আবীর ঘোষাল, কলকাতা: আজ, বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্য জুড়ে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে লড়াইয়ের মাঠ বুঝে নিতে আজ থেকেই ঝাঁপাতে শুরু করছে রাজ্যের শাসক দল। এ ব্যাপারে রাজ্যের সমস্ত জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর থেকেই এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন শুরু হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটিগুলিতে।
জনসাধারণের মন বুঝে নিতে এবং সংযোগ বজায় রাখতে নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই মাঠে নামছে তৃণমূল। দুর্গাপুজোর পর এবার জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন রাজ্যের শাসক দলের। বিজয়া সম্মিলনীর দৌলতে আগামী নির্বাচনের আগে জনমতের ভিত আরও মজবুত করতেই এই আয়োজন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করছে তৃণমূল। উত্তর থেকে দক্ষিণ সবকটি জেলাতেই অঞ্চল ভিত্তিক এই সম্মিলনীর আয়োজন করা হবে।
সম্মিলনীর মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আগামী লোকসভার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা পাশাপাশি অ্যাসিড টেস্ট করে নেওয়ার জন্যে এখন থেকেই ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমত অবস্থায়, জনসমর্থন কোনও ভাটা পড়ছে কিনা, পড়লে সেটা রোখার কী উপায় রয়েছে, সমস্ত কিছু বুঝে নিতেই মাঠে নামছেন তৃণমূল নেতারা।ইতিমধ্যেই জেলা স্তরের সমস্ত নেতৃত্বকে বিজয়া সম্মিলনী সূচি অনুযায়ী পালন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কালীঘাট।
দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এই মরশুমের পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজয়া সম্মলনীতে নেমে পড়বেন। নিবিড় জনসংযোগ করবেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ভাল কাজগুলি আর একবার জনগণকে মনে করিয়ে দেওয়া। কারও কোনও প্রস্তাব থাকলে তা গ্রহণ করে নেওয়া। বিরোধীরা যে কুৎসার চক্রান্ত করছে সেগুলিকে ব্যর্থ করতে জনসাধারণকে বাম জমনার অবস্থা ও বিজেপি যে রাজ্যে রয়েছে সেখানকার অবস্থা বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তুলে ধরবেন।”
আরও পড়ুন– কী থেকে তৈরি হয় কর্পূর? এত দাহ্য কেন? এর ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন আপনিও
রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫০০টি সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন, কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা, কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে সবর হওয়ার নির্দেশ জেলা নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছে। বিজয়া সম্মিলনী দিয়ে জনসংযোগ আরও নিবিড় গড়ে তোলার বার্তা দিয়েছে দল। কেমন করে পুরনো কর্মীদের সম্বর্ধনা দেওয়া হবে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা এলাকায় এই সম্মেলন করে সম্বর্ধনা দিতে হবে। ৭০টির মতো বিধানসভা কেন্দ্রে যেখানে দলের বিধায়ক নেই, সেখানে ওই দায়িত্ব দলের পুরসভা বা পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের নেতৃত্বকে করতে হবে। আর দলের পুরনো নেতা–কর্মীকে মঞ্চে ফুলের তোড়া, মিষ্টির প্যাকেট এবং দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে এই সম্বর্ধনা দিতে হবে।