কারণ ওই বৃদ্ধের দাবি অনুযায়ী, তাঁর কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলেও তিনি কোনও ওটিপি কাউকে দেননি, কোনও লিঙ্কেও ক্লিক করেননি৷ এমন কি, ব্যক্তিগত কোনও তথ্যও প্রতারককে জানাননি৷ তা সত্ত্বেও ওই বৃদ্ধে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ লক্ষ টাকার বেশি তুলে নেওয়া হয়েছে৷

Online Trading Fraud: অনলাইন ট্রেডিং-এ মুনাফার লোভ, ঠগের ফাঁদে পা দিয়ে ৫০ লাখ টাকা হারালেন ব্যক্তি, জানুন কীভাবে

নয়াদিল্লি:  হিমাচল প্রদেশে ডিজিটাল প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। এতে মানুষ শুধু তাদের অর্থই নয়, জীবনও হারাচ্ছে।

জেলা কাংড়া এলাকায় এই ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে ইদানিং, তবে পুলিশের কাছে রেজিস্টার করা মামলার সংখ্যা মাত্র একটি। অনলাইন ট্রেডিংয়ে সাত গুণ মুনাফা পাওয়ার লোভে পেশায় বৈজ্ঞানিক এক যুবক ৫০.১৫ লাখ টাকা খসালেন। তিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারও এবং আগে থেকেই অনলাইন ট্রেডিং-এর সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন: প্রেমিকার জেদে প্রেমিকের মৃত্যু! ভাড়াটে খুনিদের ফাঁদে পড়ে নিজেই শিকার হয়ে গেলেন ব্যক্তি, বিস্তারিত জানুন

শেয়ার কেনার লোভে ঠকানো – হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুবককে প্রতারকরা প্রথমে এমন শেয়ার কেনার লোভ দেখিয়েছিল, যা সে কিনতে পারবে না। এই বছরে আগস্ট থেকে যুবকটি প্রায় ১০টি লেনদেনে ৫০.১৫ লাখ টাকা ঠকদের দিয়েছে। পুরো ব্যাপারটি  বুঝতে পেরে যুবকটি ধর্মশালার সাইবার থানায় অভিযোগ করেছেন। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে অভিযোগকারীকে একটি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হয়, এবং একটি গ্রুপে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়।

আরও পড়ুন : করবাচৌথে বয়ফ্রেন্ডকে বাড়িতে ডাকেন গৃহবধু, ও‍ত পেতেছিল গ্রামবাসীরা, ধরা পড়তেই যা হল…

ঠকানোর পদ্ধতি –  হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুবককে শেয়ার মার্কেটে অনলাইন ট্রেডিংয়ের লোভ দেখানো হয়। তারা যুবককে বলেন, ট্রেডিংয়ের টাকা লাগালে সেই টাকার সাত গুণ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর যুবকটি বিভিন্ন তারিখে ১০ বার ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্টে ৫০.১৫ লাখ টাকা জমা দেন। প্রথমে রিফান্ড পাওয়া যায় বলে দেখানো হয়, কিন্তু টাকা তুলতে চাইলে আরও টাকা চাওয়া হয়। এএসপি নর্থ জোন সাইবার থানার প্রভীন ধীমন জানান, মামলাটি রেজিস্টার করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

এসপি’র বক্তব্য – অ্যাডিশনাল এসপি সাইবার থানার কাংড়া প্রভীন ধীমন লোকাল 18-কে বলেছেন যে দ্রুত এবং সহজে টাকা অর্জনের লোভের কারণে মানুষ এই প্রতারণায় পড়ছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, গত বছর জেলা কাংড়ায় ২টি মামলা হয়েছিল, যেখানে ১ কোটি টাকা ঠকানো হয়েছিল, এবং এই বছর ৫০ লাখ টাকার একটি মামলা রেজিস্টার হয়েছে।