আলিপুরদুয়ার: উত্তরের জঙ্গলে যে কোনও সময় হতে পারে গণ্ডার শিকার। এই আভাস পেতেই জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্মীরা উদ্বিগ্ন। চোরাশিকারীদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত বনকর্মী থেকে শুরু করে আধিকারিকরা। ফের চোরা শিকারিদের নিশানায় জলদাপাড়া। এই আশঙ্কার জেরে ইতিমধ্যেই বনদফতরের তরফে জারি করা হয়েছে ‘রেড অ্যালার্ট’। জঙ্গলের প্রতিটি রেঞ্জের পাশাপাশি, জলদাপাড়া জঙ্গল ও তার আশপাশের এলাকায় তল্লাশিও চলছে।
আরও পড়ুনঃ অতিথিরা পাতে তাকিয়ে চমকে যাবে! লক্ষ্মীপুজোতে বাড়িতে বানান রেস্তোরাঁর এই মিষ্টিগুলি
বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সর্বত্র ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তল্লাশি ও নজরদারি। জঙ্গলের বাফার জোনেও বিশেষ ভাবে চলছে তল্লাশি। সেই সঙ্গে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। জলদাপাড়া জঙ্গল সংলগ্ন বনবস্তি ও গ্ৰামে চলছে টহলদারি। স্নিফার ডগ দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়া জঙ্গল সংলগ্ন সড়কে চলছে নাকা চেকিং। প্রতিটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করছেন বনকর্মীরা। তিনটে কুনকি হাতি দিয়ে কোর এলাকায় তল্লাশি চলছে।
রেঞ্জ অফিসার রাজীব চক্রবর্তী জানান, “চোরা শিকারিরা কোথায় ঘাপটি মেরে রয়েছে তা আমরা কেউ জানি না। তবে জঙ্গলের সম্পদ গণ্ডার শিকার আমরা হতে দেব না। তার জন্য নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা জঙ্গল এলাকা।” তোর্সা নদীর তীরে অবস্থিত এই জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের সামগ্রিক আয়তন ১৪১ বর্গ কিলোমিটার। জলদাপাড়া মূলত নদী কেন্দ্রিক বনাঞ্চল।
পাশাপাশি রয়েছে একটি সুবিস্তৃত তৃণভূমি। জীব ও উদ্ভিদের বৈচিত্র্যময় সমাবেশ দেখা যায় এই অভয়ারণ্যে। এগুলির মধ্যে অবলুপ্তপ্রায় একশৃঙ্গ গণ্ডার বিশেষভাবে উল্লেখ্য।নচোরা শিকারিদের নিশানা এই গণ্ডারের খর্গ, যা গণ্ডার শিকারের পর মেলা সম্ভব।গণ্ডার বাঁচাতে মরিয়া বনবিভাগ।
অনন্যা দে