কলকাতা: দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশন হল চোখের ধাঁধা। হামেশাই নানা রকম অপটিক্যাল ইলিউশন ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবির মধ্যে থেকে খুঁজে বার করতে হয় নানা রকম অবয়ব, অক্ষর ইত্যাদি। আর অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধানের মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধায় বিভিন্ন কোণ অথবা বিভিন্ন আকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এগুলি খুঁজে বার করতে পারলে বা সমাধান করতে পারলেই বোঝা যায় যে, মানুষটির বুদ্ধির জোর এবং আইকিউ কতটা! এখানেই শেষ নয়, অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধার সমাধান করার ধরন থেকে বোঝা যায় মানুষের চারিত্রিক দোষ-গুণও। এমনকী জানা যায়, তাঁর মধ্যে থাকা নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যও!
আরও পড়ুন– আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন নোয়েল টাটা, এক সপ্তাহের মধ্যে কী এমন হল? দেখুন বিস্তারিত
সম্প্রতি এমনই এক ধাঁধা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি দেখে বিভিন্ন রকম মত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে ছবিটার আসল রহস্যটা কী, সেটাই আজ খুঁজে বার করব আমরা!
এই অপটিক্যাল ইলিউশনটি শেয়ার করেছেন মিয়া ইয়িলিন। প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক, ছবিটিতে কী কী দেখা যাচ্ছে। বরফে ঢাকা একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য। দূরে দেখা যাচ্ছে উপত্যকা। আর মাঝখানে রয়েছে বড় একটি গাছ। আবার তার মাঝে ভেসে উঠেছে একটি সিংহের মুখের অবয়ব। কিন্তু এই ছবিতে কে কোনটা প্রথম দেখছেন, সেটার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ওই মানুষটির ব্যক্তিত্বের ধরন।
যাঁরা প্রথমেই এই ছবিতে গাছটিকে দেখছেন, তাঁরা আসলে যখন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে প্রথম আলাপ করেন, তখন বেশ নম্র আচরণ করেন। কিন্তু কিছু সময় পরে সড়গড় হয়ে গেলে তাঁরা সকলের সঙ্গে মিলেমিশে যান। মজা করেন। তবে প্রেমজীবনের কথা বলতে গেলে এঁরা একটু লাজুক প্রকৃতির হন। প্রথমে এগিয়ে গিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিতে চান না। বরং সঙ্গী প্রেমের প্রস্তাব দেবেন, এমন অপেক্ষাতেই থেকে যান। কিন্তু এঁদের সত্যি সত্যিই কাউকে ভাল লেগে গেলে তাঁর ভালবাসার মানুষটিকে সব কিছু দিয়ে দেন। এমনকী ভালবাসার মানুষের জন্য যে কোনও লড়াই লড়তেও পিছপা হন না। সেক্ষেত্রে কে কী ভাবছেন, সেদিকেও পাত্তা দেন না এঁরা।
এরপর মিয়া আরও বলেন যে, যাঁরা প্রথমেই সিংহ দেখছেন, তাঁদের দেখে প্রথমেই বন্ধুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। এমনকী এঁরা সকলের সঙ্গে মেলামেশা করেন। মিয়ার মতে, এই ধরনের মানুষেরা ছোট ছোট বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি করতে বিশেষ পছন্দ করেন না। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মানুষকে তাঁদের নিজেদের মতো কাজ করতে দেন এই ধরনের মানুষগুলি। এর পাশাপাশি, যাঁরা প্রথমেই সিংহ দেখছেন, তাঁকা অত্যন্ত ভরসাযোগ্য প্রকৃতির হন। আশপাশে থাকা সকলের সঙ্গে এঁরা সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারেন। ফলে সকলেই এঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চান। এঁরা বেশ নমনীয় প্রকৃতিরও হন। এখানেই শেষ নয়, যে কোনও পরিস্থিতিতে এঁরা নিজেদের ভেঙে পড়তে দেন না। ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত লক্ষ্যও থাকে এই ধরনের মানুষগুলির মনে। এমনকী অবসরে এঁরা আদর্শ জীবনের পরিকল্পনা ছকেন। এঁরা বুদ্ধির অধিকারী এবং কঠোর পরিশ্রমীও। যার জেরে তাঁদের স্বপ্নও পূরণ হয়। সব মিলিয়ে যাঁরা প্রথমে এই ছবিতে সিংহ দেখছেন, তাঁরা জোরালো এবং দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন।