Category Archives: দার্জিলিং
Summer Travel: পাহাড়ের কোলে এক টুকরো স্বর্গ! গরমের ছুটিতে যান এই ৫ অচেনা পাহাড়ি গ্রামে! খুব সস্তা! জানুন
Darjeeling Paragliding Service: পর্যটকদের জন্য সুখবর! সাত বছর পর দার্জিলিংয়ে চালু হল দারুণ এক পরিষেবা
Rabindranath Tagore Birth Anniversary: আরাধ্য দেবতার আসনে বিশ্বকবির বিগ্রহ, এই মন্দিরে পূজিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি : শিলিগুড়িতে অবস্থিত ‘উত্তরের শান্তিনিকেতন’-এর মন্দিরে ঈশ্বর রূপে পূজিত হন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। শিলিগুড়ি শহরের অদূরে ঠাকুরনগর এলাকায় অবস্থান মন্দিরের। লোকমুখে “উত্তরের শান্তিনিকেতন” বলেই পরিচিত এই জায়গাটি।শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের এটি একমাত্র মন্দির যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়ে থাকে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা শংকর ঘোষ ২০০২ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
শংকর বাবুর কথায়, তাঁর গুরু শরৎচন্দ্র দাস মহাশয়ের ইচ্ছায় “শ্রী শ্রী গৌড় ভবামিত বিশ্ব কল্যাণকামী হরিগুরু সংঘ” শুরু করেছিলেন। এই সংঘের নামটিও রবি ঠাকুরের দেওয়া বলে তাঁদের দাবি। শংকর বাবুর গুরুদেব ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরম ভক্ত। গুরুর আদেশ মতোই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বের দরবারে পূজিত করার লক্ষ্যে মন্দির স্থাপনা করেছিলেন তিনি এবং পুজোও শুরু করেছিলেন এই মন্দিরে। মৃত্যুবার্ষিকী এবং জন্মবার্ষিকীতে সকলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে মনে করলেও, আজও তিন বেলা রবি ঠাকুরের পুজো করা হয়ে থাকে এই মন্দিরে। জন্মবার্ষিকীতে ভোগ দিয়ে, রীতিমতো ঈশ্বর রূপে পূজা করা হয়ে থাকে এখানে।
তিন বিঘা জমির উপর ঠাকুরনগরের “উত্তরের শান্তিনিকেতন” তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল অসহায় অনাথ শিশুদের আশ্রয় দেওয়ার কথা চিন্তা করে। তবে সাহায্যের অভাবে পরিকাঠামোগত অভাবে আজও সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে শংকরবাবুর।
আরও পড়ুন : গরমে বিউলির ডাল খাচ্ছেন? এঁরা ভুলেও কলাইয়ের ডাল খাবেন না! এই ডাল খেলেই চরম বিপদ এঁদের
মন্দিরের পূজো দিতে এসে শংকরবাবু বলেন, ” গোটা ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের এটি একমাত্র মন্দির যে মন্দিরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজা দিয়ে থাকি আমরা। প্রতিদিন তিন বেলা পুজো দেওয়া হয়। এবং বাৎসরিক অনুষ্ঠানে নিজের হতে পায়েস রান্না করে ভোগ দিই।” করোনা কালের পর থেকে যদিও সাড়ম্বরে অনুষ্ঠান পালন করা বন্ধ হয়েছে।
শংকর বাবু আরও জানান, “আমি আজও দুয়ারে দুয়ারে ছুটছি সাহায্যের জন্য, সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে এলেই এখানে গরিব অসহায় অনাথ শিশুদের আশ্রয়ের জায়গা তৈরি করব।” বর্তমানে শংকর বাবু এবং মন্দিরের এক পূজারী রয়েছেন। তাঁরাই মন্দিরের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন।