পালি: রাজস্থানের পালি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ ৪৫৬ লিটার সরিষার তেল এবং ১১৫ কেজি সোন-পাপড়ি নষ্ট করেছে৷ কারণ হিসাবে বলা হয়েছে এগুলো না কি ভেজাল । এই পদক্ষেপটি জেলার চলমান “শুদ্ধ আহার বিকাশ” অভিযানের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঘু পাপে ভয়ঙ্কর শাস্তি! শিশুকে বন্ধ ক্লাসরুমে পাইপ দিয়ে বেধরক মার শিক্ষকের
চিফ মেডিকেল এবং হেলথ অফিসার (সিএমএইচও) ডা. বিকাশ মারওয়াল-এর নেতৃত্বে একটি দল এক্সপায়ার করে যাওয়া সর্ষের তেল এবং সোন-পাপড়ির একটি বড় পরিমাণ ধ্বংস করে দিয়েছে। তদন্তের জন্য হঠাৎ করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাওয়া খাদ্যদ্রব্যগুলি হাতে পাওয়ার পরই আর সময় নষ্ট করা হয়নি৷ স্বাস্থ্য বিভাগ তা সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করে দেয়।
দোকানে হঠাৎ টহল দেওয়ায় প্রথমে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল৷ পরে কারণ জানা গেলে সেই আতঙ্কে পালিয়ে যায়৷ তখন সবাই পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করতে থাকে৷
আরও পড়ুন: ১৯ দিনের শিশুকে জলে চুবিয়ে হত্যা করল অচেনা ব্যক্তি! শোকে পাথর বাবা মা
নিউজ18-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে সিএমএইচও ডা. বিকাশ মারওয়াল বলেছেন, “এখন উৎসবের মরশুম চলছে৷ দীপাবলির উৎসবের সময় কেনা বেচা বেশি হয়৷ সাধারণ মানুষের জন্য বিশুদ্ধ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য ভেজালবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে।” সেই কারণে নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাওয়া খাদ্য দ্রব্যকে বিনা দ্বিধায় রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে৷ শোনা হচ্ছে না দোকানদের কোনও আবেদন৷
এই কর্তা আর উল্লেখ করেছেন যে, জেলার ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। জানা গিয়েছে, শুধু দোকান নয়, স্বাস্থ্যের জন্য এই অভিযান স্বাস্থ্য বিভাগ দুটি নামী রেস্তোরাঁতেও চালিয়েছে। সেখানেও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খাদ্যের পরীক্ষা করা হয়েছে৷
স্বাস্থ্য বিভাগের দলটি পালি শহরের এম এস ভেঙ্কটেশ এজেন্সিতে অভিযান চালায়। তাদের দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে সর্ষের তেল, সবজি, ফ্যাট জাতীয় দ্রব্যপন্যে নমুনা পরীক্ষার জন্য যোধপুরের ল্যাবে পাঠিয়েছে। খাদ্য সুরক্ষা কর্মকর্তারা আনন্দ কুমার এবং ভুরারাম গোধারা দলের সঙ্গে ছিলেন।