Tag Archives: Rajasthan

ঝাড়ু দিয়ে ৬ লাখ টাকা! কী ভাবে কপাল খুলল গরিবের? জানলে চমকে যাবেন   

রাজস্থান: কথায় বলে, যে মন জয় করতে পারে সে নাকি দুনিয়া জিতে নিতে পারে। সেভাবেই ঝাড়ু বানিয়ে মন জিতে নিয়েছেন এক পরিবার। চাকরির যা বাজার, তাতে স্বনির্ভর হওয়াই মনঃস্থির করেছিলেন গৃহকর্তা গেরু। সেই মতো পরামর্শ দিয়েছিলেন পরিবারের বাকি সদস্যদের। তাঁরা সকলে মিলে হাত লাগিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে ঝাড়ু তৈরি করে গেছেন। তাতেই অন্ন সংস্থান। বছর শেষে আয় ৬ লক্ষ টাকা। রাজস্থানের বাঘপত এলাকার এই পরিবারের দেখানো পথ অনুপ্রেরণা দিতে পারে বহু অভাবী মানুষের।

কী ভাবে সম্ভব হল? কেমন করে ব্যবসা সফল করলেন গেরু? সেই গল্প ভাগ করে নিলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। গেরু জানান, এ হল বিশ্বাস রাখার এবং টিকে থাকার ফল। শুরুটা হয়েছিল দু’বছর আগে। অনেক চেষ্টা করেও চাকরি না পেয়ে বাঘপতের খেকরায় চলে গেছিলেন গেরু। ২০ সদস্যের পরিবার। পেট চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো।

আশেপাশের জঙ্গল থেকে খেজুর পাতা কুড়িয়ে সেগুলিকে টেকসই করার জন্য রবারের প্রলেপ লাগিয়ে ঝাড়ু তৈরি করা শুরু করেন পরিবারের ২০ জনে মিলে। স্থানীয়দের সহায়তায় এবং সম্মিলিত শ্রমে ক্রমশ লাভজনক হতে থাকে ব্যবসা। গেরু জানান প্রতি ঝাড়ুতে ৩০টাকা লাভ থাকে। সবটাই যেহেতু নিজেরা করেন, এখানে মধ্যসত্ত্বভোগীর জায়গা নেই। পণ্য কিনতে হয় না বাজার থেকে, লাভের টাকাও সরাসরি ঘরে আসে।
বনজ সম্পদ কাজে লাগিয়ে যেভাবে সপরিবার স্বাবলম্বী হয়েছেন গেরু তাতে স্থানীয়রা তাঁদের সম্ভ্রমের চোখেই দেখেন। বহু এলাকায় তাঁর ঝাড়ু বিক্রি হয়। সুনাম অর্জনের পাশাপাশি তিনিই এখন গ্রামবাসীর রোল মডেল।

ভগবানের উদ্দেশ্যে ভক্ত নিবেদন করলেন রত্নখচিত এক অসাধারণ জিনিস! অবাক মন্দিরে উপস্থিত সকলেই

নিশা রাঠৌর, উদয়পুর: সম্প্রতি ভগবান শ্রী সাঁওয়ারিয়া শেঠের উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ রুপো দিয়ে তৈরি একটি পোশাক নিবেদন করলেন এক ভক্ত। প্রায় ৪ কেজি রুপো ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ পোশাকটি। এমনকী, রুপোর পোশাকটির উপর সোনার জলও করা হয়েছে। আবার সুন্দর সুন্দর রত্ন দিয়ে মীনাকারির কাজও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভগবানকে নিবেদন করা পোশাকের উপর। যদিও ভক্ত অবশ্য নিজের নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই ভক্ত ভগবান সাঁওয়ারা শেঠের নামেই রশিদ তৈরি করেছেন।

আরও পড়ুন– বুধ থেকে শনি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে, উত্তরবঙ্গে ফের প্রবল বর্ষণের সতর্কতা !

