মালদহ: ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে ভাঙন পরিস্থিতি। গঙ্গা গ্রাসে বিলীন হচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। ইতিমধ্যে গঙ্গা এসে পৌঁছেছে গ্রামের দোড়গোড়ায়। একের পর এক বাড়ি চলে যাচ্ছে গঙ্গা গ্রাসে। আতঙ্কে গ্রামের বাসিন্দারা বাড়ি ঘর ভেঙে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অন্যত্র। তবে থাকার কোনও জায়গা নেই। ভাঙা বাড়ি ঘরের সামগ্রী থেকে আসবাবপত্র নিয়ে আপাতত গঙ্গা তীরবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দাদের ঠিকানা খোলা আকাশ। ত্রাণের ত্রিপলের ছাউনিতে কোনওক্রমে রাত কাটাচ্ছেন ভাঙন দুর্গতরা। পরিবার থেকে গবাদি পশু নিয়ে কোথায় যাবেন কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না মালদহের মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: কাঠামো বেচে উপরি রোজগার! অজান্তেই পরিবেশের উপকার করেন এঁরা
স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম মোমিন বলেন, চার বিঘা চাষের জমি গঙ্গা ভাঙনে চলে গিয়েছে। গ্রামের কাছে গঙ্গা চলে এসেছে যে কোনও মুহূর্তে বাড়ি তলিয়ে যাবে। তার আগেই বাড়ি ভেঙে নিয়েছি। এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। আমরা কলোনির দাবি জানাচ্ছি।গত কয়েকদিন ধরেই গোপালপুর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক গঙ্গার ভাঙন। কামালতিপুর ও মিলকির খাসখোল গ্রামের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে গঙ্গা। গত কয়েকদিন ধরে ভাঙন হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত কোনও ব্যবস্থা না করার অভিযোগ তুলছেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: সামনেই দীপবলি, ৩৩ ফুট উচ্চতার কালী প্রতিমা তৈরি হচ্ছে বারবিশায়
বাড়ি ঘর ভেঙে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের অন্যত্র কোথাও সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হোক। গঙ্গায় ভিটে মাটি থেকে চাষের জমি সমস্ত কিছুই হারিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছেন গঙ্গার তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা মাজেরা বিবি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই ঘুম হচ্ছে না।
বাড়িঘর ভেঙে নিয়েছি। কোথায় যাব কোথায় থাকবকিছুই জানি না। সরকার থেকে আমাদের কলোনি তৈরি করে দিলে খুব ভাল হয়।
প্রশাসনের কাছে তাদের আর্জি কলোনি তৈরি করে দেওয়া হোক ভাঙন-কবলিত এলাকার দুর্গতদের জন্য। সেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন ভাঙন এলাকার শতাধিক পরিবার। চরম দুর্দশা মধ্যে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা।
হরষিত সিংহ