বাবা সিদ্দিকি খুনে অভিযুক্ত হতে পারতেন ডাক্তার

Baba Siddique Murder: হতে পারতেন ডাক্তার, জীবনের এক ভুলেই সব শেষ! বাবা সিদ্দিকি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্মরাজের কাহিনি জানুন

বাহরাইচ: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্ধিকি হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ধর্মরাজ ডাক্তার হতে পারত।  অপরাধ জগতের পরিবর্তে সে যদি পরিবারের কথা শুনত, তাহলেই ডাক্তার হতে পারত।

চমকে ওঠার মতোই ব্যাপার৷ ধর্মরাজের শুরুর জীবন ছিল খুবই ভাল। সে পড়াশোনায়ও মেধাবী ছিল এবং গ্রামের কোনও মারামারি বা ঝগড়ার ঘটনার সঙ্গে যুক্তও ছিল না৷  ১০ম শ্রেণিতে ৭৮% নম্বর ছিল তার। ধর্মরাজের বড় ভাই জানিয়েছেন, তাকে নীট পরীক্ষার প্রস্তুতি করিয়ে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিল পরিবার।

আরও পড়ুন : গ্যাস লিক করে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ভয়াবহ বিস্ফোরণ! নিমেশে শেষ গোটা পরিবার

দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের বাহরাইচের ধর্মরাজ কশ্যপ, যাকে রকি বলা হয়, তার শুরুর জীবন ভালো ছিল। তার বড় ভাই অনুরাগ কশ্যপ বলেছেন, ধর্মরাজ ১০ম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৭৮% নম্বর অর্জন করেছিল। এরপর পরিবার তাকে মেডিকেল লাইনে কেরিয়ার গড়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু সে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে গ্যাংস্টার হওয়ার ভুল পথে চলে যায়। সে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের মতো গ্যাংস্টারকে আদর্শ হিসেবে মানতে শুরু করে। অনুরাগ বলেছেন, “আমি আমার ছোট ভাইকে দেখভাল করতে না পারার জন্য নিজেকে দোষারোপ করি। তখন একটু শক্ত হাতে ধরলেই ওর এত বড় ক্ষতি হত না৷”

অনুরাগ জানিয়েছেন, ধর্মরাজের ভুল পথে যাওয়ার খবর তখনই পাওয়া যায় যখন সে ইন্টারমিডিয়েটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। অনুরাগের বকা খাওয়ার পর ধর্মরাজ তার বন্ধু এবং প্রতিবেশী শিবকুমার গৌতমের সঙ্গে পুনেতে চলে যায়। সেখানে থাকার সময়ই সে শিবকুমারের সঙ্গে বাবা সিদ্ধিকির হত্যার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। শিবকুমার এখন সিদ্ধিকির হত্যার প্রধান অভিযুক্ত এবং বর্তমানে পলাতক। শিবকুমার তিন বছর ধরে পুনেতে স্ক্র্যাপ ব্যবসায় জড়িত ছিল৷

আরও পড়ুন : ঘরে প্রবল ঝামেলা, করবা চৌথে স্বামীকে বিষ খাইয়ে মারল স্ত্রী! জানুন সেই হাড়হিম করা ঘটনা

অনুরাগ বলেন, তাদের ৬ ভাইবোনের মধ্যে ধর্মরাজ ছিল সবচেয়ে ছোট৷ ধর্মরাজের দেখাশোনা শুধু অনুরাগই করছিল। তিনি একটি কাপড়ের দোকান চালাত, এবং এটাই ছিল পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। সূত্রের মতে, স্ক্র্যাপ ব্যবসা করার আগে শিবকুমার খাবার পৌঁছে দেওয়ার  এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিল৷ শিবকুমার ধর্মরাজের থেকে ছোট, কিন্তু বিচার-বুদ্ধিতে সে বেশ এগিয়ে। ৫ম শ্রেণিতেই সে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামে থাকার সময় ধর্মরাজ এবং শিবকুমার কোনও ঝগড়াও হয়নি৷