হুগলি: দুর্গা পাড়ি দিয়েছেন দেবলোকে। আবারও একটা বছরের অপেক্ষা! তবে অনেকেই আছেন যারা ইচ্ছা থাকলেও দুর্গাপুজোয় সব মণ্ডপে যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি। আবারও সুযোগ কলকাতার নামী দামি প্যান্ডেল ঘুরে দেখার। কারণ কলকাতার বেশির ভাগ নামজাদা পুজোর থিম গুলিকে আবারও দেখা যাবে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয়।
মাস ফুরোলেই দশভুজার অপর রূপ উমা হৈমন্তিকার পুজো। চন্দননগরের আলোর পাশাপাশি জগদ্ধাত্রী পুজোও সমানভাবে বিখ্যাত। গঙ্গাপাড়ের এই শহরের বিভিন্ন ক্লাবের পুজোয় সুরুচি, মুদিয়ালি, ত্রিধারা, হাজরা পার্কের এবছরের দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ কথায় আছে চন্দননগর আলো যা এ বছর যা দেখায় তা কলকাতা দেখতে পায় আগামী বছর। কলকাতা যা প্যান্ডেল দেখায়দেখায় তা দেখা যায় আবারও চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয়।
কলকাতার বড় দুর্গাপুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম সুরুচি সংঘের পুজো। এবারের পুজোয় তাদের থিম ছিল ‘পুরানো সেই দিনের কথা’। পুরনো গাড়ি, মাছ ধরার জাল, তেলের টিন ব্যবহার করে মণ্ডপ তৈরি করে শিল্পী মানবজীবনের ফেলে আসা স্মৃতির কথা মনে করিয়েছিলেন। এবার সেই মণ্ডপ দেখা যাবে হুগলির মানকুণ্ডুর নিয়োগী বাগান জগদ্ধাত্রী পুজোয়। অন্যদিকে, ত্রিধারা অকালবোধনের থিম ‘অঙ্গন’ ফের তৈরি হচ্ছে চন্দননগরের হেলাপুকুর জগদ্ধাত্রী কমিটির পুজোয়।
আরও পড়ুন: ফের ট্রেন দুর্ঘটনা! ছিটকে গেল লোকাল ট্রেনের শেষ কামরা, আতঙ্কে কাঁটা যাত্রীরা
এন্টালির ১৪ পল্লি উদয়ন সংঘের থিম ছিল পরম্পরা। চন্দননগরের বড়বাজার সর্বজনীনের পুজোয় দেখা যাবে সেই থিম। শুধু এই থিমগুলো নয়, মুদিয়ালি ক্লাবের ‘ত্রিমূর্তি’ পুনরায় তৈরি হবে মানকুণ্ডু সর্বজনীনের পুজোয়। হাজরা পার্কের ‘সুধী’ থিম দেখা যাবে চন্দননগরের খলিসানী সর্বজনীনের পুজোয়। ভাই ফোঁটার দিনে উদ্বোধন হবে বেশিরভাগ চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। তার আগে কাজ চলছে এখন জোর কদমে। মণ্ডপ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাবার কাজ ও বেশ কঠিন। সেই মোতাবেক চন্দননগরের শুরু হয়েছে কর্মব্যস্ততা। তবে শুধু কলকাতার মন্ডপ উঠে আসবে চন্দননগরে এমনটা নয়। চন্দননগরে এমন অনেক জগদ্ধাত্রী পুজো রয়েছে যারা প্রতিবছর নতুন ভাবনা উপস্থাপন করে দর্শনার্থীদের কাছে। সেই সমস্ত পুজা মন্ডপ তৈরির কাজও চলছে এখন জোর কদমে।