Tag Archives: Baba Siddique

Maharashtra assembly polls: বড় সিদ্ধান্ত নিলেন খুন হওয়া বাবা সিদ্দিকির বিধায়ক পুত্র জিশান, মহারাষ্ট্রে ভোটের আগে কোন দলে যোগ?

মুম্বাই: এখনও কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের কিনারা হয়নি৷ তার আগেই দল বদল করলেন বাবা সিদ্দিকির বিধায়ক পুত্র জিশান সিদ্দিকি৷ এ দিন অজিত পাওয়ার পন্থী এনসিপি-তে যোগ দিলেন তিনি৷ জিশান জানিয়েছেন, কঠিন সময়ে অজিত পাওয়ারের দল তাঁর পাশে থাকার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি৷

তবে জিশানের দল বদল অনিবার্যই ছিল৷ কারণ গত অগাস্ট মাসেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল কংগ্রেস৷

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ! হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই হবে ১৪০৫২ পদে নিয়োগ

আামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন৷ এবারের নির্বাচনেও বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্র থেকে লড়বেন জিশান৷ ২০১৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ওই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে পন্থী শিবসেনার বরুণ সরদেশাই৷ যিনি আবার সম্পর্কে আদিত্য ঠাকরের সম্পর্কিত ভাই৷

কয়েকদিন আগেই নাম না করে কংগ্রেস সহ মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোটকে আক্রমণ করেছিলেন জিশান৷ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দেন তিনি৷ এ দিন অজিত পাওয়ারের উপস্থিতিতেই এনসিপি-তে যোগ দেন জিশান৷

Baba Siddique Murder: হতে পারতেন ডাক্তার, জীবনের এক ভুলেই সব শেষ! বাবা সিদ্দিকি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্মরাজের কাহিনি জানুন

বাহরাইচ: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্ধিকি হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ধর্মরাজ ডাক্তার হতে পারত।  অপরাধ জগতের পরিবর্তে সে যদি পরিবারের কথা শুনত, তাহলেই ডাক্তার হতে পারত।

চমকে ওঠার মতোই ব্যাপার৷ ধর্মরাজের শুরুর জীবন ছিল খুবই ভাল। সে পড়াশোনায়ও মেধাবী ছিল এবং গ্রামের কোনও মারামারি বা ঝগড়ার ঘটনার সঙ্গে যুক্তও ছিল না৷  ১০ম শ্রেণিতে ৭৮% নম্বর ছিল তার। ধর্মরাজের বড় ভাই জানিয়েছেন, তাকে নীট পরীক্ষার প্রস্তুতি করিয়ে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিল পরিবার।

আরও পড়ুন : গ্যাস লিক করে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ভয়াবহ বিস্ফোরণ! নিমেশে শেষ গোটা পরিবার

দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের বাহরাইচের ধর্মরাজ কশ্যপ, যাকে রকি বলা হয়, তার শুরুর জীবন ভালো ছিল। তার বড় ভাই অনুরাগ কশ্যপ বলেছেন, ধর্মরাজ ১০ম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৭৮% নম্বর অর্জন করেছিল। এরপর পরিবার তাকে মেডিকেল লাইনে কেরিয়ার গড়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু সে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে গ্যাংস্টার হওয়ার ভুল পথে চলে যায়। সে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের মতো গ্যাংস্টারকে আদর্শ হিসেবে মানতে শুরু করে। অনুরাগ বলেছেন, “আমি আমার ছোট ভাইকে দেখভাল করতে না পারার জন্য নিজেকে দোষারোপ করি। তখন একটু শক্ত হাতে ধরলেই ওর এত বড় ক্ষতি হত না৷”

অনুরাগ জানিয়েছেন, ধর্মরাজের ভুল পথে যাওয়ার খবর তখনই পাওয়া যায় যখন সে ইন্টারমিডিয়েটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। অনুরাগের বকা খাওয়ার পর ধর্মরাজ তার বন্ধু এবং প্রতিবেশী শিবকুমার গৌতমের সঙ্গে পুনেতে চলে যায়। সেখানে থাকার সময়ই সে শিবকুমারের সঙ্গে বাবা সিদ্ধিকির হত্যার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। শিবকুমার এখন সিদ্ধিকির হত্যার প্রধান অভিযুক্ত এবং বর্তমানে পলাতক। শিবকুমার তিন বছর ধরে পুনেতে স্ক্র্যাপ ব্যবসায় জড়িত ছিল৷

আরও পড়ুন : ঘরে প্রবল ঝামেলা, করবা চৌথে স্বামীকে বিষ খাইয়ে মারল স্ত্রী! জানুন সেই হাড়হিম করা ঘটনা

অনুরাগ বলেন, তাদের ৬ ভাইবোনের মধ্যে ধর্মরাজ ছিল সবচেয়ে ছোট৷ ধর্মরাজের দেখাশোনা শুধু অনুরাগই করছিল। তিনি একটি কাপড়ের দোকান চালাত, এবং এটাই ছিল পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। সূত্রের মতে, স্ক্র্যাপ ব্যবসা করার আগে শিবকুমার খাবার পৌঁছে দেওয়ার  এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিল৷ শিবকুমার ধর্মরাজের থেকে ছোট, কিন্তু বিচার-বুদ্ধিতে সে বেশ এগিয়ে। ৫ম শ্রেণিতেই সে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামে থাকার সময় ধর্মরাজ এবং শিবকুমার কোনও ঝগড়াও হয়নি৷

Lawrence Bishnoi: লরেন্স বিষ্ণোইয়ের আসল নাম কী ? কলেজ পড়ুয়া থেকে কীভাবে হয়ে উঠলেন ‘ডন’? জানুন গ্যাংস্টার বিষ্ণোইয়ের কাহিনি

