ময়দার দক্ষিণাকালী

Kali puja 2024: এক সময়ে পর্তুগিজদের বন্দর! এখন পরিচিত দেবীর নামে, জানুন ময়দা কালী বাড়ির ইতিহাস

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগরের বহডুর ময়দা গ্রামে দক্ষিণাকালীর মন্দির বহু প্রাচীন। এই মন্দিরে কোনও দেবী মূর্তি নেই। নদীগর্ভ থেকে পাওয়া একটি শিলাকে চতুষ্কোণ গহ্বরে দেবীর প্রতীক হিসাবে রেখে পুজো করা হয়। এই শিলাকেই দক্ষিণাকালীর রূপে পুজো করা হয়। শিলারূপী কালী আবার স্বয়ম্ভূ নামেও পরিচিত। কথিত আছে, ১৫০০ শতকের শেষের দিকে পর্তুগিজদের একটি অংশ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ‘ময়দা’ নামক এই গ্রামে চলে আসে এবং গঙ্গার তীরকে বেষ্টন করে তারা মূলত বাণিজ্য স্থাপনে মনোনিবেশ করে।

ময়দা গ্রাম সে যুগে বানিজ্যস্থাপন করার ক্ষেত্রে ছিল খুবই উপযুক্ত। সেই সব চিন্তাভাবনা থেকেই পর্তুগিজরা এই অঞ্চলের নামকরণ করেন ‘মাদিয়া’। সেই নাম অপভ্রংশ হয়ে হয়েছে ময়দা। অনেকে বলেন, পাতালভেদী কালীপুজোর দায়িত্বে ছিল পাঠক বংশ। এই বংশের অন্যতম হলেন সাধক ভবানী পাঠক। তিনি নিজে পাতালভেদী কালীর পুজো করতেন। এই মন্দিরের পিছনে বকুলগাছের তলায় পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে সাধনা করতেন তিনি। প্রথা মেনে কালীপুজোর রাতে জমিদার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের নামে সংকল্প করে জোড়া পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অন্য মানতকারীদের পাঁঠাও বলি হয়।

এখন মন্দিরে সাজো সাজো রব। রংয়ের পোচ পড়েছে মন্দিরের সর্বত্র। মন্দির কমিটির এক সদস্য বলেন, “মায়ের শিলাও এবার রং করা হচ্ছে। মা দক্ষিণা কালীর পুজো হওয়ায় কারণে ময়দা-সহ আশপাশের গ্রামে কোথাও কালীপুজো হয় না। কোনও বাড়িতেও হয় না। জানা যায়, বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের বংশধর গঙ্গাধর চৌধুরী ১১৭৬ বঙ্গাব্দে ময়দায় এই কালীমন্দির নির্মাণ করেন। মা দক্ষিণাকালী সম্পর্কে নানা জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে।”

সুমন সাহা