উত্তর ২৪ পরগনা: কথা বলার মাধ্যমে সামনে থাকা ব্যক্তিকে মোহিত করতে পারার মধ্যেও কিন্তু রয়েছে বিশেষ ক্ষমতা। আর সেই দক্ষতাই ফুটে ওঠে বাচিক শিল্পের মাধ্যমে। তাই বর্তমান প্রজন্মে এই বাচিক শিল্প বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে সন্তানদের নানা ধরনের শিক্ষামূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন অবিভাবকরা। তার মধ্যে এখন অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতি নাটক ছোট গল্প বলা বা এক কথায় বলতে গেলে বাচিক শিল্প। আর তাই এই শিল্প হয়ে উঠেছে এক অভিনব পেশা।
অশোকনগরের আলোর বৃত্ত সংগঠনের অন্যতম স্রষ্টা, শিক্ষিকা তমালী কুশারী এখন দেখাচ্ছেন এমনই এক পেশার হদিশ। মফস্বলের মেয়ে হয়েও, আজ শহর কলকাতার বুকে বাচিক শিল্পের পাঠশালা চালিয়ে হয়ে উঠেছেন স্বনির্ভর। আর তার এই শিক্ষার মধ্যে দিয়েই বহু ছাত্র-ছাত্রী কথার জাল বুনে আজ রীতিমতো প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠছেন। এই শিক্ষা রপ্ত করলে আগামী দিনে রেডিও জকি, সঞ্চালনা, বাচিক শিল্প সংস্থা পরিচালনা সহ একাধিক উপার্জনের পথ খুলে যায় বলেই দাবি শিক্ষিকা তমালী কুশারীর।
ছোটবেলা থেকে শিশুর মধ্যে এই বাচিক শিল্প গড়ে তুলতে পারে সঠিক বাংলা ভাষা উচ্চারণ সহ সুন্দর শ্রুতি মধুর কথা বলা, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলের গুণ। পাশাপাশি উল্টো দিকের মানুষকে যে কোন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও তৈরি হয়। বর্তমানে ১০৫ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরেই এই বাচিক শিল্পকে পেশা করে এগিয়ে চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ KKR News: কেকেআরে বড় বদল! বাদের খাতায় পুরো ৫ বিদেশী তারকা! কী পরিকল্পনা নাইটদের
অশোকনগর ছাড়াও বারাসাত, হাতিবাগান ও বাঁশদ্রোণীতে বাচিক শিল্পের ক্লাস চালাচ্ছেন এই শিল্পী শিক্ষিকা তমালী কুশারী। অচেনা পথ অনুসরন করেও জীবনে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। এবার আপনার বা আপনার সন্তানের পালা। তাই বাচিক শিল্প ঠিক ভাবে রপ্ত করতে পারলে, তা হয়ে উঠতে পারে বিকল্প পেশা।
Rudra Narayan Roy