জলবন্দি জীবন

Life in Relief Camp: জলের নীচে বসতবাড়ি, দুর্গাপুজোর পর আলোর উৎসবও ফিকে ত্রাণশিবিরের দুর্গতদের

রুদ্রনারায়ণ রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: শারদ উৎসব কেটে গেলেও, এ বছর এই এলাকার প্রায় ৪০ টি পরিবার মুখদর্শন করেননি দেবী দুর্গার। দিতে পারেননি অষ্টমীর অঞ্জলি। এমন করুণ পরিস্থিতিতে কালীপুজোতেও মাকে না দেখতে পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই এখন বেঁচে থাকার লড়াই চালাচ্ছেন গাইঘাটার ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষগুলি।

নিজেদের স্থায়ী বাসস্থান ছেড়ে প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে ত্রাণ শিবিরে আছেন গাইঘাটা থানার বর্ণবেরিয়ার প্রায় ৪০ টি পরিবারের শতাধিক মানুষ। সরকারের তরফ থেকে নানা সময়ে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়, পরিবার সংসার সন্তানদের নিয়ে তাই কোনওরকমে আধপেটা খেয়ে কেটে যাচ্ছে দিনরাত। জলবন্দি জীবন, তার মাঝেই ভিটেমাটি ছেড়ে এভাবেই ত্রাণ শিবিরে পড়ে রয়েছে অসহায় মানুষ। নদী সংস্কারের অভাবে প্লাবিত হয়েছে গোটা এলাকা, প্রতিবছরই এই সমস্যা যেন মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে ওঠে নিচু এলাকার মানুষদের কাছে। এখনও গোটা এলাকা জলের তলায় বাড়িঘরে বুকসমান জল। তাই কোনওভাবেই সেই সমস্ত ঘরবাড়িতে ফিরতে পারছেন না মানুষজন। সীমান্ত এলাকার এই মানুষগুলির জীবিকা মূলত কৃষিকাজ।

আরও পড়ুন : রান্নাঘরের ২ ছোট্ট জিনিস ১ চিমটে দিলেই কামাল! কালীপুজোর আগেই ফুলে ফুলে ঢাকবে আপনার বাড়ির রক্তজবা গাছ! দেখা যাবে না পাতা

বর্তমানে চাষের জমি-সহ ফসল জলের তলায় থাকায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন তারা। সরকারের তরফ থেকেও মিলছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী। শিশু নিয়ে তাই অসহায় অবস্থায় মা-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। দুর্গাপুজোয় জোটেনি নতুন জামাকাপড়। কোনওরকমে পরনের পোশাক আগলে রেখেই এখন সময়ের অপেক্ষায় এই অসহায় পরিবারগুলি। জল নামতে এখনও প্রায় মাঝখানেক সময় লাগতে পারে বলেই অনুমান তাঁদের। এখন সেই সময়ের অপেক্ষাতেই এই অসহায় মুখগুলি চেয়ে বসে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কেটে যাবে কালীপুজোও। ফলে উৎসবের রং যেন তাদের কাছে ফিকে।