সিনেমার কায়দায় অপহরণ ব্যবসায়ীকে! তদন্তে নেমে পুলিশের বড়সড় সাফল্য 

কলকাতা: সন্ধের অন্ধকার নামতেই অপহরণ। এক ব্যবসায়ীকে জোর করে একটা সাদা চারচাকা গাড়িতে তুলে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ঘটনা।

খবর পাওয়া মাত্র তদন্তে নামে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা যায়, কালনার দিকে গিয়েছে অপহরণকারীরা। শুরু হয় তল্লাশি। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নদিয়া জেলা থেকে উদ্ধার করা হল অপহৃত ব্যবসায়ীকে।

ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন।চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই উদ্ধার ব্যবসায়ীর নাম জয়ন্ত ঘোষ। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির সাতগেছিয়া পশ্চিমপাড়ায়।

আরও পড়ুন- নিম্নচাপের বৃষ্টি, শীতকালীন সবজি কী করে বাঁচাবেন ভেবে পাচ্ছেন না? উপায় আছে কিন্ত

প্রথমে পুলিশ সুখেন সূত্রধর নামে স্থানীয় একজনকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে আব্বাস সেখ ও আলামত সেখ নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তাদের বাড়ি নদিয়ার পলাসীতে। তাদের মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়।পলাসী থেকেই ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ।এই ব্যবসায়ী পুরনো গাড়ি কেনা বেচার কাজ করেন।

ধৃত আব্বাস সেখ জয়ন্তর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা পেতেন। সেই টাকা আদায় করতেই এই অপহরণ! অপহরণে ব্যবহৃত সাদা চারচাকা গাড়িটি পুলিশ উদ্ধার করেছে।

এর আগেও এই ধরণের অপহরণে অভিযুক্তদের জড়িত ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। সেখানে পাঁচদিন নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ।

পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, টাকা পয়সার জন্যই এই অপহরণ বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। এর পর সুখেন সূত্রধর নামে মেমারির সাতগেছিয়ার একজনকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন- ‘দানা’র দাপট কমলেও রেহাই নেই বাংলার! কাঁপিয়ে ধেয়ে আসছে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি…!

জেরায় সে অপহরণে যুক্ত থাকা ও অপহরণকারীদের সাহায্য করার কথা স্বীকার করে নেয়। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পলাসী থেকে ব্যবসায়ী জয়ন্ত ঘোষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে মুক্তিপণ চাওয়ার কোনও তথ্য নেই।

ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই ঘটনায় আরও দু একজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।