জেলে আছেন ১০ বছরের বেশি সময় হয়ে গেল। একাধিকবার বদলেছে কয়েদবাসের ঠিকানাও। এখন যেমন রয়েছেন গুজরাতের আহমেদাবাদের সবরমতী সেন্ট্রাল জেলে। কিন্তু বিলাসবহুল জীবনযাপনে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। জেলে বসেই বছরে বছরে লরেন্স বিষ্ণোই খরচ করে চলেন ৩৫-৪০ লাখ টাকা, এমনটা এবার শোনা গিয়েছে। কোথা থেকে সেই টাকা আসে, সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র।
জেলে আছেন ১০ বছরের বেশি সময় হয়ে গেল। একাধিকবার বদলেছে কয়েদবাসের ঠিকানাও। এখন যেমন রয়েছেন গুজরাতের আহমেদাবাদের সবরমতী সেন্ট্রাল জেলে। কিন্তু বিলাসবহুল জীবনযাপনে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। জেলে বসেই বছরে বছরে লরেন্স বিষ্ণোই খরচ করে চলেন ৩৫-৪০ লাখ টাকা, এমনটা এবার শোনা গিয়েছে। কোথা থেকে সেই টাকা আসে, সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্র।
তিনি আর কেউ নন, দেশের অন্যতম কুখ্যাত এই গ্যাংস্টারের এক তুতো ভাই রমেশ বিষ্ণোই। বড় হয়ে লরেন্স যে দাগী অপরাধী হবে, এ কথা মা-বাবা তো বটেই, পুরো পরিবারও ঘুণাক্ষরে কল্পনা করেননি বলে দাবি তাঁর।
তিনি আর কেউ নন, দেশের অন্যতম কুখ্যাত এই গ্যাংস্টারের এক তুতো ভাই রমেশ বিষ্ণোই। বড় হয়ে লরেন্স যে দাগী অপরাধী হবে, এ কথা মা-বাবা তো বটেই, পুরো পরিবারও ঘুণাক্ষরে কল্পনা করেননি বলে দাবি তাঁর।
রমেশ বিষ্ণোই বলছেন যে জেলে যাতে লরেন্স ভালভাবে থাকতে পারে, তার কোনও অসুবিধা হয় না, সেই জন্য তাঁর মা-বাবাই বছরে বছরে ৩৫-৪০ লাখ টাকা খরচ করেন। এই টাকা কোথা থেকে আসে, সেই প্রশ্নের উত্তর বেশ সরাসরিই দিয়েছেন ভাই। ‘‘আমাদের বরাবরই ধনী পরিবার! লরেন্সের বাবা হরিয়ানা পুলিশে কনস্টেবলের কাজ করতেন বটে, কিন্তু আমাদের গ্রামে তাঁর ১১০ একর চাষের জমি আছে। লরেন্স বরাবরই দামি দামি জামা, জুতো পরত। এখনও যাতে বহাল তবিয়তে থাকতে পারে, সেই জন্য পরিবার থেকে বছরে বছরে ৩৫-৪০ লাখ টাকা পাঠানো হয়’’, বলছেন রমেশ বিষ্ণোই।
রমেশ বিষ্ণোই বলছেন যে জেলে যাতে লরেন্স ভালভাবে থাকতে পারে, তার কোনও অসুবিধা হয় না, সেই জন্য তাঁর মা-বাবাই বছরে বছরে ৩৫-৪০ লাখ টাকা খরচ করেন। এই টাকা কোথা থেকে আসে, সেই প্রশ্নের উত্তর বেশ সরাসরিই দিয়েছেন ভাই। ‘‘আমাদের বরাবরই ধনী পরিবার! লরেন্সের বাবা হরিয়ানা পুলিশে কনস্টেবলের কাজ করতেন বটে, কিন্তু আমাদের গ্রামে তাঁর ১১০ একর চাষের জমি আছে। লরেন্স বরাবরই দামি দামি জামা, জুতো পরত। এখনও যাতে বহাল তবিয়তে থাকতে পারে, সেই জন্য পরিবার থেকে বছরে বছরে ৩৫-৪০ লাখ টাকা পাঠানো হয়’’, বলছেন রমেশ বিষ্ণোই।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে গ্যাংস্টারের আসল নাম কিন্তু লরেন্স বিষ্ণোই নয়। বিষ্ণোই তাঁদের সম্প্রদায়ের নাম। গ্যাংস্টারের পিতৃদত্ত নাম বলকরণ ব্রার (Balkaran Brar)। স্কুলে পড়ার সময়েই তিনি লরেন্স বিষ্ণোই নাম গ্রহণ করেন, শোনা যায় এক পিসি না কি সমর্থন করে বলেছিলেন এই নামটা অনেক ভাল শোনায়!
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে গ্যাংস্টারের আসল নাম কিন্তু লরেন্স বিষ্ণোই নয়। বিষ্ণোই তাঁদের সম্প্রদায়ের নাম। গ্যাংস্টারের পিতৃদত্ত নাম বলকরণ ব্রার (Balkaran Brar)। স্কুলে পড়ার সময়েই তিনি লরেন্স বিষ্ণোই নাম গ্রহণ করেন, শোনা যায় এক পিসি না কি সমর্থন করে বলেছিলেন এই নামটা অনেক ভাল শোনায়!
এর পরে নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে আর দেশ জুড়ে রক্তধারা। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের এখন বয়স ৩১ বছর। ২০১০ সালে তিনি চণ্ডীগড় কলেজে ভর্তি হন। কিছুদিনের মধ্যেই যোগ দেন ছাত্র রাজনীতিতে। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি পঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। ২০১০ সালের এপ্রিলে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। একই সঙ্গে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের হয় এফআইআর। দুটি মামলাই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
এর পরে নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে আর দেশ জুড়ে রক্তধারা। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের এখন বয়স ৩১ বছর। ২০১০ সালে তিনি চণ্ডীগড় কলেজে ভর্তি হন। কিছুদিনের মধ্যেই যোগ দেন ছাত্র রাজনীতিতে। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি পঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। ২০১০ সালের এপ্রিলে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। একই সঙ্গে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের হয় এফআইআর। দুটি মামলাই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
২০১২ সালে জেল হয় বিষ্ণোইয়ের। মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্টে তাঁকে তিহাড়ে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৩ সালে তিনি সরকারি কলেজ নির্বাচনের জয়ী প্রার্থী এবং লুধিয়ানা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে গুলি করে খুন করেন। বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নেতাদের খুন, চাঁদাবাজি-সহ এক ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তাঁর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে মদ এবং অস্ত্র চোরাচালানের কারবার চালানোর অভিযোগও রয়েছে। সীমান্ত চোরাচালানের একটি মামলায় তাঁকে গুজরাতে নিয়ে যায় এটিএস।
২০১২ সালে জেল হয় বিষ্ণোইয়ের। মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্টে তাঁকে তিহাড়ে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৩ সালে তিনি সরকারি কলেজ নির্বাচনের জয়ী প্রার্থী এবং লুধিয়ানা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে গুলি করে খুন করেন। বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নেতাদের খুন, চাঁদাবাজি-সহ এক ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তাঁর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে মদ এবং অস্ত্র চোরাচালানের কারবার চালানোর অভিযোগও রয়েছে। সীমান্ত চোরাচালানের একটি মামলায় তাঁকে গুজরাতে নিয়ে যায় এটিএস।
এনআইএ-এর বক্তব্য অনুযায়ী, বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ে ৫টি রাজ্যে ৭০০-এর বেশি শ্যুটার রয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ শ্যুটার পঞ্জাবের। সলমন খানকে খুনের হুমকি, সিধু মুসেওয়ালার নৃশংস হত্যাকাণ্ড, দক্ষিণ দিল্লির জিম মালিককে গুলি করে খুন এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির হত্যা- সবেরই নেপথ্যে উঠে এসেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম।
এনআইএ-এর বক্তব্য অনুযায়ী, বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ে ৫টি রাজ্যে ৭০০-এর বেশি শ্যুটার রয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ শ্যুটার পঞ্জাবের। সলমন খানকে খুনের হুমকি, সিধু মুসেওয়ালার নৃশংস হত্যাকাণ্ড, দক্ষিণ দিল্লির জিম মালিককে গুলি করে খুন এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির হত্যা- সবেরই নেপথ্যে উঠে এসেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম।
সম্প্রতি কানাডা সরকার অভিযোগ করেছে যে এই গ্যাংয়ের সদস্য এবং ভারত সরকারের মদতে উত্তর আমেরিকার এই দেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলছে। সঙ্গত কারণেই ভারত সরকার এই অভিযোগ মানতে নারাজ। গুজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের যোগের এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ কানাডা দেখাতে পারেনি, সে কথা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখের উপরে।
সম্প্রতি কানাডা সরকার অভিযোগ করেছে যে এই গ্যাংয়ের সদস্য এবং ভারত সরকারের মদতে উত্তর আমেরিকার এই দেশে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চলছে। সঙ্গত কারণেই ভারত সরকার এই অভিযোগ মানতে নারাজ। গুজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের যোগের এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ কানাডা দেখাতে পারেনি, সে কথা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখের উপরে।

Lawrence Bishnoi: স্কুলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে অপরাধ জগতের বেতাজ বাদশা, সামনে এল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের অদেখা ছবি