মেওয়ারের কৃষ্ণধাম শ্রী সাঁওয়ারিয়াজির মন্দিরে প্রতিদিন প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হলে তাঁরা নানা কিছু নিবেদন করেন। এমন এক ভক্তের মনের ইচ্ছা পূরণ হওয়ায় তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাঁওয়ারা শেঠের মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন। আর নিবেদন করেছিলেন সম্পূর্ণ একটি পোশাক। মোট ৩ কেজি ৮০৯ গ্রাম রুপো দিয়ে তৈরি পোশাকটিতে রয়েছে সোনার জল। শুধু তা-ই নয়, পোশাকটি জুড়ে রয়েছে বহুমূল্য পাথর দিয়ে দাই করা খুব সুন্দর মীনাকারি কাজ। আর ভগবানের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা পোশাকের পাশাপাশি ছিল মুকুট, কিরণ, শঙ্খ, চক্র, চরণ পাদুকা এবং তরবারি ইত্যাদিও। ভক্ত নিজের নাম গোপন রেখেছেন। তবে শুধু এটুকুই জানিয়েছেন যে, তিনি ভিলওয়ারার আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন– প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন শ্বশুরমশাই, রেগে আগুন জামাই; তারপর যা করলেন…

বিশেষ বিষয় হল, ওই ভক্ত ভগবান সাঁওয়ারিয়া শেঠের নামেই রশিদটি তৈরি করিয়েছেন। রশিদের মধ্যে লেখা আছে, গ্রহীতা সাঁওয়ারা আর দাতাও সাঁওয়ারা। মন্দিরের বোর্ডের আধিকারিক এবং সদস্যরা ওই ভক্তের পরিবারকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই সময় মন্দির বোর্ডের সদস্য সঞ্জয় কুমার মান্ডোয়ারা, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ২ নন্দকিশোর টেলর এবং গিফট রুম ইনচার্জ শঙ্কর লাল কুলমি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। একাদশীর দিন ভগবান সাঁওয়ারা শেঠকে এই রুপোর পোশাক পরানো হবে।

Foods for Summer: হিট স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে পাতে রাখুন চৌরা ডাল থেকে তৈরি এই বিশেষ খাবার, দূর হবে পেটের সমস্যাও

নয়াদিল্লি: গ্রীষ্মের মরসুমে মানুষ এমন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা শরীরের জন্য ভাল এবং স্বাস্থ্যকর। আসলে এই সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা শরীরকে ঠান্ডা করে এবং দেহের জলের চাহিদাও পূরণ করে। আর এই খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম হল কাঞ্জি বড়া।

গ্রীষ্মের সময় রাজস্থানের ভরতপুরের বাজারে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায় এই বড়া। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, ঠিক তেমনই কাঞ্জি বড়া স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। এটি দেহের জলের চাহিদাও মেটায়।

পেটের রোগে কার্যকরী:

গ্রীষ্মের মরসুমে কাঞ্জি বড়ার জন্য রীতিমতো পাগল ভরতপুরবাসী। এর স্বাদ এতটাই বেশি যে, মানুষেরা কাঞ্জি বড়া খেতে ভিড় জমাচ্ছেন। এই কাঞ্জি বড়া তৈরি করা হয় চৌরা ডাল থেকে। গ্রীষ্মকালে এর চাহিদা থাকে তুঙ্গে। জলে ভিজিয়েই মূলত তৈরি করা হয় এই বড়া।

আরও পড়ুন: লিভারকে ভিতর থেকে ঝাঁঝরা করে দেয় এই ৫ খাবার! ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যাবে শরীরের, শেষে সামলাতেই পারবেন না

যা গ্রীষ্মকালে খাওয়া হলে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ হয়। আর এই কাঞ্জি বড়ার জলের স্বাদও খুবই চমৎকার হয়ে থাকে। আসলে এর জলে যোগ করা হয় জলজিরা, হিং, জোয়ান, জিরে এবং সর্ষের মতো উপকরণ। যা গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, পেট ব্যথার মতো পেটের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

কাঞ্জি বড়া তৈরির পদ্ধতি:

