![বর্ষা আসতেই ঘরে-ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশির প্রকোপ। কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক নয়, মেনে চলুন দিদা-ঠাকুমার পুরনো সেই টিপস, বর্ষায় থাকবেন এক্কেবারে চাঙ্গা।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4528975_img_20240705_130506_watermark_05072024_131841_1.jpg)
![চিকিৎসক অসীম মুখোপাধ্যায় বলছেন, প্রত্যেকদিন বর্ষায় সকালে এক চামচ মধু এবং দুটি তুলসী পাতা খাওয়া উচিত। ছোট থেকে বড়, সবাই এটি খেতে পারেন। জ্বর-সর্দি সহজে হবে না।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4528975_img_20240705_130550_watermark_05072024_131908_2.jpg)
![চিকিৎসক অসীম মুখোপাধ্যায় বলছেন, মধু - তুলসী পাতা ঘরোয়াভাবে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম ভাল উপাদান। এছাড়াও এটি শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4528975_img_20240705_130535_watermark_05072024_131939_5.jpg)
![চিকিৎসক জানিয়েছেন, মধু এবং তুলসীপাতায় অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। ফলে প্রত্যেকদিন এক চামচ মধু ও দুটি তুলসী পাতা খেতে পারলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4528975_img_20240705_130727_watermark_05072024_132005_6.jpg)
![অসীম বাবু জানিয়েছেন, মধু তুলসী পাতায় অনেক অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকে যা শরীরে অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে। কিডনির বিষাক্ত পদার্থ বার করে কিডনির পাথর দূর করতেও সাহায্য করে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/HYP_4528975_img_20240705_130520_watermark_05072024_132048_3.jpg)
বাঁকুড়া: সারভাইক্যাল ক্যানসার অর্থাৎ জরায়ু মুখের ক্যানসার ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় খুবই বেশি সংখ্যায়। ভয়ানক এই রোগের বিরুদ্ধে সময় থাকতেই খুব সামান্য খরচে প্রতিরোধ তৈরি করা সম্ভব। তবে জেনে নেওয়া যাক এই জরায়ুগত রোগ কাদের হতে পারে এবং কীভাবে একদম কম বয়স থেকেই মহিলারা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করতে পারবেন। বাঁকুড়ার ধর্মশালায় একটি সারভাইক্যাল ক্যানসার স্ক্রিনিং ক্যাম্পে উপস্থিত চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হসপিটালের গাইনো অংকলোজি বিভাগের ডঃ কঙ্কনা উমারিয়া সরাসরি বললেন এই ক্যানসারের খুঁটিনাটি। তিনি বলেন, ” প্রতিরোধ তৈরি করতে প্রথমেই নিতে হবে প্রতিষেধক।”
এই ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতাল থেকে কিংবা প্রাইভেটে ৯-১৪ বছরের মেয়েদের এই ক্যানসারের প্রতিষেধক নিতে হবে। প্রক্রিয়া খুবই সহজ। এছাড়াও তিনি বলেন ঋতুস্রাব অনিয়মিত হলে বা না হলে কিংবা ঋতুস্রাবের সঙ্গে সাদা তরল ক্ষরণ হলে এই রোগের সম্ভাবনা থাকে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলন করলেও সারভাইক্যাল ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে জীবনধারাও অনুশাসন নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর্থসামাজিকভাবে পিছিয়ে যাওয়া মহিলাদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায় কারণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং এবং খাদ্যাভাস ঠিক থাকে না। ফলেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হ?বে, সঙ্গে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।”
বাঁকুড়া শহরের, ধর্মশালায় শনিবার প্রতিধ্বনি সহচরী ক্লাবের পক্ষ থেকে এবং চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, কলকাতার সহযোগিতায় বাঁকুড়ায় একটি দু’দিন ব্যাপী সারভাইক্যাল ক্যানসার স্ক্রিনিং ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। বিনামূল্যে পরীক্ষার পরিষেবার পাশাপাশি ক্যানসার ধরা পড়লে সম্পূর্ণ চিকিৎসার পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে। বিবাহিত মহিলা যাদের বয়স ৩০-৬০ এর মধ্যে তারা এই ক্যাম্পে এসে পরীক্ষা করাতে পারবেন। সময় সীমা হল সকাল ১১:৩০ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। প্রতিধ্বনি সহচরী ক্লাবের সম্পাদিকা অর্পিতা গুহ জানান, “প্রায় দুই বছর ধরে এই প্রজেক্ট করার ইচ্ছে ছিল। অবশেষে রূপায়িত হল। বাঁকুড়ায় আর্থসামাজিক পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। সেই কারণে প্রচুর মহিলা এই রোগ ধরা পড়ে। আশা করছি এই স্ক্রিনিং ক্যাম্পের মাধ্যমে তারা উপকৃত হবেন।”
