Tag Archives: Cyclone Dana Update
Cyclone Dana at Bhitarkanika: ১৯৯৯ সালের সুপার সাইক্লোনের পর দানা! ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও কীভাবে রক্ষা পায় ভিতরকণিকা?
South 24 Parganas News: বারবার আসছে ঝড়, কবে মিলবে ঘর বাঁধার টাকা প্রশ্ন তুলছে উপকূলের মানুষজন
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আবাস যোজনার বাড়ি পায়নি সাধারণ মানুষজন। কিন্তু প্রতি বছর ঝড়, বৃষ্টি সহ একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসছে। আর যার জেরে চিন্তায় রয়েছেন সাধারণ মানুষজন। উপকূলীয় এলাকার মানুষজনের একটাই দাবি কবে মিলবে ঘরের টাকা।
যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ঘরের টাকা মিলবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী সার্ভে চলছে।
এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য উদয় হালদার জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকার কোনও টাকা দিচ্ছে না। তারপরেও রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগে এই ঘরের টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেবে।
পরের বছর থেকে আর ঝড় বৃষ্টিতে সমস্যা হবেনা। যদিও বারবার আসা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে নিজেদের ঘর নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।
এ নিয়ে ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে ঘেরা বাড়িতে থাকা এক বাসিন্দা রানু শেখ জানিয়েছেন, ঘর আসবে শুনতে শুনতে অনেকটাই সময় পেরিয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না। সরকার যদি সহযোগিতা করে তবে তাঁর মত আরও অনেকেই উপকৃত হবেন।
যদিও কেন্দ্র টাকা না দিলেও রাজ্যই সেই টাকা দিয়ে গরীব মানুষের ঘর তৈরি করে দেবে বলে জানিয়েছেন শাসক দলের নেতা কর্মীরা।
নবাব মল্লিক
দানার প্রভাবে তুমুল বৃষ্টি! ডেবরায় জলের তলায় বিঘা বিঘা চাষের জমি
দানার প্রভাবে চাষের ক্ষতি! বৃষ্টির জেরে ডেবরায় চাষের ক্ষতি। জলের তলায় বিঘের পর বিঘে জমি। সবং, পিংলাতেও চাষের ক্ষতির আশঙ্কা। ডেবরার বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন।
Jhargram News : ঘূর্ণিঝড় দানায় ক্ষতিগ্রস্ত ঝাড়গ্রাম, পাশে দাঁড়াতে একাধিক প্রদক্ষেপ জেলা প্রশাসনের
ঝাড়গ্রাম: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব ঝাড়গ্রাম জেলায় তেমন একটা না পড়লেও দানার কারণে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে জেলায়। কখনও হলুদ, কমলা আবার লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছিল জেলা জুড়ে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে একাধিক জায়গায় নষ্ট হয়েছে ফসল, কোথাও ভেঙে পড়েছে পুরানো মাটির বাড়ি। কোথাও আবার ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ,উল্টে পড়েছে গাছ।
আরও পড়ুন:বাক্সবন্দি কম্বলে অদ্ভুত গন্ধ? ঘরোয়া এই কাজ করুন, ড্রাই ক্লিনিং করানোর প্রয়োজনই পড়বে না
ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় দ্রুততার সঙ্গে গাছ সরিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি পুনস্থাপন করে বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রাখা হয়।
আরও পড়ুন: সাপের যম, বাড়িতে রাখুন এই জিনিস, ঘরের ত্রিসীমানাতেও আসতে পারবে না
ঘূর্ণিঝড় দানা পরবর্তী পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসনের কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত? সেই বিষয়কে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঝাড়গ্রামে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন রাজ্যের সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া।
শুক্রবার রাত্রে ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের কার্যালয়ে জেলার ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে সমস্ত দপ্তরের আধিকারিক এবং বিধায়ক, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, ঝাড়গ্রামে সাংসদ কালিপদ সরেন, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি, জেলাশাসক সুনীল আগারওয়াল-সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিরা।
মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিডিওদের পরিষ্কারভাবে জানানো রয়েছে মানুষের যা প্রয়োজন সবকিছুই দিতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের দরুন ঝাড়গ্রামে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, কিন্তু বৃষ্টির কারণে বহু জায়গায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বাংলা শস্য বীমার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে ফলে ক্ষতিগ্রস্তরা বীমার আয়তায় এসে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে।’’
তিনি আরও জানান, কয়েক জায়গায় গাছ এবং বিদ্যুতের খুটি পড়ে গিয়েছিল৷ সেই সব কিছু তৎপরতার সঙ্গে সামলে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ থেকে পানীয় জল সবকিছুর পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল ঝাড়গ্রামে। তার জন্য মানস ভুঁইয়া জেলা ঝাড়গ্রামের প্রশাসন, জন প্রতিনিধি এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্ক গ্রাস করেছিল ঝাড়গ্রামবাসীকে । কিন্তু দানার প্রভাব ঝাড়গ্রামে না পড়লেও অঝোর বৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় খুশি ক্ষতিগ্রস্তরা।
