আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : পড়ুয়াদের হাতে তৈরি হল এমন একটি মডেল, যা পাহাড়ি রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে দেবে অনেকটাই। সেন্সরের মতো কাজ করবে এই মডেলটি। যা পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি চালকদের অনেক সুবিধা করে দেবে। আগাম বিপদের আভাস দেবে। ফলে খুব সহজেই পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে।
আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়াদের হাতে তৈরি হয়েছে এই বিশেষ মডেল। মূলত আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ইলেক্ট্রনিক্স ইনোভেশনের উপর একটি কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল। ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারস ইন্ডিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল কর্মসূচিটি। পড়ুয়াদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা তুলে আনতে এবং তাদের হাতেকলমে জ্ঞান দিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন– ‘দানা’-র জেরে ১২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ থাকার পর কলকাতা বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট পরিষেবা চালু
এই ওয়ার্কশপে কলেজ পড়ুয়াদের ১৫টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। যারা বিভিন্ন রকম ইলেকট্রনিক মডেল তৈরি করেছে। পাশাপাশি তারা রিসার্চ পেপারও তৈরি করেছে। আর সেই পনেরোটি দলের মধ্যেই একটি টিম এই বিশেষ মডেল তৈরি করেছে। জানা গিয়েছে, এই মডেলটি পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তায় উল্টো দিক থেকে আসা কোনও গাড়ির সংকেত দেবে। ফলে চালকরা আগাম সতর্ক হতে পারবেন। স্বাভাবিকভাবেই তাতে কমবে দুর্ঘটনার সংখ্যা।
এই বিষয়ে কলেজের স্টুডেন্ট কনভেনার জানিয়েছেন, মূলত পড়ুয়াদের মধ্যে ইলেকট্রনিক ইনোভেশনের প্রতি উৎসাহ আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা মডেল তৈরি করেছে। ফলে তারা প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করেছে। যা আগামী দিনে তাদের কর্মজীবনে অনেক সুবিধা করে দেবে। পাশাপাশি বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে পড়ুয়ার মধ্যে থাকা প্রতিভা প্রকাশ পেয়েছে। যার ফল দুর্ঘটনারোধী এই বিশেষ মডেল।
নয়ন ঘোষ