কাঞ্জি বড়া প্রস্তুতকারী নরেন্দ্র লোকাল১৮-কে বলেন যে, বিশেষ করে গ্রীষ্মের মরসুমে মানুষ এই কাঞ্জি বড়া পছন্দ করেন। কারণ এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে আর হিট স্ট্রোকের হাত থেকেও রক্ষা করে। তবে এই বড়া প্রস্তুত করাও অনেক কঠিন কাজ।

আরও পড়ুন: দুধের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পুষ্টিকর! রোজের রান্নায় মেশান ১ চামচ এই পাউডার…পুষ্টির পাওয়ার হাউস

কারণ, এটি করার জন্য সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রথমে চৌরা ডাল জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সেই ডাল ভাল ভাবে ভিজে গেলে মিক্সার জারে পিষে একটা ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। তারপর বিভিন্ন ধরনের মশলা যোগ করে কাঞ্জি বড়া তৈরি করা হয়। ভাল ভাবে তৈরি হয়ে গেলে জলের মধ্যে জলজিরা, হিং, জিরের মতো উপাদান যোগ করে তা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে পরিবেশন করতে হবে কাঞ্জি বড়া।

এক মাসে ৪.৫ কোটি টাকা রোজগার যুবকের! খবর পেয়েই ছুটল পুলিশ, আয়ের উপায় জানলে অবাক হয়ে যাবেন

নগৌর, রাজস্থান: সাইবার জালিয়াতি রুখতে তৎপর পুলিশ। জালিয়াতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দু’দিন আগেই দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ৮ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাইবার জালিয়াতি কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সুফিয়ান ইসমাইল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুম্বই থেকে। শেয়ার বাজার থেকে ব্যাপক মুনাফার লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলত তারা। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৮৭ লাখ ৩ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন– নোংরা পোশাক পরা দুই যাত্রীর হাতে দামি ব্রিফকেস; খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ জিআরপির !

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দেড়শোর বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে নাগৌর পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সাইবার প্রতারণা চক্রের যোগাযোগ ছিল। অভিযুক্ত সুফিয়ান বিভিন্ন রাজ্যে মোট ৭২টি সাইবার জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, এক মাসে ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকার প্রতারণা করেছে সুফিয়ান। পুরো টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সাইবার জালিয়াতির জন্য কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলেছিল অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, সাইবার অপরাধীদের কাছে এই সব অ্যাকাউন্ট ভাড়ায় খাটাত তারা।

এরপরই উঠে-পড়ে লাগে পুলিশ। সাইবার জালিয়াতদের ধরতে একটি টিম তৈরি করে দেন নাগৌরের এএসপি সুমিত কুমার। কোতোয়ালি থানার অফিসার মণীশ দেবের নেতৃত্বে সেই টিম মুম্বই পাড়ি দেয়। সেখান থেকেই অভিযুক্ত সুফিয়ান ইসমাইল শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হেড কনস্টেবল প্রেমরাম, প্রেমরাজ, পারস এবং রাকেশ সাংওয়াও এই দলে ছিলেন। ৮৭ লাখ টাকার সাইবার জালিয়াতির ঘটনায় এই টিমই পুরো তদন্ত চালায়। তারপর যোগসূত্র ধরে ধরে মুম্বই পৌঁছয়।

আরও পড়ুন– ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন মহিলা, খুলতেই বেরিয়ে এল কোটি টাকার মাদক!

প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে কোতোয়ালি থানায় মুনাব্বরের ছেলে মহম্মদ সোলেমন তাইলি একটি এফআইআর দায়ের করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, কয়েকজন যুবক মিলে জিওয়ান-এসএসজিএ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড স্টাডি ক্লাব নামে একটি গ্রুপ তৈরি করেছে। ওই গ্রুপের সদস্যরা সাইবার জালিয়াতি করে ৮৭.০৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই টাকা জমা করেছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। এরপরই পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

হাত ধরাধরি করে থানায় এসে দুই মেয়ে বলল, ‘স্যার, আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন’, তারপর যা হল…