মেধাবী ছাত্র ছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই। তাঁকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কিন্তু কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল! লরেন্স বিষ্ণোই হয়ে উঠলেন অপরাধ জগতের বেতাজ বাদশা। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম শোনা গিয়েছে খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মুখেও। কলেজে পড়তে পড়তেই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়ই অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয় তাঁর। একের পর এক খুনের ঘটনায় নাম জড়ায়।
মেধাবী ছাত্র ছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই। তাঁকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কিন্তু কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল! লরেন্স বিষ্ণোই হয়ে উঠলেন অপরাধ জগতের বেতাজ বাদশা। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম শোনা গিয়েছে খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মুখেও। কলেজে পড়তে পড়তেই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়ই অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয় তাঁর। একের পর এক খুনের ঘটনায় নাম জড়ায়।
পুলিশের খাতায় তিনি ‘ইন্টারন্যাশনাল গ্যাং লিডার’। খুন, তোলাবাজি সহ ৪০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাঁর নামে। বর্তমানে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দী। কিন্তু সেখান থেকেই চালাচ্ছেন রাজ্যপাট। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের স্কুল ও কলেজ জীবনের বেশ কিছু অদেখা ছবি এসেছে নিউজ18 হিন্দি-এর হাতে। বলা যায় ছোটবেলার ছবি।
পুলিশের খাতায় তিনি ‘ইন্টারন্যাশনাল গ্যাং লিডার’। খুন, তোলাবাজি সহ ৪০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাঁর নামে। বর্তমানে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দী। কিন্তু সেখান থেকেই চালাচ্ছেন রাজ্যপাট। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের স্কুল ও কলেজ জীবনের বেশ কিছু অদেখা ছবি এসেছে নিউজ18 হিন্দি-এর হাতে। বলা যায় ছোটবেলার ছবি।
কোনও ছবিতে স্কুলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রিন্সিপ্যালের হাত থেকে ট্রফি নিচ্ছেন আবার কোনও ছবিতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন চুটিয়ে। গোঁফের রেখাও ওঠেনি তখন। আজকের বুকে কাঁপন ধরানো গ্যাংস্টারের ছোটবেলা কেমন কেটেছে, এই সব ছবি থেকে স্পষ্ট আন্দাজ করা যায়। ৩১ বছর বয়সী লরেন্স বিষ্ণোই আইনে স্নাতক। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! আইন বলবৎ করার কথা ছিল যে যুবকের, এখন তিনি নিজেই আইন হাতে তুলে নিয়েছেন।
কোনও ছবিতে স্কুলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রিন্সিপ্যালের হাত থেকে ট্রফি নিচ্ছেন আবার কোনও ছবিতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন চুটিয়ে। গোঁফের রেখাও ওঠেনি তখন। আজকের বুকে কাঁপন ধরানো গ্যাংস্টারের ছোটবেলা কেমন কেটেছে, এই সব ছবি থেকে স্পষ্ট আন্দাজ করা যায়। ৩১ বছর বয়সী লরেন্স বিষ্ণোই আইনে স্নাতক। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! আইন বলবৎ করার কথা ছিল যে যুবকের, এখন তিনি নিজেই আইন হাতে তুলে নিয়েছেন।
পাকানো গোঁফ, মুখ ভর্তি চাপ দাড়ি। ছোটখাটো চেহারা। এহেন লরেন্স বিষ্ণোই কানাডা, নেপাল সহ দেশ বিদেশের জেলে থাকা ঘনিষ্ঠ অনুচরদের দিয়েই অপরাধ জগতে রাজত্ব চালান। এমনটাই অভিযোগ করেছে এনআইএ। গত বছর একটি টিভি সাক্ষাৎকারে খালিস্তানি আন্দোলনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই। স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘ওরা অ্যান্টি ন্যাশনাল। দেশকে ভাগ করতে চায়।’’
পাকানো গোঁফ, মুখ ভর্তি চাপ দাড়ি। ছোটখাটো চেহারা। এহেন লরেন্স বিষ্ণোই কানাডা, নেপাল সহ দেশ বিদেশের জেলে থাকা ঘনিষ্ঠ অনুচরদের দিয়েই অপরাধ জগতে রাজত্ব চালান। এমনটাই অভিযোগ করেছে এনআইএ। গত বছর একটি টিভি সাক্ষাৎকারে খালিস্তানি আন্দোলনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই। স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘ওরা অ্যান্টি ন্যাশনাল। দেশকে ভাগ করতে চায়।’’
তবে জেল থেকে লরেন্স কীভাবে সাক্ষাৎকার দিলেন সেই নিয়ে হইচই পড়ে যায়। তদন্ত শুরু করে জেল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয় ভিডিও ক্লিপ। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই বক্তব্যকে মিলিয়ে দেন অনেকেই। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ দাবি করেছে, বেছে বেছে খালিস্তানি জঙ্গিদের টার্গেট করছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। তবে এই অভিযোগের কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।
তবে জেল থেকে লরেন্স কীভাবে সাক্ষাৎকার দিলেন সেই নিয়ে হইচই পড়ে যায়। তদন্ত শুরু করে জেল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয় ভিডিও ক্লিপ। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই বক্তব্যকে মিলিয়ে দেন অনেকেই। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ দাবি করেছে, বেছে বেছে খালিস্তানি জঙ্গিদের টার্গেট করছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল। তবে এই অভিযোগের কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দী। তবে নিরাপত্তার কারণে কোনও জেলেই বেশি দিন রাখা হয় না তাঁকে। এক জেল থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আরেক জেলে। ২০২২ সালে সিধু মুশেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের প্রথম লাইমলাইটে আসেন লরেন্স বিষ্ণোই। এর সঙ্গে সলমন খানকে খুনির হুমকি দেওয়া তো আছেই। কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুনেও তাঁর নাম জড়িয়েছে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের স্কুলের একটা ছবি সামনে এসেছে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে গলায় মেডেল আর হাতে সার্টিফিকেট নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। তবে এই ছবিটি কত বছর আগের, কোন খেলায় বিষ্ণোই পুরস্কার জেতেন, সে সব জানা যায়নি।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দী। তবে নিরাপত্তার কারণে কোনও জেলেই বেশি দিন রাখা হয় না তাঁকে। এক জেল থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আরেক জেলে। ২০২২ সালে সিধু মুশেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের প্রথম লাইমলাইটে আসেন লরেন্স বিষ্ণোই। এর সঙ্গে সলমন খানকে খুনির হুমকি দেওয়া তো আছেই। কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুনেও তাঁর নাম জড়িয়েছে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের স্কুলের একটা ছবি সামনে এসেছে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে গলায় মেডেল আর হাতে সার্টিফিকেট নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। তবে এই ছবিটি কত বছর আগের, কোন খেলায় বিষ্ণোই পুরস্কার জেতেন, সে সব জানা যায়নি।

লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গডফাদারকে চেনেন? ৩২ বছর বয়সী গ্যাংস্টারকে মদত জোগায় কে?

বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পর থেকে সবার মুখে মুখে ঘুরছে একটাই নাম, লরেন্স বিষ্ণোই। বর্তমানে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দী। কিন্তু সেখান থেকেই চালাচ্ছেন অপরাধের সাম্রাজ্য। গত দুই বছরে তিনটি বড় খুনের ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছে। কানাডার পুলিশও নিজেদের হেফাজতে চাইছে বিষ্ণোইকে।
বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পর থেকে সবার মুখে মুখে ঘুরছে একটাই নাম, লরেন্স বিষ্ণোই। বর্তমানে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দী। কিন্তু সেখান থেকেই চালাচ্ছেন অপরাধের সাম্রাজ্য। গত দুই বছরে তিনটি বড় খুনের ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছে। কানাডার পুলিশও নিজেদের হেফাজতে চাইছে বিষ্ণোইকে।
২০২২ সালে পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম প্রথম লাইমলাইটে আসে। পরের বছর কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনেও তাঁর নাম জড়িয়ে যায়। এরপর দশেরার দিন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পিছনেও বিষ্ণোইয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০২২ সালে পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম প্রথম লাইমলাইটে আসে। পরের বছর কানাডায় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনেও তাঁর নাম জড়িয়ে যায়। এরপর দশেরার দিন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পিছনেও বিষ্ণোইয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
লরেন্স বিষ্ণোইকে নিয়ে আমজনতার মনে ব্যাপক কৌতূহল। ৩২ বছর বয়সী এক যুবক জেল থেকে দুটি দেশের ৩টি বড় অপরাধ ঘটাচ্ছে, এটা মোটেই সাধারণ ব্যাপার নয়। সবচেয়ে বড় কথা হল, জেল থেকে বিষ্ণোই কাজ করছেন কীভাবে? তাঁর কী কোনও গডফাদার আছে? তিনি সবচেয়ে বড় নায়ক মনে করেন? ২২ বছর বয়স থেকে জেলে রয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই। জীবনের মূল্যবান দশটা বছর কারাগারের অন্তরালেই কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও দাপট কমেনি একচুলও। কোথা থেকে এত সাহস পান লরেন্স বিষ্ণোই? জেলে লরেন্স বিষ্ণোইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এক ডিএসপি।
লরেন্স বিষ্ণোইকে নিয়ে আমজনতার মনে ব্যাপক কৌতূহল। ৩২ বছর বয়সী এক যুবক জেল থেকে দুটি দেশের ৩টি বড় অপরাধ ঘটাচ্ছে, এটা মোটেই সাধারণ ব্যাপার নয়। সবচেয়ে বড় কথা হল, জেল থেকে বিষ্ণোই কাজ করছেন কীভাবে? তাঁর কী কোনও গডফাদার আছে? তিনি সবচেয়ে বড় নায়ক মনে করেন? ২২ বছর বয়স থেকে জেলে রয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই। জীবনের মূল্যবান দশটা বছর কারাগারের অন্তরালেই কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও দাপট কমেনি একচুলও। কোথা থেকে এত সাহস পান লরেন্স বিষ্ণোই? জেলে লরেন্স বিষ্ণোইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এক ডিএসপি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হিন্দুস্তান টাইমস-কে তিনি বলেছেন, অন্যান্য গ্যাংস্টারের মতো বিষ্ণোইয়ের কোনও গডফাদার নেই। নিজেকেই সে নিজের জীবনের নায়ক মনে করে।এক এসএসপি পদমর্যাদার অফিসার বিষ্ণোইকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। তিনি বলছেন, বিষ্ণোইকে কখনওই এক জেলে বেশিদিন রাখা হয় না। কিছুদিন পরপর জেল বদলানো হয়। তাছাড়া জেলের ভিতরেও একা থাকেন না বিষ্ণোই। সবসময় নজরদারি চলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হিন্দুস্তান টাইমস-কে তিনি বলেছেন, অন্যান্য গ্যাংস্টারের মতো বিষ্ণোইয়ের কোনও গডফাদার নেই। নিজেকেই সে নিজের জীবনের নায়ক মনে করে।
এক এসএসপি পদমর্যাদার অফিসার বিষ্ণোইকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। তিনি বলছেন, বিষ্ণোইকে কখনওই এক জেলে বেশিদিন রাখা হয় না। কিছুদিন পরপর জেল বদলানো হয়। তাছাড়া জেলের ভিতরেও একা থাকেন না বিষ্ণোই। সবসময় নজরদারি চলে।
পঞ্জাবের এক পুলিশ আধিকারিক বলছেন, বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ে ঠিক কতজন সদস্য আছে এটা বার করা মুশকিল। জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাংস্টার নিজেই একবার বলেছিলেন, যে কোনও দেশে যে কোনও রকম অপারেশন তিনি চালাতে পারেন। শুধু সেই দেশে ভারতীয় যুবক থাকলেই হবে।পঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা মনে করেন, বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সম্পত নেহরা হরিয়ানার দায়িত্ব সামলান। গোল্ডি ব্রার যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, তিনি পঞ্জাব এবং ভারতের বাইরে বিষ্ণোইয়ের হয়ে কাজ করেন। দীপক কুমার ওরফে টিনু, রবিন্দর ওরফে কালি রাজপুত এবং সন্দীপ ওরফে কালা জাথেরি বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তবে গোল্ডি ব্রার ছাড়া সবাই জেলে।
পঞ্জাবের এক পুলিশ আধিকারিক বলছেন, বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ে ঠিক কতজন সদস্য আছে এটা বার করা মুশকিল। জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাংস্টার নিজেই একবার বলেছিলেন, যে কোনও দেশে যে কোনও রকম অপারেশন তিনি চালাতে পারেন। শুধু সেই দেশে ভারতীয় যুবক থাকলেই হবে।
পঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা মনে করেন, বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সম্পত নেহরা হরিয়ানার দায়িত্ব সামলান। গোল্ডি ব্রার যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, তিনি পঞ্জাব এবং ভারতের বাইরে বিষ্ণোইয়ের হয়ে কাজ করেন। দীপক কুমার ওরফে টিনু, রবিন্দর ওরফে কালি রাজপুত এবং সন্দীপ ওরফে কালা জাথেরি বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তবে গোল্ডি ব্রার ছাড়া সবাই জেলে।

মুম্বইয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্যের মালিক বাবা সিদ্দিকি, কেমন ছিল তাঁর যাত্রাপথ?

দশেরার সন্ধ্যায় এনসিপি নেতা তথা তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা মুম্বইতে। কিন্তু কে এই বাবা সিদ্দিকি? তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা নন। তাঁর আরও অনেক পরিচয় রয়েছে।
দশেরার সন্ধ্যায় এনসিপি নেতা তথা তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা মুম্বইতে। কিন্তু কে এই বাবা সিদ্দিকি? তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা নন। তাঁর আরও অনেক পরিচয় রয়েছে।
বাবা সিদ্দিকি সলমন ঘনিষ্ঠ। গোটা বলিউড তাঁকে এক ডাকে চেনে। সলমন ও শাহরুখের সম্পর্ক জোড়া লাগিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু রাজনীতি বা বলিউড নয়, বাবা সিদ্দিকি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীও। কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি। নব্বইয়ের দশকে শুরু হয় বাবা সিদ্দিকি রাজনীতি ও ব্যবসায় পা রাখেন। সেই সময় বান্দ্রা পশ্চিমে যুব কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন তিনি। মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে মুম্বইয়ের রাজনীতির মুখ হয়ে ওঠেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রিয়েল এস্টেটের বাজার যত বাড়ে, বাবা সিদ্দিকির রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক উত্থানও তত গতি পায়।
বাবা সিদ্দিকি সলমন ঘনিষ্ঠ। গোটা বলিউড তাঁকে এক ডাকে চেনে। সলমন ও শাহরুখের সম্পর্ক জোড়া লাগিয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু রাজনীতি বা বলিউড নয়, বাবা সিদ্দিকি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীও। কোটি কোটি টাকার মালিক তিনি। নব্বইয়ের দশকে শুরু হয় বাবা সিদ্দিকি রাজনীতি ও ব্যবসায় পা রাখেন। সেই সময় বান্দ্রা পশ্চিমে যুব কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন তিনি। মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে মুম্বইয়ের রাজনীতির মুখ হয়ে ওঠেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রিয়েল এস্টেটের বাজার যত বাড়ে, বাবা সিদ্দিকির রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক উত্থানও তত গতি পায়।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি বান্দ্রা পশ্চিমে কংগ্রেসের তরুণ কর্পোরেটর হিসাবে আবির্ভূত হন বাবা সিদ্দিকি। পরণে থাকত জিনস আর টি-শার্ট। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সদর দফতর হয়ে উঠেছিল তাঁর ঘরবাড়ি।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি বান্দ্রা পশ্চিমে কংগ্রেসের তরুণ কর্পোরেটর হিসাবে আবির্ভূত হন বাবা সিদ্দিকি। পরণে থাকত জিনস আর টি-শার্ট। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সদর দফতর হয়ে উঠেছিল তাঁর ঘরবাড়ি।
১৯৯৮ সালে চালু হল বস্তি পুনঃউন্নয়ন নীতি। রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের কপাল খুলে গেল। এই পলিসির আওতায় বস্তিবাসীদের বিনামূল্যে বাড়ি দেয় সরকার। জমির একটা অংশ বাণিজ্যিক ও বিলাবহুল প্রকল্পে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয় ডেভেলপারদের।
১৯৯৮ সালে চালু হল বস্তি পুনঃউন্নয়ন নীতি। রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের কপাল খুলে গেল। এই পলিসির আওতায় বস্তিবাসীদের বিনামূল্যে বাড়ি দেয় সরকার। জমির একটা অংশ বাণিজ্যিক ও বিলাবহুল প্রকল্পে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয় ডেভেলপারদের।
বান্দ্রা, খার এবং সান্তাক্রুজে তখন বাবা সিদ্দিকির রাজত্ব। তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। তবে এই প্রকল্পের কাজ করেছিলেন এইচডিআইএল-এর প্রধান রাকেশ ওয়াধাওয়ান এবং রাজস্থানের রাজনীতিবিদ রফিক ম্যান্ডেলিয়া। দু’জনেই সিদ্দিকির অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। ২০২৩ সালে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ম্যান্ডেলিয়ার ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি টাকা।
বান্দ্রা, খার এবং সান্তাক্রুজে তখন বাবা সিদ্দিকির রাজত্ব। তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। তবে এই প্রকল্পের কাজ করেছিলেন এইচডিআইএল-এর প্রধান রাকেশ ওয়াধাওয়ান এবং রাজস্থানের রাজনীতিবিদ রফিক ম্যান্ডেলিয়া। দু’জনেই সিদ্দিকির অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। ২০২৩ সালে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ম্যান্ডেলিয়ার ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি টাকা।
১৯৯৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বান্দ্রা পশ্চিম থেকে ভোটে লড়েন বাবা সিদ্দিকি। বিপুল ভোটে জেতেন। হয়ে ওঠেন মুম্বইয়ের রাজনীতির পরিচিত মুখ। এই সময় থেকেই বিএমসি-এর বিল্ডিং প্রস্তাবনা বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বাজারের খবর অনুযায়ী, সিদ্দিকির অঙ্গুলিহেলন ছাড়া বান্দ্রা পশ্চিমে বিল্ডিং ইউজ সার্টিফিকেট মিলত না। ২০০৪ সালে নিজস্ব রিয়েল এস্টেট ফার্ম শুরু করেন সিদ্দিকি। Geers Developers Pvt Ltd। তাঁর প্রথম কাজ হল লিংকিং রোডের লিঙ্ক স্কোয়ার মল।
১৯৯৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বান্দ্রা পশ্চিম থেকে ভোটে লড়েন বাবা সিদ্দিকি। বিপুল ভোটে জেতেন। হয়ে ওঠেন মুম্বইয়ের রাজনীতির পরিচিত মুখ। এই সময় থেকেই বিএমসি-এর বিল্ডিং প্রস্তাবনা বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বাজারের খবর অনুযায়ী, সিদ্দিকির অঙ্গুলিহেলন ছাড়া বান্দ্রা পশ্চিমে বিল্ডিং ইউজ সার্টিফিকেট মিলত না। ২০০৪ সালে নিজস্ব রিয়েল এস্টেট ফার্ম শুরু করেন সিদ্দিকি। Geers Developers Pvt Ltd। তাঁর প্রথম কাজ হল লিংকিং রোডের লিঙ্ক স্কোয়ার মল।
এর মধ্যে বাবা সিদ্দিকির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ সালে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁর ৩৩টি হাই এন্ড অ্যাপার্টমেন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি ইডি। রাজনীতি ও ব্যবসার জটিল জগতে সাপ লুডো খেলেছেন বাবা সিদ্দিকি। কখনও তাঁর ঘুঁটি পড়েছে সাপের মুখে। কখনও মইতে চেপে তরতরিয়ে উঠেছেন উপরে। তবে মানতেই হবে, রিয়েল এস্টেটের জগতে সোনা ফলিয়েছেন তিনি। বর্তমানে সিদ্দিকি সাম্রাজ্যের আনুমানিক মূল্য ১৫ হাজার কোটি টাকা। দুবাই এবং লন্ডনেও তাঁর ব্যবসা রয়েছে। এই তথ্য দিয়েছেন বান্দ্রারই এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী।
এর মধ্যে বাবা সিদ্দিকির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ সালে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁর ৩৩টি হাই এন্ড অ্যাপার্টমেন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি ইডি। রাজনীতি ও ব্যবসার জটিল জগতে সাপ লুডো খেলেছেন বাবা সিদ্দিকি। কখনও তাঁর ঘুঁটি পড়েছে সাপের মুখে। কখনও মইতে চেপে তরতরিয়ে উঠেছেন উপরে। তবে মানতেই হবে, রিয়েল এস্টেটের জগতে সোনা ফলিয়েছেন তিনি। বর্তমানে সিদ্দিকি সাম্রাজ্যের আনুমানিক মূল্য ১৫ হাজার কোটি টাকা। দুবাই এবং লন্ডনেও তাঁর ব্যবসা রয়েছে। এই তথ্য দিয়েছেন বান্দ্রারই এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী।

EXCLUSIVE: শুধু এই কাজ করতে হবে সলমন খানকে, তাহলেই কি ক্ষমা করে দেবে বিষ্ণোই সমাজ? জানিয়ে দিল বিষ্ণোই মহাসভা

Report: Krishna Kumar Gaur

যোধপুর: ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। সেটা ১৯৯৮ সাল। তারপর কেটে গিয়েছে ২৬ বছর। সলমনের উপর কী এখনও রাগ আছে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের? তাঁরা কী এখন ভাইজানকে ক্ষমা করবেন?

অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই মহাসভার জাতীয় সভাপতি দেবেন্দ্র বুদিয়া বলছেন, অনেক পুরনো মামলা। বিষ্ণোই সম্প্রদায় এখন সলমন খানকে ক্ষমা করতেই পারে। তবে সম্প্রদায়ের বর্ষীয়াণ সদস্যরা একসঙ্গে বসে এই সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁর মতে, সলমন যদি এখানে এসে তাঁর ভুল স্বীকার করেন এবং ক্ষমা চান তাহলে বিষ্ণোই সমাজ তার ২৯টি নিয়মের অধীনে ক্ষমা করতেই পারে।

আরও পড়ুন- জেল থেকেই কীভাবে গ্যাং চালাচ্ছেন লরেন্স বিষ্ণোই? কেন তিনি সলমন খানের উপর খাপ্পা, দেখে নিন বিশদে

দেবেন্দ্র বুদিয়া জানান, বিষ্ণোই সমাজ ২৯টি নিয়মে বাঁধা। এর মধ্যে কেউ ভুল ত্রুটি করলে তাঁকে ক্ষমার বিধানও রয়েছে। ২৯টি নিয়মের মধ্যে এটি দশম বিধান। তিনি বলেন, “বিষ্ণোই সমাজের ধর্মীয় গুরু ভগবান জাম্বেশ্বরজি প্রণীত ২৯টি নিয়মের মধ্যে এমন একটি নিয়ম রয়েছে যার মাধ্যমে কেউ কোনও অপরাধ করলে আমরা তাঁকে করুণা এবং ক্ষমা করতে পারি।’’

মন থেকে ক্ষমা চাইলে দয়া দেখানো যায়: যদি কেউ মন থেকে ক্ষমা চায়, তাহলে তাঁর প্রতি দয়া দেখানো যায়। লোকাল 18-কে এমনটাই বললেন দেবেন্দ্র বুদিয়া। অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই মহাসভার জাতীয় সভাপতির কথায়, “বিষ্ণোই সমাজ কখনও কারও ক্ষতি চায় না। যখন কেউ মন থেকে ক্ষমা চায়, তাঁর প্রতি আমরা করুণা দেখাই। সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বসে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।“

আরও পড়ুন– কেরিয়ারে প্রথমবারের জন্য ১০০ কোটির ক্লাবে; দীর্ঘ ২৭ বছর পরে সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি পেয়েছিলেন অক্ষয় খান্না; জানেন কি এর নাম?

