শিলিগুড়ি: রেলওয়ে স্টেশনগুলিকে উন্নত এবং আধুনিক করার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে রাঙাপাড়া নর্থ স্টেশনকেও অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের অধীনে (এবিএসএস) বিশ্বমানের আধুনিক সুযোগ/সুবিধাযুক্ত করে পুনর্বিকশিত করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রঙিয়া ডিভিশনের অন্তর্গত রাঙাপাড়া নর্থ স্টেশনটি হল অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের অধীনে পুনর্বিকশিত করার জন্য নির্বাচিত ৫০টি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে অন্যতম।
এই স্টেশনটি ৫৫.১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এক উল্লেখযোগ্য নতুন রূপ লাভ করবে। এবিএসএস-এর অধীনে পুনর্বিকশিত করার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অধিক্ষেত্রের অধীনে মোট ৯২টি স্টেশনকে নির্বাচন করা হয়েছে। এই স্টেশনটি পুনর্বিকাশ করা হলে রেল যাত্রীরা অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা লাভ করবেন। ১৯০৩ সালে অসম রেলওয়ে ট্রেডিং কোম্পানির দ্বারা নির্মিত রাঙাপাড়া নর্থ রেলওয়ে স্টেশনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন।
আরও পড়ুন: রুটিগুলো বেশি ফোলা, মুখে দিতেই ‘সেই’ গন্ধ! আটায় যা মাখালেন পরিচারিকা, ভিডিও দেখে শিউরে উঠবেন
এই স্টেশনটি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রঙিয়া ডিভিশনের অন্তর্গত রাঙাপাড়া-মুর্কংসেলেক সেকশনে অবস্থিত। এখনও পর্যন্ত যাত্রীদের সুবিধার জন্য সাম্প্রতিক সুযোগ-সুবিধার সাথে ওয়েটিং হলের মতো সুবিধা সহ সম্মুখ অংশের উন্নয়নের কাজ চলছে। চলমান অন্যান্য কাজের মধ্যে সার্কুলেটিং এরিয়ার উন্নয়ন, টয়লেট ব্লক নির্মাণ, যাত্রীদের সুবিধার জন্য দ্বিতীয় প্রবেশ পথের ব্যবস্থা, দিব্যাঙ্গজনদের জন্য সহজ উপলব্ধ ওয়াটার বুথ, ট্রেন ইন্ডিকেশন ও কোচ গাইডেন্স বোর্ড স্থাপনের কাজগুলি ক্রমাগতভাবে এগিয়ে চলেছে। দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্ম সারফেসিং, প্ল্যাটফর্ম শেল্টার ও পৃথক পার্সেল পরিচালনা পথের সাথে প্ল্যাটফর্মগুলি সম্প্রসারণের কাজ চলছে। পাশাপাশি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি এবং ভারী লাগেজ-সহ বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য ৩টি লিফ্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝুন, হলদে-নোংরা দাঁত পরিষ্কার করার সহজ উপায় জানুন! ঝকঝক করবে হাসি
একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে আরেকটি প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের সহজ চলাচলের জন্য ১২ মিটার প্রশস্ত ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজও দ্রুত গতিতে চলছে। রাঙাপাড়া নর্থ রেলওয়ে স্টেশনটি পণ্যবাহী ট্রেনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজ হিসেবে পরিষেবা দিচ্ছে। চা শিল্পের বিকাশে এই স্টেশনটি মুখ্য ভূমিকা পালন করছে এবং আজকের দিনেও এটি এই অঞ্চলের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ কেন্দ্র হিসেবে বিরাজমান।অঞ্চলটির চা বাগান থেকে কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য অংশের বাজারে চা পরিবহণের সুবিধার জন্য এই স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই স্টেশনটির উন্নয়নের ফলে নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে ও ভ্রমণ সহজ করে তুলবে এবং নিকটবর্তী অঞ্চলের যাত্রীদের জন্য পর্যটন ক্ষেত্রের সমৃদ্ধি ঘটবে।
আবীর ঘোষাল