পালি, রাজস্থান: সকালবেলা। থানায় ব্যস্ততা তুঙ্গে। অফিসাররা ডিউটি বুঝে নিচ্ছেন। দম ফেলবার ফুরসত নেই। ঠিক তখনই হাত ধরাধরি করে থানায় ঢুকলেন দুই মেয়ে। সোজা ডিউটি অফিসারের টেবিলে। সাফ জানালেন, তাঁরা প্রেম করেন, এখন বিয়ে করতে চান। দুই মেয়ের বিয়েতে যাতে কেউ বাধা দিতে না পারে, সেটাই দেখতে হবে পুলিশকে। এমন ঘটনা শুনে তাজ্জব অফিসার। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় দুই মেয়ে। বিয়ে তাঁরা করবেনই। রাজস্থানের পালি জেলার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন– নতুন করে প্রেমে পড়তে চলেছেন অনন্যা; তাঁর থেকে বয়সে ছোট প্রেমিকটি কে? এই অসম প্রেম নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী…

পালি জেলার জৈতপুর থানার ঘটনা। রবিবার সকালে থানায় হাজির হন দুই তরুণী। তারপর সরাসরি বিয়ের অনুরোধ। দুজনকেই হাজার বুঝিয়েও সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেননি থানার পুলিশ কর্মীরা। তরুণীদের সাফ কথা, পরিবার, সমাজ না মানলেও কিছু যায় আসে না। শেষে বাধ্য হয়ে দুজনের পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ। পরে তাঁদের পালির সখী সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের কাউন্সেলিং করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই মেয়ের পাশাপাশি বাড়ি। একে অন্যের প্রতিবেশী। একজনের বয়স ২০ বছর। অন্যজন ২৫ বছর বয়সী। প্রথমে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। পরে ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হলে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে পরিবার যে এই বিয়ে মেনে নেবে না, সেটা তাঁরা জানতেন। তাঁদের ভয়েই দুই তরুণী জৈতপুর থানায় যান। সেখানে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তাকে বিয়ের কথা বলেন। আবেদন করেন, তাঁদের বিয়েতে যেন কেউ বাধা না দেয়, সেটা পুলিশকে দেখতে হবে। দুই তরুণীর এমন কথা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার।

আরও পড়ুন– ওটিটি-তে প্রথমবার একসঙ্গে নীল-তৃণা, সঙ্গে রয়েছেন সৌরভও; পরের মাসেই আসছে ‘মিল্কশেক মার্ডারস’, মুক্তি পেয়েছে রুদ্ধশ্বাস টিজার

“স্যার, আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন”: দুই তরুণী এসএইচও-র কাছে নিজেদের প্রেমের কথা জানায়। তারপর বলেন, “স্যার আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন। কেউ যেন বাধা দিতে না পারে”। এসএইচও প্রথমে দুজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা নাছোড়। শেষে দুই তরুণীর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয় না। দু’জনেই জানিয়ে দেন, পরিবারের অমতেই তাঁরা বিয়ে করবেন। এমনকী, তাঁরা আর বাড়ি যেতেও রাজি নন। শেষে সন্ধ্যায় দু’জনকে পালির সখী সেন্টারে কাউন্সেলিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।

India: সবচেয়ে বেশি গরম, আবার চরম ঠান্ডা! ভারতের ঠিক একটি জায়গায় ঘটে এমন! কোথায় জানেন?

ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে নানা রকমের আবহাওয়া দেখতে পাওয়া যায়। দক্ষিণে সমুদ্র তো উত্তরে তুষারাবৃত হিমালয়। গ্রীষ্মে ঠান্ডা উপভোগ করতে গেলে লাদাখ বা কাশ্মীরে যেতে হবে।
ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে নানা রকমের আবহাওয়া দেখতে পাওয়া যায়। দক্ষিণে সমুদ্র তো উত্তরে তুষারাবৃত হিমালয়। গ্রীষ্মে ঠান্ডা উপভোগ করতে গেলে লাদাখ বা কাশ্মীরে যেতে হবে।
আবার শীতে গরম অনুভব করতে গেলে গোয়া কিংবা দক্ষিণ ভারতের যে কোনও উপকূলীয় অঞ্চলে যেতে হবে। ভারতে এমন কিছু এলাকা রয়েছে, যেখানে শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর গ্রীষ্মে তীব্র তাপপ্রবাহ চলে।
আবার শীতে গরম অনুভব করতে গেলে গোয়া কিংবা দক্ষিণ ভারতের যে কোনও উপকূলীয় অঞ্চলে যেতে হবে। ভারতে এমন কিছু এলাকা রয়েছে, যেখানে শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডা আর গ্রীষ্মে তীব্র তাপপ্রবাহ চলে।
মরু রাজ্য রাজস্থানকে গরমের রাজ্য হিসেবে দেখা হলেও, সেখানে এমন সব এলাকা রয়েছে, যেখানে শীতকালে তীব্র ঠান্ডা পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চুরু। শীতকালে চুরুতে এমন ঠান্ডা পড়ে যে তা মাইনাসে চলে যায়। সেখানে গ্রীষ্মের রাতগুলি শীতল আর শীতের দিনগুলি উষ্ণ থাকে।
মরু রাজ্য রাজস্থানকে গরমের রাজ্য হিসেবে দেখা হলেও, সেখানে এমন সব এলাকা রয়েছে, যেখানে শীতকালে তীব্র ঠান্ডা পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চুরু। শীতকালে চুরুতে এমন ঠান্ডা পড়ে যে তা মাইনাসে চলে যায়। সেখানে গ্রীষ্মের রাতগুলি শীতল আর শীতের দিনগুলি উষ্ণ থাকে।
২০২২-এর ২৭ ডিসেম্বরের আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চুরুতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল -০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আবহাওয়া দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১৯৭৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর সেখানকার তাপমাত্রা ছিল -৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২০২০-র ৩০ ডিসেম্বর চুরুর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল -১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০২২-এর ২৭ ডিসেম্বরের আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চুরুতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল -০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আবহাওয়া দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১৯৭৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর সেখানকার তাপমাত্রা ছিল -৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২০২০-র ৩০ ডিসেম্বর চুরুর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল -১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গ্রীষ্মে চুরুতে তীব্র গরম পড়ে। কার্যত তা চুল্লিতে পরিণত হয়। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির আশপাশে পৌঁছে যায়। উল্লেখ করা প্রয়োজন ২০২১ সালের জুনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রসঙ্গত চুরুর গড় উচ্চতা ২৯২ মিটার এবং এই শহর বড় বড় বালির টিলা দিয়ে ঘেরা। এখানে গাছপালা খুবই কম।
গ্রীষ্মে চুরুতে তীব্র গরম পড়ে। কার্যত তা চুল্লিতে পরিণত হয়। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির আশপাশে পৌঁছে যায়। উল্লেখ করা প্রয়োজন ২০২১ সালের জুনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রসঙ্গত চুরুর গড় উচ্চতা ২৯২ মিটার এবং এই শহর বড় বড় বালির টিলা দিয়ে ঘেরা। এখানে গাছপালা খুবই কম।
ভৌগলিক অবস্থানই চুরুর এই তাপমাত্রা ওঠানামার জন্য দায়ী, জানিয়েছেন আবহবিদরা। চুরুর আশপাশের এলাকাটি একটি ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় এলাকা। এছাড়া চুরু যে অক্ষাংশে অবস্থিত, সেখানে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত বাতাস প্রবাহিত হয়। যে কারণে দিনে প্রচন্ড গরম আর রাতে সমান ঠান্ডা থাকে।
ভৌগলিক অবস্থানই চুরুর এই তাপমাত্রা ওঠানামার জন্য দায়ী, জানিয়েছেন আবহবিদরা। চুরুর আশপাশের এলাকাটি একটি ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় এলাকা। এছাড়া চুরু যে অক্ষাংশে অবস্থিত, সেখানে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত বাতাস প্রবাহিত হয়। যে কারণে দিনে প্রচন্ড গরম আর রাতে সমান ঠান্ডা থাকে।

Bankura News: রাজস্থানের তাওয়া এবার বাঁকুড়ায়! বিক্রি হচ্ছে চলমান ট্রাকে

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় বিক্রি হচ্ছে রাজস্থানের পোড়ামাটির তাওয়া! তাও আবার চলমান ট্রাকের মধ্যে। সুদুর রাজস্থান থেকে নিজের ট্রাকে করে পরিবার নিয়ে বাঁকুড়ায় হাজির পলুরাম। তার ঝুলিতে রাজস্থানের পোড়া মাটির তাওয়া এবং কাসেরোল। নতুন ধরনের এই তাওয়া দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বাঁকুড়ার পথ চলতি মানুষ। কেউ কেউ কিনছেন এই তাওয়া। দাম মাত্র ৫০ টাকা। রাজস্থানের মাটি দিয়ে তৈরি এই তাওয়ায় নাকি খাবার রান্না করলে খাবারের গুণগতমান ভাল থাকে, এমনটাই মনে করেন পলুরাম এবং কয়েকজন ক্রেতা।

ট্রাকে বোঝাই করা রয়েছে পোড়া মাটির সরঞ্জাম। এই গাড়ি ঘুরছে বাঁকুড়া শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। কখনও লালবাজার আবার কখনও স্কুলডাঙ্গা। যেখানেই দাঁড়াচ্ছে সেখানেই মানুষের উৎসুক চোখ পড়ছে ৫০ টাকার মাটির তাওয়ার দিকে। তাওয়া ছাড়াও রয়েছে, চায়ের কাপ, জলের বোতল, হাঁড়ি, কড়াই এবং আরও অনেক কিছু। পলুরাম জানান, প্রায় ১০-১৫ দিন সময় লেগেছে বাঁকুড়া আসতে। সব সরঞ্জাম বিক্রি হলে তবেই ফিরে যাবেন পলুরাম ও তার পরিবার। সময় লাগতে পারে ১ মাস।

বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা বিখ্যাত একটি শিল্প। আর বাঁকুড়াতেই দেদার বিক্রি হচ্ছে সুদূর রাজস্থানের পোড়ামাটির বাসন! কি বলছেন সাধারণ মানুষ? ক্রেতা অর্ণব পান্ডা প্রথমবার দেখছেন এমন মাটির তাওয়া। তাই কিনেও নিলেন একটি। প্রশ্ন করায় তিনি হতাশার সুরে বললেন, পোড়ামাটির পীঠস্থান বাঁকুড়া, আর এই বাঁকুড়াতেই তৈরি হয়ে বিক্রি হতে পারত এমন মাটির বাসনপত্র। এদিকে গ্রামেগঞ্জে কাজের অভাবে বসে রয়েছেন শিল্পীরা।

আরও পড়ুনঃ UEFA EURO 2024: ইউরোর প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি কোন দুই দল, কখন শুরু ম্যাচ, কোথায় দেখবেন খেলা

বাঁকুড়ায় আছেন? যদি এরকম একটি ট্রাক দেখতে পান তাহলেই বুঝে নেবেন বিক্রি হচ্ছে রাজস্থানের মাটির তাওয়া। আর দাম মাত্র ৫০ টাকা। রাজস্থানের মাটি দিয়ে তৈরি করে, সুদূর রাজস্থান থেকে পরিবহন খরচ বহন করে বাঁকুড়াতে নিয়ে এসে এই মাটির তাওয়া কিভাবে মাত্র ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই বুঝতে পারছেন না বাঁকুড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ বাঁকুড়ার চলতি বাজারে পোড়ামাটির যে বাসন গুলি বিক্রি হয় সেগুলির খুব ছোট না হলে ন্যূনতম দাম শুরু হয় ৫০ টাকা থেকে। তবে আর বেশি দিন নয়, আর কয়েকদিন থাকবেন পলুরাম, তারপর বাঁকুড়া ছেড়ে ফিরে যাবেন রাজস্থান।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Offbeat Joint Family: রোজ দরকার ৬৫ কেজি আটা, ৫০ কেজি সবজি! চমকে দেবে রাজস্থানের ১৮৫ জনের যৌথ পরিবার

অজমের : যৌথ পরিবার ভাঙতে ভাঙতে ছড়িয়ে পড়েছে অণু পরমাণুতে। একান্নবর্তী পরিবারের রূপকথা এখন দেখা যায় শুধুই মেগা সিরিয়ালে। এরকম সময়ে চেনা ছবির উলটপুরাণ ধরা পড়ল রাজস্থানের অজমেরের রামসর গ্রামে। এই শহরের বাগড়ি পরিবারের সদস্যসংখ্যা এখনও ১৮৫। একই রান্নাঘরে তৈরি হয় এত জনের খাবার।

পরিবার যখন এত বড়, তখন তার রান্নাঘরও বড় হবে, এটাই স্বাভাবিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই পরিবারের রান্নাঘরের ছবি। একসঙ্গে রান্না হচ্ছে অনেকগুলি আভেনে। পরিবারের মহিলাদের সারাদিনে বেশিরভাগ সময়ই কাটে রান্নাঘরে। দিনভর সেখানে রান্নাবান্না হয়ে চলে ১১ টি স্টোভে। দৈনিক তৈরি হয় ৬৫ কেজি আটার রুটি। রোজ আনাজপাতি লাগে ৫০ কেজি।

এই যৌথ পরিবারে একসঙ্গে থাকে মোট ছ’টি প্রজন্ম। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৬০ জন পুরুষ। মহিলাদের সংখ্যা ৬০ এবং শিশু আছে ৬০ জন। সকলের মধ্যে ভালবাসা ও সৌজন্য সম্পর্ক ছড়িয়ে আছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই পরিবার খুবই জনপ্রিয়।

আরও পড়ুন : যতই ভাল লাগুক, ভুলেও পুঁইশাক মুখে তুলবেন না এঁরা! জানুন কারা পুঁইশাক খেলেই ঝাঁঝরা হয়ে যাবে শরীর

সারা পৃথিবীর সঙ্গে ভারতেও গত কয়েক দশকে পরিবার কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যৌথ এবং অনু-দু’ রকমের পরিবারেরই ভাল মন্দ এবং সুবিধে অসুবিধে উঠে এসেছে জীবন যাপনে। কিন্তু একান্নবর্তী পরিবারের চেনা ছবিতে ফিরে যাওয়ার ধারা তৈরি হয়নি। সেখানে অজমেরের বাগড়ি পরিবার উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।

লাগবে মাত্র ৭টা ইট, তাহলেই ঘর হবে বরফের মতো ঠান্ডা ! নেটিজেনরাও এর প্রশংসা করেছেন

জয়পুর: কথায় আছে, ‘প্রয়োজনীয়তাই হল উদ্ভাবনের জননী’। আসলে যখনই মানুষের কিছু প্রয়োজন হয়েছে, তখন তাঁরা সেই জিনিসটা আবিষ্কার করে নিয়েছেন। রান্নাবান্নার জন্য আগুন জ্বালাতে যখনই সমস্যা হয়েছে, তখনই গ্যাস সিলিন্ডার এবং স্টোভ তৈরি করা হয়েছে। ঠিক তেমন ভাবেই সারা বিশ্বে উষ্ণতার মাত্রা যে হারে বেড়েছে, তাতে জীবনযাপন করাই দায়। ফলে বাজারে এসেছে এসি বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র।

আরও পড়ুন– কেটে গিয়েছে ১৮ বছর, অথচ এই রোম্যান্টিক থ্রিলারটি এখনও রাজত্ব করছে ভক্তদের মনে; দেখতে হলে ঢুঁ মারতে হবে ওটিটি-তে

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে তেতেপুড়ে ওঠা গরম অসহনীয় হয়ে উঠছে। ফ্যানের হাওয়াতেও মিলছে না কোনওরকম স্বস্তি। অনেকেরই এসি কেনার ক্ষমতা রয়েছে, তো আবার দরিদ্রদের এসি কেনার ক্ষমতাই নেই। ফলে গরমটা তাঁদের জন্য বড় সমস্যা ডেকে আনছে। তো এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়? যাঁদের এসি কেনার ক্ষমতা নেই, তাঁরা জুগাড় বা অস্থায়ী উপায় অবলম্বন করছেন গরম থেকে স্বস্তি পাওয়ার জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই এক জুগাড়ু এসি-র ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এখনও পর্যন্ত এসি-র ঠান্ডা হাওয়া খাওয়ার জন্য একাধিক রকম জুগাড়ের কথা হয়তো আমরা শুনেছি। তবে এখন যেটা বলতে চলেছি, সেটা সবার সেরা। আর এটা বেশ সহজও বটে! নেটিজেনরাও এই আইডিয়া বেশ পছন্দ করেছেন।

আরও পড়ুন-রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে অমানবিক যুদ্ধে সব শেষ, রইল বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র ১০ দেশের তালিকা

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Akshay Deshpande (@adpdeshpande)

আর এই জুগাড়ু এসি তৈরি করার জন্য লাগবে একটি টেবিল ফ্যান এবং সাতটি ইট। এ আবার কেমন এসি? হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন! মাটির তৈরি ইটই এই অস্থায়ী এসি-র প্রধান উপকরণ। এটি তৈরি করার জন্য একটি টেবিল ফ্যানের সামনে সাতটি ইট সাজিয়ে রাখতে হবে। আর তার উপরে জল ছিটিয়ে দিতে হবে। এবার ভেজা ইটের উপর দিয়ে যখন হাওয়া চলাচল করবে, তখন গোটা ঘরটাই পুরোপুরি ভাবে ঠান্ডা হয়ে যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন জুগাড়ের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যাঁরা প্রচুর খরচের ভয়ে এসি নিতে পারছেন না, তাঁদের জন্য এটা দুর্দান্ত বিকল্প। ঘরটা সম্পূর্ণ রূপে ঠান্ডা হয়ে যাবে। আর এই উপায়ের জন্য বিশেষ কাঠখড়ও পোড়াতে হবে না। এই জুগাড়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। প্রচুর নেটিজেন লিখেছেন যে, “প্রখর তাপমাত্রা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এটাই একমাত্র বিকল্প।”

Child: তিন বছরের ছোট্ট শিশু আটকে গাড়িতে, বাবা-মা বিয়েবাড়িতে ব‍্যস্ত! ঘন্টাখানেক ছটপট করতে করতে…মর্মান্তিক মৃত‍্যু

রাজস্থান: গাড়ির মধ‍্যে বন্দি অবস্থায় মত‍্যু ৩ বছরের শিশু কন‍্যার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কোটাতে। বাবা মা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সন্তানকে গাড়িতে লক করা অবস্থায় তারপরেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত‍্যু হয় ওই শিশুর।

দেশের একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ‍্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ‍্যে নাগাদ ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর বাবার নাম প্রদীপ নাগার। জানা গিয়েছে, প্রদীপ নাগার স্ত্রী ও দুই কন‍্যা সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।

সেখানেই প্রদীপ নাগার ও তাঁর স্ত্রী এবং বড় মেয়ে গাড়ি থেকে নেমে বিয়ে বাড়িতে চলে যান। সকলেই গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছে ভেবে গাড়ি লক করে দেন প্রদীপ। কিন্তু গাড়িতে থেকে যায় ছোট মেয়ে।

আরও পড়ুন: সায়নী ঘোষকে ঘিরে চাঞ্চল্য, প্রচারের সময়ই ঘটল বড় ঘটনা! দৌড়ে এলেন কর্মীরা

বিয়ের অনুষ্ঠানে কিছুক্ষণ কাটানোর পর বাবা মা বুঝতে পারেন সঙ্গে আসেনি তাঁদের ছোট মেয়ে। এরপরেই ছোট মেয়েকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। প্রায় ২ ঘণ্টা পর গাড়ির মধ‍্যে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় শিশুকে। স্থানীয় চিকিত্‍সা কেন্দ্রে তাকে চিকিত্‍সার জন‍্য নিয়ে হলে চিকিত্‍সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর বাবা-মা ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করেছে এবং পুলিশ মামলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।