সেদিনের ঘটনা এখনও মনে জ্বলজ্বল করছে: বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মহীপাল বিষ্ণোই বলেন, “১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসের সেই রাতের কথা আজও মনে আছে। রাত তখন ২টো। গাড়ির আলো জ্বলতে দেখে সন্দেহ হয় যোধপুরের কানকানি গ্রামের বাসিন্দাদের। এরপর আচমকাই গুলির শব্দ। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সবাই। দেখেন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ মরে পড়ে রয়েছে। আর জিপসিতে চেপে কয়েকজন পালাচ্ছে। পরে জানা যায়, হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন সহ অভিনেতাদের সঙ্গে শিকারে গিয়েছিলেন সলমন খান।“

বিষ্ণোই সমাজের ২৯ নিয়ম: সামাজিক শান্তি, প্রকৃতি প্রেম এবং ধর্মীয় অনুশাসন বজায় রাখতে ২৯টি নিয়ম মেনে চলে বিষ্ণোই সমাজ। এই নিয়ম জীবনের প্রতিটা দিককে স্পর্শ করে তা ব্যক্তিগত আচার-আচরণ, প্রকৃতির প্রতি দায়িত্ব বা সামাজিক দায়বদ্ধতাই হোক না কেন। সেগুলি হল –

সকালে স্নান এবং পবিত্রতা বজায় রাখা।

শালীনতা, তৃপ্তি এবং শুদ্ধতা পালন করা।

সকাল-সন্ধ্যা প্রার্থনা।

সন্ধ্যায় আরতি এবং ভগবান বিষ্ণুর স্তব গাওয়া।

সকালে যজ্ঞা করা।

জল ফিল্টার করে পান এবং স্পষ্ট কথা বলা।

জ্বালানী এবং দুধ পরিশোধন করা।

ক্ষমা ও সহনশীলতার অনুশীলন।

দয়া ও বিন্ম্রভাবে জীবনযাপন।

চুরি করা পাপ।

নিন্দা করা উচিত নয়।

মিথ্যা বলা যাবে না।

তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চলা।

অমাবস্যায় উপবাস।

বিষ্ণুর পূজা।

সকল জীবের প্রতি সদয় ভাব।

গাছ রক্ষা করা।

নিজের হাতে রান্না।

তামাক, গাঁজা এবং অ্যালকোহল সেবন না করা।

মাংস আহার নিষেষ।

নীল রঙের পোশাক পরা উচিত নয়।

Lawrence Bishnoi: জেল থেকেই কীভাবে গ্যাং চালাচ্ছেন লরেন্স বিষ্ণোই? কেন তিনি সলমন খানের উপর খাপ্পা, দেখে নিন বিশদে

সলমন খানকে খুনের হুমকি, সিধু মুসেওয়ালার নৃশংস হত্যাকাণ্ড, দক্ষিণ দিল্লির জিম মালিককে গুলি করে খুন এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির হত্যা। এই সবকটা ঘটনা এক সুতোয় গাঁথা। আর সেই সুতোর নাম লরেন্স বিষ্ণোই। গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দী লরেন্স বিষ্ণোই। কিন্তু তারপরেও আটকানো যাচ্ছে না তাঁকে। শুধু একটা মোবাইল ফোন আর ভিপিএন কানেকশনই তাঁর হাতিয়ার। জেল থেকেই চালাচ্ছেন পুরো গ্যাং। পুলিশ, প্রশাসনের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে এক জেলবন্দী আসামি।
সলমন খানকে খুনের হুমকি, সিধু মুসেওয়ালার নৃশংস হত্যাকাণ্ড, দক্ষিণ দিল্লির জিম মালিককে গুলি করে খুন এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির হত্যা। এই সবকটা ঘটনা এক সুতোয় গাঁথা। আর সেই সুতোর নাম লরেন্স বিষ্ণোই। গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দী লরেন্স বিষ্ণোই। কিন্তু তারপরেও আটকানো যাচ্ছে না তাঁকে। শুধু একটা মোবাইল ফোন আর ভিপিএন কানেকশনই তাঁর হাতিয়ার। জেল থেকেই চালাচ্ছেন পুরো গ্যাং। পুলিশ, প্রশাসনের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে এক জেলবন্দী আসামি।
বাবা সিদ্দিকিকে খুনের পর থেকেই থমথম করছে গোটা মুম্বই। তিনি শুধু এনসিপি নেতা নন, প্রাক্তন বিধায়ক এবং সলমন খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁকে খুনের পিছনে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হাত রয়েছে বলে অনুমান করছেন অনেকেই। দানা বাঁধছে আশঙ্কা। মুম্বইয়ের ঘুমন্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড না আবার এই ঘটনায় জেগে ওঠে। দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা রাজন, আবু সালেমরা না আবার ময়দানে নেমে পড়েন। আবার না শুরু হয় ৭০-এর দশকের গ্যাং ওয়ার। গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেলের ভিতর থেকে কীভাবে গ্যাং চালাচ্ছেন বিষ্ণোই? লরেন্স বিষ্ণোই কীভাবে হয়ে উঠলেন গ্যাংস্টার বিষ্ণোই? কোন হাইপ্রোফাইল মামলাগুলির সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে?
বাবা সিদ্দিকিকে খুনের পর থেকেই থমথম করছে গোটা মুম্বই। তিনি শুধু এনসিপি নেতা নন, প্রাক্তন বিধায়ক এবং সলমন খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁকে খুনের পিছনে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হাত রয়েছে বলে অনুমান করছেন অনেকেই। দানা বাঁধছে আশঙ্কা। মুম্বইয়ের ঘুমন্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড না আবার এই ঘটনায় জেগে ওঠে। দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা রাজন, আবু সালেমরা না আবার ময়দানে নেমে পড়েন। আবার না শুরু হয় ৭০-এর দশকের গ্যাং ওয়ার। গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেলের ভিতর থেকে কীভাবে গ্যাং চালাচ্ছেন বিষ্ণোই? লরেন্স বিষ্ণোই কীভাবে হয়ে উঠলেন গ্যাংস্টার বিষ্ণোই? কোন হাইপ্রোফাইল মামলাগুলির সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে?
কে এই লরেন্স বিষ্ণোই ? পঞ্জাবের ফেরজোপুর জেলার ধাতারানওয়ালি গ্রামের এক ধনী কৃষক পরিবারের সন্তান লরেন্স বিষ্ণোই। বর্তমানে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অধিবাসীরা। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের এখন বয়স ৩১ বছর। ২০১০ সালে তিনি চণ্ডীগড় কলেজে ভর্তি হন। কিছুদিনের মধ্যেই যোগ দেন ছাত্র রাজনীতিতে। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি পঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। ২০১০ সালের এপ্রিলে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। একই সঙ্গে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের হয় এফআইআর। দুটি মামলাই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
