Rabri

Winter Health Care: এই মিষ্টিই শীতের বড় ওষুধ, শরীর রাখবে গরম, পেটের সমস্যা গায়েব হবে নিমেষে

কলকাতা:  বাঙালি যেমন গরমের দাবদাহ থেকে শান্তি পেতে আশ্রয় খোঁজে ঝোলের মতো তারল্যের আমের চাটনিতে, তেমনই রাজস্থান তুমুল শীতে চুমুক দেয় রাবড়িতে।

রাজস্থানের প্রাচীনতম পানীয় হল এই রাবড়ি। অবশ্য তা দুধের রাবড়ি নয়। শীতকালে, বাজরার আটা দিয়ে তৈরি রাবড়ি  ঠান্ডা থেকে মুক্তি দেয়। বাজরার রাবড়ি শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং স্বাস্থ্যবর্ধক টনিক হিসেবে কাজ করে। গ্রামীণ অঞ্চলে, এটি একটি ভাল টনিক এবং শীতকালীন পানীয় হিসাবে বিবেচিত হয়। তাই শীতকালে গ্রামাঞ্চলে বাটার মিল্ক এবং ময়দা দিয়ে তৈরি এমন রাবড়ি খুবই পছন্দের।

বাজরা ও গমের রাবড়ি এখন দোকানেও তৈরি হচ্ছে। শীতকালে এটি গরম পানীয় হিসেবে পান করে মানুষ। স্টল বসিয়ে রাবড়ি বিক্রি করা কুলদীপ প্রজাপতি জানিয়েছেন, রাবড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ এখন অনেকটাই দামি হয়ে গিয়েছে, তাই আজকাল শহরাঞ্চলের ডেয়ারি বুথ ও দোকানে প্রতি গ্লাস রাবড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকায়।

কুলদীপ প্রজাপতি, যিনি বাণিজ্যিকভাবে রাবড়ি তৈরি করেন, জানিয়েছেন, রাবড়ি তৈরিতে লাগে বাজরার আটা, নুন, বাটার মিল্ক, পেঁয়াজ। রাবড়ি তৈরির জন্য বাজরার আটা ভাল, তবে বার্লি এবং গমের আটা থেকেও রাবড়ি তৈরি করা যায়। কুলদীপ জানিয়েছেন, রাবড়ি তৈরি করতে একটি হান্ডি (মাটির তৈরি ছোট পাত্র) প্রয়োজন। একটি পাত্রে বাটার মিল্কের মধ্যে বাজরার ময়দা মিশিয়ে অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। কিছু বাজরার দানা এর ভিতরে রাখা হয়, আবার কেউ কেউ ছোলার ডালও যোগ করে। অনেকক্ষণ আগুনে রান্না করার পরে এটি তুলে নেওয়া হয়।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্র কুমার জানান, শীতকালে বাজরার আটা ও বাটার মিল্ক দিয়ে তৈরি রাবড়ি পেট গরম রাখে এবং শরীরে শক্তি যোগায়। ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় না। সত্যিই যেন এটি শীতে অমৃতের সমান। সুস্থ থাকতে এবং ঠান্ডা থেকে বাঁচতে এটি পান করা উচিত।