দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কালীপুজোর আগে ভাসতে চলেছে উপকূলবর্তী এলাকা। এমনটাই সম্ভাবনা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এবং তার জেরে ঘূর্ণাবর্ত। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন উপকূল তীরবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় ডানার আতঙ্কে ইতিমধ্যেই রাতের ঘুম উড়েছে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের। কয়েক মাস আগে সুন্দরবনের উপরে হানা দিয়েছিল রেমাল নামক ঘূর্ণিঝড়।
কাকদ্বীপ মহকুমা বেশ কিছু এলাকায় বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়েছিল। ক্ষতি হয়েছিল একাধিক বাঁধেরও। এবার ফের আসন্ন দানা ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে সুন্দরবন-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের। ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্ক করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ডানার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সতর্কীকরণ বার্তা দেওয়া হচ্ছে। যে সকল মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে এসেছেন, তাঁদের অবিলম্বে বন্দরে নিরাপদে ফিরে আসার জন্য নির্দেশ জারি করেছে মৎস্য দফতর। এছাড়া সমুদ্র এবং নদী উত্তাল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই জন্য ফেরিঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীদের এবং উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদে উঁচু জায়গায় কিংবা ফ্লাড শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার কথা জানানো হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বিভিন্ন ত্রাণ শিবির। খুলে দেওয়া হয়েছে এলাকার বেশ কিছু স্কুল। মজুত রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল এবং শুকনো খাবার। চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দলকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ডানার আতঙ্কে কাবু উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
সুমন সাহা