কে এই লরেন্স বিষ্ণোই ? পঞ্জাবের ফেরজোপুর জেলার ধাতারানওয়ালি গ্রামের এক ধনী কৃষক পরিবারের সন্তান লরেন্স বিষ্ণোই। বর্তমানে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অধিবাসীরা। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের এখন বয়স ৩১ বছর। ২০১০ সালে তিনি চণ্ডীগড় কলেজে ভর্তি হন। কিছুদিনের মধ্যেই যোগ দেন ছাত্র রাজনীতিতে। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি পঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। ২০১০ সালের এপ্রিলে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। একই সঙ্গে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে দায়ের হয় এফআইআর। দুটি মামলাই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
২০১২ সালে জেল হয় বিষ্ণোইয়ের। মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্টে তাঁকে তিহাড়ে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৩ সালে তিনি সরকারি কলেজ নির্বাচনের জয়ী প্রার্থী এবং লুধিয়ানা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে গুলি করে খুন করেন। বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নেতাদের খুন, চাঁদাবাজি-সহ এক ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তাঁর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে মদ এবং অস্ত্র চোরাচালানের কারবার চালানোর অভিযোগও রয়েছে। সীমান্ত চোরাচালানের একটি মামলায় তাঁকে গুজরাতে নিয়ে যায় এটিএস। এনআইএ-এর বক্তব্য অনুযায়ী, বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ে ৫টি রাজ্যে ৭০০-এর বেশি শ্যুটার রয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ শ্যুটার পঞ্জাবের।
২০১২ সালে জেল হয় বিষ্ণোইয়ের। মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্টে তাঁকে তিহাড়ে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৩ সালে তিনি সরকারি কলেজ নির্বাচনের জয়ী প্রার্থী এবং লুধিয়ানা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে গুলি করে খুন করেন। বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নেতাদের খুন, চাঁদাবাজি-সহ এক ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তাঁর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে মদ এবং অস্ত্র চোরাচালানের কারবার চালানোর অভিযোগও রয়েছে। সীমান্ত চোরাচালানের একটি মামলায় তাঁকে গুজরাতে নিয়ে যায় এটিএস। এনআইএ-এর বক্তব্য অনুযায়ী, বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ে ৫টি রাজ্যে ৭০০-এর বেশি শ্যুটার রয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ শ্যুটার পঞ্জাবের।
শুধু তাই নয়, বিষ্ণোইয়ের দলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের যোগাযোগ রয়েছে বলেও অনুমান করা হয়। বিষ্ণোই গ্যাংস্টার জগগু ভগবানপুরিয়ার কাছের লোক। হরিয়ানার গ্যাংস্টার কালা জাথেদির সঙ্গেও তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। লরেন্সের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে রয়েছেন গোল্ডি ব্রার এবং ভাই আনমোল বিষ্ণোই। গোল্ডি ব্রারই তৃণমূল স্তরে গ্যাং চালান। শ্যুটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যার সঙ্গে আনমোল জড়িত বলে জানা যায়।
শুধু তাই নয়, বিষ্ণোইয়ের দলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের যোগাযোগ রয়েছে বলেও অনুমান করা হয়। বিষ্ণোই গ্যাংস্টার জগগু ভগবানপুরিয়ার কাছের লোক। হরিয়ানার গ্যাংস্টার কালা জাথেদির সঙ্গেও তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। লরেন্সের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে রয়েছেন গোল্ডি ব্রার এবং ভাই আনমোল বিষ্ণোই। গোল্ডি ব্রারই তৃণমূল স্তরে গ্যাং চালান। শ্যুটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যার সঙ্গে আনমোল জড়িত বলে জানা যায়।
এনআইএ-এর মতে, বিষ্ণোই জেল থেকে ভিওআইপি ও ‘ডাব্বা কলিং’-এর মতো উন্নত কমিউনিকেশন পদ্ধতির সাহায্যে গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। অনেক অপরাধীই ‘ডাব্বা কলিং’ ব্যবহার করেন। মোবাইল নেটওয়ার্ককে বাইপাস করে ট্রেস করা যায় না এমন কল করতে এই কমিউনিকেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই সলমন খানের উপর খাপ্পা লরেন্স বিষ্ণোই। কৃষ্ণসার হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় ঈশ্বর বলে মনে করে। ২০১৮ সালে একটি বিবৃতিতে লরেন্স বলেছিলেন, “সলমন খানকে আমরা হত্যা করব। কোনও টাকা চাই না। আমরা ব্যবস্থা নিলেই সবাই জানতে পারবে।’’
এনআইএ-এর মতে, বিষ্ণোই জেল থেকে ভিওআইপি ও ‘ডাব্বা কলিং’-এর মতো উন্নত কমিউনিকেশন পদ্ধতির সাহায্যে গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। অনেক অপরাধীই ‘ডাব্বা কলিং’ ব্যবহার করেন। মোবাইল নেটওয়ার্ককে বাইপাস করে ট্রেস করা যায় না এমন কল করতে এই কমিউনিকেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই সলমন খানের উপর খাপ্পা লরেন্স বিষ্ণোই। কৃষ্ণসার হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় ঈশ্বর বলে মনে করে। ২০১৮ সালে একটি বিবৃতিতে লরেন্স বলেছিলেন, “সলমন খানকে আমরা হত্যা করব। কোনও টাকা চাই না। আমরা ব্যবস্থা নিলেই সবাই জানতে পারবে।’’

Baba Siddique Murder: টেলিগ্রামে এসেছিল গ্রিন সিগন্যাল, বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী? পুলিশের হাতে এল বড় তথ্য

বাবা সিদ্দিকি হত্যা মামলার জট কাটেনি এখনও। কেন এনসিপি নেতাকে খুন করা হল? এর পিছনে কারা রয়েছে? সে সব তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এর মধ্যেই সামনে এল বড় তথ্য। এই খুনের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের যোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে মুম্বই পুলিশ।
বাবা সিদ্দিকি হত্যা মামলার জট কাটেনি এখনও। কেন এনসিপি নেতাকে খুন করা হল? এর পিছনে কারা রয়েছে? সে সব তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এর মধ্যেই সামনে এল বড় তথ্য। এই খুনের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের যোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে মুম্বই পুলিশ।
বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু তথ্য নিউজ 18 ইন্ডিয়া-এর হাতে এসেছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, এনসিপি নেতাকে খুনের অন্যতম প্রধান কারণ হল, সলমন খান সহ পুরো মুম্বইতে ভয়ের আবহ তৈরি করা। এর সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ড ও দাউদ ইব্রাহিমকেও বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু তথ্য নিউজ 18 ইন্ডিয়া-এর হাতে এসেছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, এনসিপি নেতাকে খুনের অন্যতম প্রধান কারণ হল, সলমন খান সহ পুরো মুম্বইতে ভয়ের আবহ তৈরি করা। এর সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ড ও দাউদ ইব্রাহিমকেও বার্তা দেওয়া হয়েছে।
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের সঙ্গে দাউদের যোগসূত্র রয়েছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে। আততায়ীরা গত ২৮ দিনে পাঁচ বার বাবা সিদ্দিকির বাড়ি এবং অফিসে হানা দিয়েছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেইকি চালাত তারা। প্রাক্তন বিধায়কের গতিবিধির উপর কড়া নজর রেখেছিল খুনীরা। এরপরই বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার জন্য দশেরার দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়।
মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের সঙ্গে দাউদের যোগসূত্র রয়েছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে। আততায়ীরা গত ২৮ দিনে পাঁচ বার বাবা সিদ্দিকির বাড়ি এবং অফিসে হানা দিয়েছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেইকি চালাত তারা। প্রাক্তন বিধায়কের গতিবিধির উপর কড়া নজর রেখেছিল খুনীরা। এরপরই বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার জন্য দশেরার দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়।
ঘটনার সময় জিশান আখতার মুম্বইয়ের ছিলেন না। তিনি মুম্বইয়ের বাইরে থেকেই পুরো অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে মুম্বই পুলিশ। শ্যুটারদের নিয়ে এসেছিলেন শুভমের ভাই প্রবীণ। আর তাঁদের টাকা দিয়েছিলেন শুভম। বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার অস্ত্র এসেছে পঞ্জাব থেকে। পুলিশ একটি নাইন এমএমের বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে।পুলিশের সন্দেহ, পাকিস্তান বা নেপাল থেকে এই অস্ত্র পঞ্জাবে ঢোকে। ঘটনাস্থল থেলে ধৃত ২ আততায়ীর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে বেশ কিছু নম্বর ডায়ালে রয়েছে কিন্তু সেগুলো সেভ করা ছিল না। এই নম্বরগুলো কার তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনার সময় জিশান আখতার মুম্বইয়ের ছিলেন না। তিনি মুম্বইয়ের বাইরে থেকেই পুরো অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে মুম্বই পুলিশ। শ্যুটারদের নিয়ে এসেছিলেন শুভমের ভাই প্রবীণ। আর তাঁদের টাকা দিয়েছিলেন শুভম। বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার অস্ত্র এসেছে পঞ্জাব থেকে। পুলিশ একটি নাইন এমএমের বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে।
পুলিশের সন্দেহ, পাকিস্তান বা নেপাল থেকে এই অস্ত্র পঞ্জাবে ঢোকে। ঘটনাস্থল থেলে ধৃত ২ আততায়ীর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে বেশ কিছু নম্বর ডায়ালে রয়েছে কিন্তু সেগুলো সেভ করা ছিল না। এই নম্বরগুলো কার তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের কাছ থেকে টেলিগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটে বাবা সিদ্দিকির খুনি শিবকুমার গৌতমের কাছে অর্ডার এসেছিল। শিবকুমারকেই সমস্ত তথ্য বিষ্ণোই গ্যাং দিত। তিনি অন্য শ্যুটারদের তা জানাতেন। খুনের পরিকল্পনার সময়েই কাকে, কেন খুন করা হবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সব শ্যুটারদের। বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পর শিবকুমারকে উজ্জয়নীর ওমকারেশ্বরে গিয়ে গ্যাংয়ের এক সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের কাছ থেকে টেলিগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটে বাবা সিদ্দিকির খুনি শিবকুমার গৌতমের কাছে অর্ডার এসেছিল। শিবকুমারকেই সমস্ত তথ্য বিষ্ণোই গ্যাং দিত। তিনি অন্য শ্যুটারদের তা জানাতেন। খুনের পরিকল্পনার সময়েই কাকে, কেন খুন করা হবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সব শ্যুটারদের। বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পর শিবকুমারকে উজ্জয়নীর ওমকারেশ্বরে গিয়ে গ্যাংয়ের এক সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, পঞ্জাবের পাতিয়ালা জেলে গুরমেলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জিশান আখতার। জিশানই গুরমেলকে লরেন্স গ্যাংয়ে ঢোকায়। তবে আততায়ীরা কেন খুনের জন্য দশেরার দিনকে বেছে নিল, তা নিয়ে বিস্মিত পুলিশ। কারণ ওই দিন শহরের প্রতিটা কোণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁক গলে মাছিও যেতে পারে না। বাবা সিদ্দিকির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ২ জন নিরাপত্তাকর্মী। ঘটনার ঠিক আগেই তাঁদের শিফট চেঞ্জ হয়েছিল। তবে হামলার সময় বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা কেন গুলি চালালেন না, তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, পঞ্জাবের পাতিয়ালা জেলে গুরমেলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জিশান আখতার। জিশানই গুরমেলকে লরেন্স গ্যাংয়ে ঢোকায়। তবে আততায়ীরা কেন খুনের জন্য দশেরার দিনকে বেছে নিল, তা নিয়ে বিস্মিত পুলিশ। কারণ ওই দিন শহরের প্রতিটা কোণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁক গলে মাছিও যেতে পারে না। বাবা সিদ্দিকির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ২ জন নিরাপত্তাকর্মী। ঘটনার ঠিক আগেই তাঁদের শিফট চেঞ্জ হয়েছিল। তবে হামলার সময় বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা কেন গুলি চালালেন না, তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের? ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের ডিসিপি বললেন, ‘আমরা খতিয়ে দেখছি’

বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ড কী লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাজ? অভিনেতা সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই কী এনসিপি নেতাকে খুন করা হল? শনিবারের পর থেকেই এই প্রশ্নগুলো ঘুরেফিরে আসছে বারবার। এর মধ্যেই সলমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই বাবা সিদ্দিকিকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ড কী লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাজ? অভিনেতা সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই কী এনসিপি নেতাকে খুন করা হল? শনিবারের পর থেকেই এই প্রশ্নগুলো ঘুরেফিরে আসছে বারবার। এর মধ্যেই সলমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই বাবা সিদ্দিকিকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের ডিসিপি দত্ত নালাওয়াডে বলেছেন, “পোস্টের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’’ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিসের সামনে এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে তিন দুষ্কৃতী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই হত্যাকাণ্ডকে ভাড়াটে খুনির কাজ বলে মনে করছে পুলিশ।
ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের ডিসিপি দত্ত নালাওয়াডে বলেছেন, “পোস্টের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’’ছেলে জিশান সিদ্দিকির অফিসের সামনে এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে তিন দুষ্কৃতী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই হত্যাকাণ্ডকে ভাড়াটে খুনির কাজ বলে মনে করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সিদ্দিকিকে খুনে ব্যবহৃত পিস্তল কুরিয়ারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে গণেশ উৎসবের সময় সিদ্দিকিকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সফল হয়নি আততায়ীরা। এর আগেই একাধিকবার সিদ্দিকির উপর হামলার চেষ্টা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির টোটা উদ্ধার হয়েছে। সিদ্দিকির শরীরে ৩টি গুলি লাগে। একটি গুলি লাগে তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির গায়ে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সিদ্দিকিকে খুনে ব্যবহৃত পিস্তল কুরিয়ারের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে গণেশ উৎসবের সময় সিদ্দিকিকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সফল হয়নি আততায়ীরা। এর আগেই একাধিকবার সিদ্দিকির উপর হামলার চেষ্টা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির টোটা উদ্ধার হয়েছে। সিদ্দিকির শরীরে ৩টি গুলি লাগে। একটি গুলি লাগে তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তির গায়ে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ধরমরাজ কাশ্যপ এবং কার্নাইল সিং দাবি করেছে, তারা কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের সদস্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরই সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অভিনেতার বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ধরমরাজ কাশ্যপ এবং কার্নাইল সিং দাবি করেছে, তারা কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের সদস্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরই সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অভিনেতার বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ।
১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শ্যুটিংয়ের সময় রাজস্থানে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ উঠেছিল সলমন খানের বিরুদ্ধে। মামলা গড়ায় আদালতে। পাঁচ বছরের জেল হয় অভিনেতার। পরে অবশ্য তিনি জামিন পেয়ে যান।
১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর শ্যুটিংয়ের সময় রাজস্থানে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ উঠেছিল সলমন খানের বিরুদ্ধে। মামলা গড়ায় আদালতে। পাঁচ বছরের জেল হয় অভিনেতার। পরে অবশ্য তিনি জামিন পেয়ে যান।
কৃষ্ণসার হরিণকে পবিত্র বলে মনে করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়। এই কারনেই সলমনের উপর রাগ লরেন্স বিষ্ণোইয়ের। ২০২৩ সালে তিহাড় জেল থেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরার সামনে তিনি বলেছিলেন, সলমনকে খুন করাই তাঁর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। বিষ্ণোইয়ের কথায়, “আমার টাকা চাই না। শুধু চাই তিনি আমাদের সম্প্রদায়ের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইবেন। কৃষ্ণসার শিকার করে পুরো সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু তিনি ক্ষমা চাইতে রাজি নন।’’
কৃষ্ণসার হরিণকে পবিত্র বলে মনে করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়। এই কারনেই সলমনের উপর রাগ লরেন্স বিষ্ণোইয়ের। ২০২৩ সালে তিহাড় জেল থেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যামেরার সামনে তিনি বলেছিলেন, সলমনকে খুন করাই তাঁর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। বিষ্ণোইয়ের কথায়, “আমার টাকা চাই না। শুধু চাই তিনি আমাদের সম্প্রদায়ের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চাইবেন। কৃষ্ণসার শিকার করে পুরো সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু তিনি ক্ষমা চাইতে রাজি নন।’’