছানি দেবে। রাতের অন্ধকারে জোনাকির মত জ্বলতে থাকা শহর শিলিগুড়িরকে দু-চোখ ভরে দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুনঃ ক্যালসিয়ামে ঠাসা! ৫-৬ দানা রোজে বুড়ো বয়সেও লৌহকঠিন হাড়! পুরুষস্বাস্থ্য আরও চাঙ্গা
আপনি চাইলে এখানে থেকে কার্শিয়াং শহর, ডাউহিল, পাইন ফরেস্ট, হনুমান টক-সহ বিভিন্ন জায়গা যেতে পারেন। পর্যটক সিমরান ছেত্রী বলেন, “পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য এই ভিউ পয়েন্টে তৈরি হয়েছে। দার্জিলিং যাওয়ার পথে পর্যটকেরা এই ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় থেকে শুরু করে চারিদিকে সবুজে ঘেরা পাহাড়ের আনন্দ উপভোগ করেন। জায়গাটি সত্যিই অসাধারণ। এখানে এসে কিছুটা সময় কাটালে মন ভাল হয়।
সুজয় ঘোষ