দেশ IMD Latest Weather Update: আবহাওয়ার আশ্চর্য খেল…! ‘দানা’র জন্যই দিল্লির এই অবস্থা? বাংলায়ও পড়ছে প্রভাব, দেখুন! Gallery October 27, 2024 Bangla Digital Desk ‘দানা’র প্রভাব বাংলায় বিধ্বংসী না হলেও নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। ঝোড়ো হাওয়ায় তছনচ হয়েছে একের পর এক বৃক্ষ। রাস্তায় জমা জল ঢুকে পড়েছে ঘরে, হাসপাতালে। সব মিলিয়ে বড়সড় দুর্ভোগের ছবি এখনও। স্বস্তির খবর কি দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর? দেখুন। আজকের আবহাওয়া: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব অনেকাংশে কমেছে। তবে এর প্রভাব এখনও ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে রয়েছে। রবিবারও ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এসব এলাকায় তাপমাত্রা কমেছে। একইভাবে দিল্লিতেও হাল্কা শীত এসেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রকোপে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা-সহ উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝড়ের প্রভাব দেখা গেছে ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গে। আসুন জেনে নিই ‘দানা’র পর সারা দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দিল্লিতে মৃদু শীত এসেছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, দিল্লির AQI গুরুতর বিভাগে পৌঁছেছিল। এই সপ্তাহের শুরুতে, AQI 400 পেরিয়েছিল। শনিবার, দিল্লির বাতাসের মান উন্নত হয়েছে। শনিবার, দিল্লির বায়ুর গুণমান 274 এ রেকর্ড করা হয়েছে। AQI পরবর্তী দুই থেকে তিন দিন অনুকূল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। দীপাবলির পরে, বাতাসের গুণমানে ব্যাপক হ্রাস। একই সঙ্গে দিল্লির তাপমাত্রা এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। বিহার-ঝাড়খণ্ডের আবহাওয়া কেমন থাকবে? ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার পূর্ব উপকূলে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও। তবে এখনই এখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রবিবার এসব এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। একই সময়ে, বৃষ্টির কারণে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 22.4 ডিগ্রিতে নেমে গেছে। যা গড়ের চেয়ে প্রায় তিন ডিগ্রি কম। বৃষ্টির সতর্কতা- আবহাওয়া অধি দফতর জানিয়েছে, আজ দেশের কোথাও বৃষ্টির সতর্কতা নেই। IMD-এর মতে, কেরালা, দক্ষিণ তামিলনাড়ু এবং লাক্ষাদ্বীপের বিক্ষিপ্ত জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবারও ওড়িশার বালাসোরে 240 মিমি, পশ্চিমবঙ্গের 24 পরগণায় 170 মিমি এবং ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলায় 80 মিমি বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি ‘দানা’রই প্রভাব। তবে রবিবার বৃষ্টি কমেছে। পাশাপাশি ওড়িশা-সহ পশ্চিমবঙ্গেও আবহাওয়ার উন্নতি রবিবার থেকেই। উত্তরবঙ্গে বিরাজ করছে শুষ্ক আবহাওয়া। সেই বাতাস দক্ষিণে এসে এখানের বাতাস থেকেও জলীয় বাষ্প টেনে বের করে নিয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় দানা শক্তি হারিয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উত্তর ওড়িশা থেকে নিম্নচাপ আরও শক্তি হারিয়ে ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশের দিকে এগোবে। রবিবার সকালের পর এর আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না বলেই মনে করেন আবহাওয়াবিদরা। কলকাতায় রবিবার মূলত পরিষ্কার আকাশ। কখনও আংশিক মেঘলা। বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে শহরে। বাতাসে কমবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। শুষ্ক আবহাওয়া ক্রমশ ফিরবে। ইতিমধ্যেই তাপমাত্রার পারদ নেমেছে শহরে। শীতের আগমন ঘটবে শীঘ্রই।