কলকাতা: রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস একটি জটিল সমস্যা, যা সাধারণত অনিয়ন্ত্রিথ জীবনধারা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। যেকোনো বয়সেই এই সমস্যা হতে পারে। লাইফস্টাইল ম্যানেজ করে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমন পরিস্থিতিতে ফিট চেহারার ক্রিকেটাররাও এর খপ্পর থেকে বাঁচতে পারেননি। আসুন জেনে নিই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কয়েকজন ক্রিকেটার সম্পর্কে।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় কপিল দেব ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। কপিল গত ১৫ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন। তিনি এখনও পর্যন্ত এই সমস্য়ার সঙ্গে লড়ছেন। তিনি একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর তিনি খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপন সহজ এবং স্বাস্থ্যকর করে তুলেছেন। এটাই আসলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের একমাত্র চিকিৎসা।
আরও পড়ুন- ভারতের WTC Final-এ ওঠার অঙ্ক হল খুব কঠিন! কিউইদের বিরুদ্ধে হারে হবে স্বপ্নভঙ্গ!
জানা যায়, ভারতীয় দলের প্রাক্তন স্পিনার অনিল কুম্বলেও টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তিনিও এই সমস্যার সঙ্গে লড়েছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
ফিট-সুদর্শন পাকিস্তানি বোলার ওয়াসিম আক্রম ২৯ বছর বয়স থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ওয়াসিমের ১৯৯৭ সালে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। এর পর তিনি খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। একটা সময় ইনসুলিন নিয়ে ম্যাচ খেলতে হয়েছে তাঁকে। ওয়াসিমের মতে, তিনি বাইরের জিনিস খাওয়া সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন এখন। রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন।
আরও পড়ুন- IND vs NZ: ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান, ভারতের মাটিতে টেস্ট জিতল নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার ক্রেইগ ম্যাকমিলানওও অল্প বয়সেই ডায়াবেটিসের শিকার হয়েছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁর টাইপ 1 ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। এরপর নিজের ফিটনেসের দিকে বেশি নজর দিতে শুরু করেন তিনি। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তিনি কেবল ব্যায়ামই করেননি, স্বাস্থ্যকর জীবনধারাও অনুসরণ করেছিলেন।