আরও পড়ুন: গভীর জঙ্গলে রয়েছে জাগ্রত দেবীর মন্দির! পুজো দেওয়া, একদিনের ছোট্ট ঘোরাও হবে! জানুন
যদিও বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই রোগ যদি প্রাক ক্যানসার স্তরে ধরা পড়ে তাহলে নিরাময়ের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সেই কারণে সময়ের মূল্য অপরিসীম। ফলে মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতি ভীতি দূরীকরণ করতে পারলেই ভারতবর্ষ এবং বাঁকুড়াতে সারভাইকাল ক্যানসারের আক্রান্তের সংখ্যাটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
কলকাতা: চিকিৎসা ব্যবস্থায় ক্রমশ এগিয়ে চলেছে কলকাতা। এখন আর শরীরের কোনও সমস্যা হলেই বাংলার মানুষকে বাইরে যেতে হয় না। কলকাতাতেই পাওয়া যায় আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা। সম্প্রতি চিকিৎসার তেমনই নিদর্শন দেখা গেল ডিভাইন নার্সিং হোমে।
আরও পড়ুন: ১৯৯৯ সালে ভারতের ‘বিশ্বাস’ ভেঙেছিল পাকিস্তান, ২৫ বছর পর ভুল স্বীকার নওয়াজ শরিফের
সম্প্রতি বেলেঘাটার ডিভাইন নার্সিং হোমে, চিকিৎসক সুনীল কুমার যাদবের তত্ত্বাবধানে এক শিশুর চিকিৎসা হয়। শিশুটির জন্ম হয় মাত্র ২৫ সপ্তাহ বয়সে। এই অপরিণত শিশুটির জন্ম গ্রহণের সময় ওজন ছিল মাত্র ৬০৫ গ্রাম। জন্মের পরেই শিশুটি শ্বাসের সমস্যা- সহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। প্রাথমিক ভাবে শিশুটির চিকিৎসা করা হয় সার্ফ্যাক্ট্যান্ট এবং যান্ত্রিক ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে। তার পরে সিপ্যাপের মাধ্যমে শ্বাসের ব্যবস্থা এবং নলে দিয়ে শিশুটির শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। এত কিছুর পরেও ষষ্ঠ দিনে শিশুটি সেপসিস (এক ধরনের সংক্রমণ) এবং নেক্রোটাইজিং এন্টারোকোলাইটিসে (অন্ত্রের সমস্যা) আক্রান্ত হয়।
এত কিছুর পরেও লড়াই থামাননি চিকিৎসকেরা। ৭০ দিন নার্সিংহোমে থাকার পর শিশুটিকে ১৬৫০ গ্রাম ওজন নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে সফল হন চিকিৎসকেরা। ছেড়ে যাওয়ার সময় শিশুটির চোখ এবং কান পরীক্ষা করা হয় এবং স্বাভাবিক রিপোর্টে সবকিছুই স্বাভাবিক আসে।
যে কোনও রান্নার স্বাদ বাড়াতে কারিপাতার জুরি মেলা ভার। দক্ষিণ ভারতের রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হলেও বাঙালিরাও রান্নার স্বাদ বাড়াতে কারিপাতা ব্যবহার করেন। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই নয়, স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও কারিপাতা বেশ কার্যকর। অনেকে কারিপাতা জলে ফুটিয়ে সেই জলও পান করেন। এছাড়াও শুকনো কারিপাতা গুঁড়ো করে রাখা যায়, কারিপাতার গুঁড়ো রান্নাকে যেমন সুস্বাদু করবে, তেমন শরীরও সুস্থ রাখবে।
আরও পড়ুন: মাঠের পর কি সম্পর্ক নিয়েও চাপে হার্দিক? পান্ডিয়া পদবি মুছলেন হার্দিক-পত্নী নাতাশা
গরম কালে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা বেশ চিন্তায় থাকেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, রান্নায় নিয়মিত কারিপাতা খেলে রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই পাতা একাধিক কারণে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
১) গবেষকদের মতে, কারিপাতায় দুই রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বর্তমান- ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল। এই দুটো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রক্তনালির ক্ষয় কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
আরও পড়ুন: দিঘা, মন্দারমণিতে ছাড় পাবেন না পর্যটকরা! রিমল নিয়ে সতর্ক নবান্ন, কড়া নির্দেশ
২) কারিপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পটাশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এছাড়াও শরীরে পটাশিয়াম- সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কারিপাতা খেলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক থাকে, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) বিজ্ঞানীদের মতে, কারিপাতায় থাকা বেশ কিছু যৌগ রক্তনালির মুখকে প্রসারিত করে, যার ফলে শরীরে রক্তপ্রবাহের হার বেড়ে যায়। যেই কারণে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ।