ভাঙা কাচে হাত কাটল কল্যাণের৷

Kalyan Banerjee Abhijit Ganguly conflict: কীভাবে হাত কাটল কল্যাণের? তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ জেপিসি চেয়্যারম্যানের

নয়াদিল্লি: ওয়াকফ বিষয়ক যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তুলকালাম কাণ্ডের -জন্য তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুল তুললেন কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল৷ তাঁর অভিযোগ, মেজাজ হারিয়ে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে ছুড়ে মারেন কল্যাণ৷ যেভাবে তৃণমূল সাংসদ বোতল ছুড়ে মেরেছেন, তাতে তিনি নিজেও আহত হতে পারতেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকা পাল৷ শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছেও কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জগদম্বিকা৷

এ দিন ওয়াকফ বিষয়ক যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক চলাকালীন কমিটির দুই সদস্য তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়৷ তখনই বোতল ভাঙার ঘটনা ঘটে৷ কাচের আঘাতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত কেটে গিয়ে চারটি সেলাইও পড়েছে৷

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর অবশ্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি৷ বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়েরও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ যদিও কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল বলেন, ‘উনি যেভাবে বোতল ছুড়েছেন, ঈশ্বরের কৃপা যে আমার সামনে এসে বোতল পড়ে গিয়েছে। আমার দিকে যেভাবে বোতল পড়েছিল তাতে আমরা চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত। বোতল যখন উনি ভেঙেছেন, তখনই ওঁর হাতেও চোট লাগে। যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অনভিপ্রেত, নজিরবিহীন এবং অসংসদীয়। আমার চারবারের সাংসদ জীবনে এই ঘটনা কখনও দেখিনি। আশা করব উনি এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবেন। বিরোধিতার একটি প্রক্রিয়া থাকে। মতভেদ হতেই পারে। কিন্তু আজ যে ঘটনা ঘটেছে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। শুধু বোতল ছুড়ে মারা নয়, প্রথমে বোতল ভেঙে তারপর ছুড়ে মারা হয়েছে। কাল কেউ রিভলভর নিয়ে চলে আসতে পারে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আজকের এই সিদ্ধান্ত আমাকে নিতে হয়েছে।’

আরও পড়ুন: আমফানের থেকেও কি বেশি শক্তিশালী ডানা? বাংলায় কত উঠবে ঘূর্ণিঝড়ের গতি, কোথায় কোথায় তাণ্ডব

জগদম্বিকা পাল আরও অভিযোগ করেন, ‘উনি (কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়) সংসদের অভ্যন্তরে অধিবেশন চলাকালীন ও এই ধরনের আচরণ করেন। সেখানে হয়ত প্রচার পাওয়ার জন্য এধরনের কাজ করেন। কিন্তু এটা যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক ছিল। উনি আজ যেভাবে গালিগালাজ করছিলেন, তা কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়। ওনার দলেরও ভাবা উচিত, ওনাদের সাংসদ কী ধরনের আচরণ করছেন।’

এ দিনের ঘটনার জন্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওয়াকফ বিষয়ক যৌথ সংসদীয় কমিটির একটি বৈঠক থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