কলকাতা: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর শেষ পর্যন্ত আমরণ অনশনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ টানা ১৭ দিন অনশন চলার পর শেষ পর্যন্ত নমনীয় হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ তবে রাজ্য সরকার অথবা মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে তাঁরা অনশন তুলছেন বলে মানতে চাননি জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ বরং এ দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসনিক কর্তাদের ভূমিকা এবং শরীরী ভাষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা৷ তা সত্ত্বেও আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের বাবা-মা এবং সাধারণ মানুষের অনুরোধের কথা মাথায় রেখেই তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করছেন বলে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷
জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, আপাতত ন্যায়বিচারের দাবিতে আগামী শনিবার আরজি কর হাসপাতালেই গণকনভেশনের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ সেই গণকনভেনশনে সাধারণ মানুষকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী যে যে প্রতিশ্রুতি জুনিয়র চিকিৎসকদের দিয়েছেন, সেগুলি পূরণ হল কি না, তার দিকেও নজর রাখবেন আন্দোলনকারীরা৷
আরও পড়ুন: ‘২৬ দিন অনশন করেছি, কেউ খোঁজ নেয়নি!’ আন্দোলন নিয়ে চিকিৎসকদের কী পরামর্শ মমতার?
আন্দোলনকারী অন্যতম চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘আজকের বৈঠকে ছাত্র নির্বাচন, বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং, রাজ্য স্তরের টাস্ক ফোর্স সহ বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি আমরা আদায় করতে পেরেছি৷ তবে আজকের বৈঠকেও প্রশাসনের কিছু শরীরী ভাষা একেবারেই ইতিবাচক লাগেনি৷ উই ওয়ান্ট জাস্টিস লেখা ব্যাচ পরে নবান্নে ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷ আমাদের বার বার ধমক দেওয়া হয়েছে, চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করার কথা ওনারা বলেছেন, সেগুলি হবে কি না আমরা দেখব৷’
জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ দিন নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের বাবা-মা এসে ধর্মতলার মঞ্চে এসে অনশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য তাঁদের অনুরোধ করেন৷ পাশাপাশি বহু সাধারণ মানুষও একই অনুরোধ করেছেন৷ সেই কারণেই অনশন কর্মসূচি আপাতত প্রত্যাহার করা হচ্ছে৷
প্রথম দিন থেকে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্যায় বলেন, আপাতত নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অনুরোধে অনশন ভাঙলেও ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে ফের অনশনে বসবেন তাঁরা৷