পুরুলিয়া: দুর্গোৎসবের পর এবার ধনদেবীর আরাধনায় মেতে উঠল আপামর বঙ্গবাসী। বাঙালির ঘরে ঘরে পুজিত হন মা কোজাগরি লক্ষী। এই লক্ষ্মী পুজোকে ঘিরে বাঙালির আবেগ উৎসাহ থাকে তুঙ্গে।
আর তা হবে নাই বা কেন। মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে পারলে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি বজায় থাকে। একটা সময় ছিল যখন লক্ষ্মীপুজো আসলেই। মা ঠাকুমারা নিজের হাতে নাড়ু তৈরি করতেন। কারণ কোজাগরি লক্ষী পুজো নারকেল নাড়ু ছড়া অসম্পূর্ণ। কিন্তু সেসব দিন আজ অতীত।
বর্তমানে দশকর্মার ফর্দতে জায়গা করে নিয়েছে রেডিমেড নারকেল নাড়ু। আগে বিজয় দশমীর পর থেকে বাঙালির বাড়িতে বাড়িতে নাড়ু বানানোর চল প্রচলিত ছিল।
কিন্তু বর্তমানে কর্মব্যস্ততার মাঝে বাড়ির গৃহিনীরা আর নাড়ু বানানোর সময় পান না। তাই বাজারে কেনা রেডিমেড নাড়ুর উপরেই ভরসা করতে হয় তাদের। তাই লক্ষ্মী পুজোর এই সময়তে মিষ্টির বিপণী গুলিতে ক্রেতাদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত।
বিভিন্ন ধরনের নাড়ু কিনতে ক্রেতারা ভিড় জমান মিষ্টির দোকানগুলিতে। এই বিষয়ে মিষ্টির দোকানের বিক্রেতারা বলেন , এই সময়তে বিভিন্ন ধরনের নাড়ুর চাহিদা বাড়ে তাই তারা। এই সময় ব্যাপক হারে নাড়ু তৈরি করেন। তাদের বিক্রিও যথেষ্ট ভালো রয়েছে। ক্রেতারা ভিড় করে এই সময় নাড়ু কিনতে আসেন। কেজি দরে ও প্রতি পিস অনুসারে নাড়ু বিক্রি হয়।
আগে নারকেলের দাম কম ছিল বর্তমানে নারকেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় নাড়ুর দামও বেড়ে গিয়েছে। তবুও পুজো জন্য অনেকেই বেশি দাম দিয়ে হলেও এই নাড়ু কেনেন। বাঙালির ঐতিহ্য কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এই পুজোকে ঘিরে বাঙালির আবেগ উন্মাদনা থাকে তুঙ্গে। দুর্গোৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই তাই বঙ্গবাসী মেতে ওঠে লক্ষ্মীপুজোর আনন্দে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি