কলকাতা: ২৬ অক্টোবর শুক্রবার, ঝড়-বৃষ্টির রাত, এই শহরেই তড়িদাহত হয়ে বেঘোরে মারা গেল এক তরুণ৷ নাম সৌরভপ্রসাদ গুপ্ত।
মিটার ঘরের চারিদিকে তারের জটলা৷ সেই তার থেকেই বিদ্যুৎ টেনে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারের চেম্বারের বিজ্ঞাপনী বোর্ডে আলো জ্বালানো হয়েছিল৷ সেই বোর্ডের বিদ্যুতেই মারা গেলেন সৌরভ৷
ঘটনাটি ঘটেছিল জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে৷ সেখানে তাঁর বাবার একটি ভুজিয়ার দোকান রয়েছে। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে জমা জলে টাল সামলাতে না পেরে ঠেলাগাড়ি ধরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল৷ আর তখনই ছিটকে পড়ে যায়৷
এবার তাঁর বাবা প্রাসাদ গুপ্তার মুখে ছেলের জন্য ‘জাস্টিসের’ দাবি৷ তিনি সংবাদ পত্রের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ‘‘হামকো কুছ নেহি চাহিয়ে, হামে বস ‘ন্যায়’ চাহিয়ে’’।
২২ বছরের ছেলেকে অকালে হারিয়ে শোকে পাথর গনেশ প্রাসাদ গুপ্তা। জানা যায়, সৌরভপ্রসাদ এবার কলেজের তৃতীয় বর্ষে উঠতো। পুলিশে চাকরির জন্য ফর্ম ফিলাপও করেছে সে৷
কিন্তু শুধুমাত্র অসুস্থ বাবার পাশে দাঁড়াতে, পরিবারের অন্নসংস্থানের জন্য এলাহাবাদ থেকে ভবানীপুরের জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে এসেছিলেন৷
তাঁদের নিজেদের বহু পুরনো দোকান রয়েছে সেখানে৷ সেই দোকান সামলাতেই ছুটে এসেছিল সে। আর দোকান সামলে আর বাড়ি ফেরা হল না সৌরভের৷
ছেলেকে হারিয়ে এখন বাবার প্রশ্ন, কেন অকালে চলে যেতে হল ছেলেকে? কেন সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা গেল না? জাস্টিস কোর্ট বিল্ডিং কর্তৃপক্ষের অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবার জাস্টিস চাইছেন সৌরভের বাবা।