মুম্বাই:এখনও কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের কিনারা হয়নি৷ তার আগেই দল বদল করলেন বাবা সিদ্দিকির বিধায়ক পুত্র জিশান সিদ্দিকি৷ এ দিন অজিত পাওয়ার পন্থী এনসিপি-তে যোগ দিলেন তিনি৷ জিশান জানিয়েছেন, কঠিন সময়ে অজিত পাওয়ারের দল তাঁর পাশে থাকার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি৷
তবে জিশানের দল বদল অনিবার্যই ছিল৷ কারণ গত অগাস্ট মাসেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল কংগ্রেস৷
আামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন৷ এবারের নির্বাচনেও বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্র থেকে লড়বেন জিশান৷ ২০১৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ওই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে পন্থী শিবসেনার বরুণ সরদেশাই৷ যিনি আবার সম্পর্কে আদিত্য ঠাকরের সম্পর্কিত ভাই৷
কয়েকদিন আগেই নাম না করে কংগ্রেস সহ মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোটকে আক্রমণ করেছিলেন জিশান৷ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দেন তিনি৷ এ দিন অজিত পাওয়ারের উপস্থিতিতেই এনসিপি-তে যোগ দেন জিশান৷
বাহরাইচ: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্ধিকি হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ধর্মরাজ ডাক্তার হতে পারত। অপরাধ জগতের পরিবর্তে সে যদি পরিবারের কথা শুনত, তাহলেই ডাক্তার হতে পারত।
চমকে ওঠার মতোই ব্যাপার৷ ধর্মরাজের শুরুর জীবন ছিল খুবই ভাল। সে পড়াশোনায়ও মেধাবী ছিল এবং গ্রামের কোনও মারামারি বা ঝগড়ার ঘটনার সঙ্গে যুক্তও ছিল না৷ ১০ম শ্রেণিতে ৭৮% নম্বর ছিল তার। ধর্মরাজের বড় ভাই জানিয়েছেন, তাকে নীট পরীক্ষার প্রস্তুতি করিয়ে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিল পরিবার।
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের বাহরাইচের ধর্মরাজ কশ্যপ, যাকে রকি বলা হয়, তার শুরুর জীবন ভালো ছিল। তার বড় ভাই অনুরাগ কশ্যপ বলেছেন, ধর্মরাজ ১০ম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৭৮% নম্বর অর্জন করেছিল। এরপর পরিবার তাকে মেডিকেল লাইনে কেরিয়ার গড়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু সে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে গ্যাংস্টার হওয়ার ভুল পথে চলে যায়। সে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের মতো গ্যাংস্টারকে আদর্শ হিসেবে মানতে শুরু করে। অনুরাগ বলেছেন, “আমি আমার ছোট ভাইকে দেখভাল করতে না পারার জন্য নিজেকে দোষারোপ করি। তখন একটু শক্ত হাতে ধরলেই ওর এত বড় ক্ষতি হত না৷”
অনুরাগ জানিয়েছেন, ধর্মরাজের ভুল পথে যাওয়ার খবর তখনই পাওয়া যায় যখন সে ইন্টারমিডিয়েটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। অনুরাগের বকা খাওয়ার পর ধর্মরাজ তার বন্ধু এবং প্রতিবেশী শিবকুমার গৌতমের সঙ্গে পুনেতে চলে যায়। সেখানে থাকার সময়ই সে শিবকুমারের সঙ্গে বাবা সিদ্ধিকির হত্যার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। শিবকুমার এখন সিদ্ধিকির হত্যার প্রধান অভিযুক্ত এবং বর্তমানে পলাতক। শিবকুমার তিন বছর ধরে পুনেতে স্ক্র্যাপ ব্যবসায় জড়িত ছিল৷
অনুরাগ বলেন, তাদের ৬ ভাইবোনের মধ্যে ধর্মরাজ ছিল সবচেয়ে ছোট৷ ধর্মরাজের দেখাশোনা শুধু অনুরাগই করছিল। তিনি একটি কাপড়ের দোকান চালাত, এবং এটাই ছিল পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। সূত্রের মতে, স্ক্র্যাপ ব্যবসা করার আগে শিবকুমার খাবার পৌঁছে দেওয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিল৷ শিবকুমার ধর্মরাজের থেকে ছোট, কিন্তু বিচার-বুদ্ধিতে সে বেশ এগিয়ে। ৫ম শ্রেণিতেই সে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামে থাকার সময় ধর্মরাজ এবং শিবকুমার কোনও ঝগড়াও হয়নি৷
যোধপুর: ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। সেটা ১৯৯৮ সাল। তারপর কেটে গিয়েছে ২৬ বছর। সলমনের উপর কী এখনও রাগ আছে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের? তাঁরা কী এখন ভাইজানকে ক্ষমা করবেন?
অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই মহাসভার জাতীয় সভাপতি দেবেন্দ্র বুদিয়া বলছেন, অনেক পুরনো মামলা। বিষ্ণোই সম্প্রদায় এখন সলমন খানকে ক্ষমা করতেই পারে। তবে সম্প্রদায়ের বর্ষীয়াণ সদস্যরা একসঙ্গে বসে এই সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁর মতে, সলমন যদি এখানে এসে তাঁর ভুল স্বীকার করেন এবং ক্ষমা চান তাহলে বিষ্ণোই সমাজ তার ২৯টি নিয়মের অধীনে ক্ষমা করতেই পারে।
দেবেন্দ্র বুদিয়া জানান, বিষ্ণোই সমাজ ২৯টি নিয়মে বাঁধা। এর মধ্যে কেউ ভুল ত্রুটি করলে তাঁকে ক্ষমার বিধানও রয়েছে। ২৯টি নিয়মের মধ্যে এটি দশম বিধান। তিনি বলেন, “বিষ্ণোই সমাজের ধর্মীয় গুরু ভগবান জাম্বেশ্বরজি প্রণীত ২৯টি নিয়মের মধ্যে এমন একটি নিয়ম রয়েছে যার মাধ্যমে কেউ কোনও অপরাধ করলে আমরা তাঁকে করুণা এবং ক্ষমা করতে পারি।’’
মন থেকে ক্ষমা চাইলে দয়া দেখানো যায়: যদি কেউ মন থেকে ক্ষমা চায়, তাহলে তাঁর প্রতি দয়া দেখানো যায়। লোকাল 18-কে এমনটাই বললেন দেবেন্দ্র বুদিয়া। অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই মহাসভার জাতীয় সভাপতির কথায়, “বিষ্ণোই সমাজ কখনও কারও ক্ষতি চায় না। যখন কেউ মন থেকে ক্ষমা চায়, তাঁর প্রতি আমরা করুণা দেখাই। সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বসে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।“
সেদিনের ঘটনা এখনও মনে জ্বলজ্বল করছে: বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মহীপাল বিষ্ণোই বলেন, “১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসের সেই রাতের কথা আজও মনে আছে। রাত তখন ২টো। গাড়ির আলো জ্বলতে দেখে সন্দেহ হয় যোধপুরের কানকানি গ্রামের বাসিন্দাদের। এরপর আচমকাই গুলির শব্দ। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সবাই। দেখেন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ মরে পড়ে রয়েছে। আর জিপসিতে চেপে কয়েকজন পালাচ্ছে। পরে জানা যায়, হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন সহ অভিনেতাদের সঙ্গে শিকারে গিয়েছিলেন সলমন খান।“
বিষ্ণোই সমাজের ২৯ নিয়ম:সামাজিক শান্তি, প্রকৃতি প্রেম এবং ধর্মীয় অনুশাসন বজায় রাখতে ২৯টি নিয়ম মেনে চলে বিষ্ণোই সমাজ। এই নিয়ম জীবনের প্রতিটা দিককে স্পর্শ করে তা ব্যক্তিগত আচার-আচরণ, প্রকৃতির প্রতি দায়িত্ব বা সামাজিক দায়বদ্ধতাই হোক না কেন। সেগুলি হল –