নয়াদিল্লি: চাঁদ হল পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ, যাকে রাতে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু এই চাঁদকে নিয়ে অনেক গোপন রহস্য রয়েছে। এই রহস্যগুলো উন্মোচনের জন্য, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বছরের পর বছর ধরে চাঁদের উপর অভিযান চালিয়ে এসেছে। এই সময়ে অনেক রহস্য প্রকাশিত হয়েছে, আবার অনেক জিনিস এখনও অজানা রয়ে গিয়েছে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞা চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছিল এই রহস্যগুলো উন্মোচনের জন্য।
আরও পড়ুন: ৫০০ টাকা নিয়ে চরম বিবাদ, ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় ব্যক্তির সামনেই পাসপোর্ট ছিড়ে ফেলল পিয়ন!
১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে, অ্যাপোলো অভিযানগুলি প্রথমবারের মতো মানুষকে চাঁদের পৃষ্ঠে নামিয়ে আনে। সেই মিশনের থেকে আমরা যে ছবিগুলো এবং ভিডিওগুলো দেখি, সেখানে মহাকাশচারীরা লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। কারণ চাঁদে মানুষের ওজন অনেক কমে যায়, তাই হাঁটার সময় তারা যেন লাফাচ্ছে মনে হয়।
এটি মাধ্যাকর্ষণের শক্তি এবং চাঁদের কম ভর কারণে ঘটে। কিন্তু সেটা কতটা কম এবং এর কোন মহাকাশীয় ব্যাখ্যা রয়েছে, আসুন জানা যাক।
চাঁদের ভর এবং চাঁদের কম মাধ্যাকর্ষণের কারণে, মানুষের এবং অন্যান্য কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীর তুলনায় ছয় গুণ কম।উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন মানুষের পৃথিবীতে ওজন ৭৮ কেজি হয়, তাহলে চাঁদের উপর তার ওজন মাত্র ১৩ কেজি হবে।
আরও পড়ুন: কফিনের মধ্যেই নড়ে উঠল মৃত শিশু, ছোট্ট হাত ধরল বাবার আঙুল, তারপর…বিস্তারিত জানুন
এই উত্তরটি কাছাকাছি, কিন্তু সম্পূর্ণ নয়। এখানে প্রশ্ন হল, পৃথিবীর তুলনায় চাঁদের উপর ওজনের পরিবর্তন হিসাব করার জন্য কোনো সূত্র কি আছে? এর উত্তর হ্যাঁ। এর জন্য দুটি পদ্ধতি আছে।
প্রথম সূত্র: পৃথিবীর উপর মানুষের ওজন × ১৬.৫ ÷ ১০০ = চাঁদের উপর মানুষের ওজন। ধরুন, বিশ্বে কেউ ৭৮ কেজি ওজনের। তাহলে চাঁদের উপর তার ওজন কত? সূত্র অনুযায়ী, ৭৮ কেজি × ১৬.৫ ÷ ১০০ = ১২.৮৭ কেজি হবে। অর্থাৎ, এটি ৬ গুণ কম। এটি একটি সঠিক উত্তর।
দ্বিতীয় সূত্র: চাঁদের ওজন = (পৃথিবীর ওজন / ৯.৮১) × ১.৬২। যেখানে ৯.৮১ = পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের শক্তি (প্রতি বর্গ মিটারে)। ১.৬২ = চাঁদের মাধ্যাকর্ষণের শক্তি (প্রতি বর্গ মিটারে)। এই সূত্র অনুযায়ী, ওজন হবে (৭৮ কেজি / ৯.৮১) × 1.62 = 12.88 কেজি।