হাওড়া: ধনতেরাস ও কালিপুজোর বাজার আশা যোগাচ্ছে মৃৎশিল্পীদের! ইলেকট্রিক আলোর দাপটে কোন ঠাসা মাটির প্রদীপ এমনটা মনে হলেও, একশ্রেণীর মৃৎ শিল্পীদের কথায় মাটির প্রদীপের ভাল চাহিদা হবে এবারও। আসলে কালীপুজোর কয়েক মাস আগে থেকে ইলেকট্রিক আলোর রমরমা থাকে। তবে পুজোর দুই তিনটে দিন আগে থেকে দারুণ চাহিদা বাড়ে মাটির প্রদীপ। তাই প্রতিবছর ১৫-২০ দিন আগে থেকে প্রদীপের পসরা দেখা যায় হাটে বাজারে। যদিও বর্তমান সময়ে সাবেকি প্রদীপের চাহিদা একেবারে কম। মানুষের চাহিদা মত, বাজার ধরতে রঙবেরঙের নানা নকশায় সজ্জিত বিভিন্ন প্রদীপ বাজার ছেয়েছে। ধনতেরাস বা কালি পুজোর দু-একদিন আগে থেকে দারুণ চাহিদা বারে প্রদীপের। সেই বাজারের আশায় এবারও বুক বেঁধে পসরা দিয়েছে ব্যবসায়ী।
আর কদিন পরেই দীপান্বিতা অমাবস্যা। এই আমাবস্যাকে আলোকের উৎসব বলা হয়। কিন্তু এই উৎসবে আলো, গত কয়েক বছর ধরে পাওয়া যাচ্ছিল চীনা ইলেকট্রিক বাতির মাধ্যমে। বলা ভাল চিনা বাতির দাপটে কৌলিন্য হারাতে বসেছিল ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রদীপ শিল্প। এক সময় চিনা আলোর দাপটে কোন ঠাসা হয়ে পড়েছিল বাংলার প্রদীপ। তবে বর্তমান সময়ে বাংলার ঐতিহ্য এবং পূর্ণ ছন্দ বজায় রয়েছে আলোর উৎসবে। কালিপুজোর বহু আগে থেকে ইলেকট্রিক আলোর রমরমা হলেও প্রদীপের দারুন চাহিদা হয় পুজোর দু’দিন। চিনা ইলেকট্রিক আলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রদীপ। সাবেকি প্রদীপের পরিবর্তে রঙবেরঙের নানা কারুকার্যময় প্রদীপ।
আরও পড়ুন: তেল বা ইলেক্ট্রিক ছাড়াই জ্বলবে দীপ! এবারের দীপাবলিতে ট্রেন্ডিং এই আলো
আরও পড়ুন: কখনও কি ভেবে দেখেছেন চকলেট বোম,পটকা বাজির নাম কেন হল বুড়ীমা! এই ‘বুড়ীমা’ আসলে কে? জানলে অবাক হবেন
কয়েক বছর দেখা দিয়েছিল প্রদীপের বাজার মন্দা। প্রদীপ বিক্রি কমে হয়ে যাওয়ায়, হতাশ হয়ে প্রদীপ গড়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন মৃৎ শিল্পীরা। কিন্তু গত দু-তিন বছর ধরে প্রদীপের চাহিদা ধীরে ধীরে বেড়েছে। এখন মাটির প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে বলে জানান প্রদীপ শিল্পী এবং প্রদীপ ব্যবসায়ী।পুরনো ঐতিহ্যু মেনে মানুষ মাটির প্রদীপ জ্বালাচ্ছে ঘরে ঘরে। ফলে প্রতিবছর কালীপুজোর দু একদিন আগে থেকে দারুণ চাহিদা হয় মাটির প্রদীপের।
রাকেশ মাইতি