বুদ্ধদেব বেরা
IMD Weather Alert: এ কোন ‘অশনি’…! সব যেন গিলে খাচ্ছে! ভয়ানক ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডবে ভাসছে এই জেলা, কবে কাটবে দুর্যোগ? আবহাওয়ার বড় খবর
Cyclone Dana in Digha: এবার আরও ভয়ঙ্কর! রাক্ষুসে ‘দানা’র হানায় দিঘার সমুদ্রে তুলকালাম! ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের ছোবলে…, শুনলে ভয়ে আঁতকে উঠবেন
Cyclone Dana Update: দানার প্রভাব জেলাজুড়ে! পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দাঁতনে মন্ত্রী মানস, কী বললেন
পশ্চিম মেদিনীপুর: ইয়াশ, আমফানের পর দানার ভ্রুকুটি। দানার প্রভাবে জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্ত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের সূত্র অনুযায়ী, দানা আসার আগে থেকেই তৎপরতা নিয়েছিল প্রশাসন l। বুধবার থেকে জেলার একাধিক প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় থাকা সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছিল ত্রাণ শিবিরে। বৃহস্পতিবার একাধিক সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করা হয়। প্রসঙ্গত, ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ল্যান্ডফল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানার। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ছিল বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকার দাঁতন, মোহনপুর-সহ একাধিক ব্লকগুলিতে। তবে সেই অর্থে প্রত্যক্ষ প্রভাব না পড়লেও, প্রশাসন সূত্রে খবর, একাধিক মাটির বাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বেশ কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়েছে কয়েকটি এলাকায়।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ১, মোহনপুর, দাঁতন ২, নারায়ণগড় এবং কেশিয়াড়ি ব্লক পরিদর্শন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। শুধু তাই নয়, প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন সমগ্র বিষয় নিয়ে। প্রতিটি ব্লক অফিসে ব্লক প্রশাসন, মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। শুধু তাই নয় সকাল থেকে বাইকে চেপে একাধিক প্রান্তিক এলাকা ঘুরে দেখলেন কেশিয়াড়ি বিধানসভার বিধায়ক পরেশ মুর্মু। এছাড়াও এদিন এক অসুস্থ ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্স দেখে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন তিনি। এলাকায় ঘুরে ত্রাণ তুলে দেন তিনি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সারা মেদিনীপুর জেলায় ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। দাঁতন ১ ব্লকে চার হাজার ৭০০-র বেশি মানুষকে উদ্ধার করে রাখা হয়েছিল একাধিক ত্রাণ শিবিরে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও প্রায় বেশ কয়েকশো মানুষকে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি দাঁতন ২ ব্লকে ৪৮০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কেশিয়াড়ি ব্লকে কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করে রাখা হয়েছিল নিরাপদ আশ্রয়ে। মোহনপুর ব্লকে ১১ হাজার ৭০০ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
একইভাবে নারায়ণগড়েও বেশ কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলেছিল প্রশাসন। ইতিমধ্যে ৬৭৫০ জনকে রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবিরগুলিতে। সকাল থেকে একাধিক এলাকা খতিয়ে দেখেন দাঁতন বিধানসভার বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান। বিধানসভা এলাকায় চাষের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের ফোন করে খোঁজ খবর নিয়েছেন এলাকার।
মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, “জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা নেই। ইতিমধ্যে জেলায় চাষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় বিধায়কেরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। স্বাভাবিকভাবে দুর্যোগ কাটলেও ভারী বর্ষার আশঙ্কা রয়েছে জেলা জুড়ে। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার দিকে সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।”
রঞ্জন চন্দ
Cyclone Dana Update: রাতভর দানায় নজর! দুর্যোগ নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
রাতভর দানায় নজর। জেলাশাসকদের সঙ্গে ফোনে কথা। সকালে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। সাত জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রিপোর্ট তলব। দুপুরে জেলাশাসকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর।
Cyclone Dana Update: সকাল থেকেই নাগাড়ে বৃষ্টি! দানার প্রভাব সুন্দরবন উপকূলে
দানার প্রভাব সুন্দরবন উপকূলে। সকাল থেকে বৃষ্টি চলছে বকখালিতে। নামখানা এবং ফ্রেজারগঞ্জেও বৃষ্টি। অবিরাম বৃষ্টিতে ফের দুর্ভোগের আশঙ্কা।