পশ্চিম মেদিনীপুর: বর্তমান দিনে পারিবারিক বিবাদ লেগেই থাকে। ভাইয়ে ভাইয়ে ঝামেলা, মা-বাবার সঙ্গে ঝামেলা কিংবা পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে ঝামেলা লেগে থাকে মূলত জমি-জমা ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে। জায়গার মালিকানাসত্ত্ব নিয়ে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
অভিভাবকদের অবর্তমানে কে কোন দিকের মালিকানা পাবে তা নিয়ে পরিবারে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। যা পরবর্তীতে বড় সমস্যা সৃষ্টি করে। তবে জমি জমা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে, কীভাবে নিজের মালিকানায় হবে জমি, সম্পত্তি তা সবিস্তারে তুলে ধরলেন দাঁতন আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী শান্তিদেব ঘোষ।
প্রসঙ্গত বর্তমান দিনে পারিবারিক বিভিন্ন ধরনের মতবিরোধের মূল কারণ থাকে জমিজমা, সম্পত্তি। পারিবারিক ওয়ারিশান সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি বিভাজন না থাকলে, কিংবা বংশপরম্পরায় পাওয়া জমি জমার পার্টিশন না থাকলে সমস্যায় পড়তে হয়। সেই জমি উপর চাষবাস কিংবা সম্পত্তির উপর বসতি থাকলেও নিজের নামে রেকর্ড বা দলিল না থাকলে মেনে না লোন। মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইনজীবী শান্তিদেব ঘোষ।
আইনজীবীর কথায়, একই দিনে রেজিস্ট্রি অফিসে সম্পত্তির বিভাজন বা পার্টিশন দলিল তৈরি করা যায়। এরপর সেই দলিল সংশ্লিষ্ট ভূমি সংস্কার দফতরে আনা হলে সেখানে রেকর্ড তৈরি করা যায়। বর্তমান দিনে সম্পত্তি বিভাজনের ক্ষেত্রে জায়গার বাজার মূল্য অনুযায়ী পার্টিশন রেজিস্ট্রি খরচ হয়। তবে পাইবারিক ক্ষেত্রে দানপত্রে খরচ মাত্র ১০০০ টাকা। তবে এই ধরনের সমস্যা এড়াতে বিভিন্ন ধরনের দেওয়ানি উকিল, রেজিস্ট্রি অফিসে লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লেখক একসঙ্গে যোগাযোগ করলে অনায়াসে পারিবারিক এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এছাড়াও যারা অত্যন্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের, তারা সাহায্য নিতে পারেন আদালতের মধ্যে থাকা আইনি সহায়তা কেন্দ্রের। যেখানে বিনামূল্যে তারা পেতে পারেন পরিষেবা। স্বাভাবিকভাবে পারিবারিক জমি জমার সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে সচেতন হওয়া এবং বিষয়গুলি গুরুত্ব সহকারে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবী শান্তিদেব ঘোষ।
Ranjan Chanda