বদলে যাবে সব সরকারি হাসপাতাল? জেলায় জেলায় বড় নির্দেশ নবান্নের!

West Bengal Hospital Infrastructure Change: বদলে যাবে সব সরকারি হাসপাতাল? জেলায় জেলায় বড় নির্দেশ নবান্নের!

কলকাতা: ষষ্ঠদ্বশ অর্থ কমিশনের স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক অনুদান পেতে ন্যাশানাল হেল্থ মিশন জেলাশাসকদের পরিকাঠামোগত বাজেট প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দিল। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জেলা হাসপাতালের  চিকিৎসকদের কনসালটেশন রুম, বিশ্রাম কক্ষ, শৌচালয়, অপারেশন থিয়েটর, লিফট, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা  প্রতিবন্ধী ও প্রবীন মানুষেদর জন্য উপযুক্ত র‍্যাম্প ও অন্যান্য সুবিধার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- উইলে ড্রাইভার, রাঁধুনিরও নাম রয়েছে, কিন্তু ভাই নোয়েলকে কিছুই দেননি রতন টাটা? কেমন ছিল তাঁদের সম্পর্ক?

রাজ্য সরকার এবার কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারের পাশাপাশি সেন্ট্রাল রেফারেল ইউনিটের পরিকাঠামো তৈরির জন্য উপযুক্ত প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে জেলা শাসক ও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এই ধরনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চব্বিশ ঘন্টা চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখতে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সহায়কদের জন্য কোয়াটার তৈরির বাজেট সহ বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে জানাতে হবে এই ধরনের কোয়াটার কতগুলি তৈরি করতে হবে।

হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বসার উপযুক্ত ব্যবস্থা করার নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বা হয়েছে। মহকুমা থেকে জেলা হাসাপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। অবশ্যই জেলা ও মহকুমা হাসাপাতালে মা ও শিশুদের চিকিৎসার পরিকাঠামো বিশেষ করে সদ্যজাত শিশুদের জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট তৈরির কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- আইফোন চাই! পরিবারকে চাপ দিয়েছিল কিশোর, না পেয়ে সে যা করল…! শিউরে উঠবেন

এজন্য নির্দিষ্ট ফর্মা তৈরি করে জেলাগুলিতে পাঠানো হয়েছে। যেখানে কমিউনিটি হেল্থ সেন্টার থেকে জেলা হাসপাতালের বিস্তারিত পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার কথা উল্লেখ করতে হবে। প্রসঙ্গত রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই ২৮টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল গুলির জন্য নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো গত উন্নয়নের জন্য ১১৮ কোটি টাকা খরচ করছে রাজ্য। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো নিরাপত্তার দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা টানা আন্দোলন চালিয়েছেন। রাজ্যের তরফে প্রায় ১০০ শতাংশ কাজ শেষ বলেও দাবি করা হয়েছে। সিসিটিভি, ওয়াশরুম, রেস্টরুম, অতিরিক্ত কালো লাগানোর কাজ প্রায় শেষ বলেই দাবি নবান্নের।

 সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়।