মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় আহত হলেন অন্তত ৬৪ জন। প্রাণ গিয়েছে অন্তত ২ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুনে সোলাপুর হাইওয়েতে, পুণের বারবন্দ গ্রামের কাছে। প্রতীকী ছবি।

Accidents: ঝড়-জলের রাতে মৃত্যু, ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর, ‘জাস্টিস’-এর দাবি বাবার

কলকাতা: ২৬ অক্টোবর শুক্রবার, ঝড়-বৃষ্টির রাত, এই শহরেই তড়িদাহত হয়ে বেঘোরে মারা গেল এক তরুণ৷ নাম সৌরভপ্রসাদ গুপ্ত।

মিটার ঘরের চারিদিকে তারের জটলা৷ সেই তার থেকেই বিদ্যুৎ টেনে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারের চেম্বারের বিজ্ঞাপনী বোর্ডে আলো জ্বালানো হয়েছিল৷ সেই বোর্ডের বিদ্যুতেই মারা গেলেন সৌরভ৷

ঘটনাটি ঘটেছিল জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে৷ সেখানে তাঁর বাবার একটি ভুজিয়ার দোকান রয়েছে। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে জমা জলে টাল সামলাতে না পেরে ঠেলাগাড়ি ধরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল৷ আর তখনই ছিটকে পড়ে যায়৷

আরও পড়ুন: সাবধান! ধনতেরাসে খবরদার কিনবেন না ৫ জিনিস, ঘরে সম্পদের বদলে দুর্ভাগ্য টেনে নিয়ে আসবে, ছারখার হবে সুখ-শান্তি

এবার তাঁর বাবা প্রাসাদ গুপ্তার মুখে ছেলের জন্য ‘জাস্টিসের’ দাবি৷ তিনি সংবাদ পত্রের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ‘‘হামকো কুছ নেহি চাহিয়ে, হামে বস ‘ন্যায়’ চাহিয়ে’’।

আরও পড়ুন: ধনতেরাসের দিন রান্না করুন এই ৩ সব্জি, পাবেন ধনকুবেরের আশীর্বাদ, বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধির বৃষ্টি হবে

২২ বছরের ছেলেকে অকালে হারিয়ে শোকে পাথর গনেশ প্রাসাদ গুপ্তা। জানা যায়, সৌরভপ্রসাদ এবার কলেজের তৃতীয় বর্ষে উঠতো। পুলিশে চাকরির জন্য ফর্ম ফিলাপও করেছে সে৷

কিন্তু শুধুমাত্র অসুস্থ বাবার পাশে দাঁড়াতে, পরিবারের অন্নসংস্থানের জন্য এলাহাবাদ থেকে ভবানীপুরের জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে এসেছিলেন৷

তাঁদের নিজেদের বহু পুরনো দোকান রয়েছে সেখানে৷ সেই দোকান সামলাতেই ছুটে এসেছিল সে। আর দোকান সামলে আর বাড়ি ফেরা হল না সৌরভের৷

ছেলেকে হারিয়ে এখন বাবার প্রশ্ন, কেন অকালে চলে যেতে হল ছেলেকে? কেন সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা গেল না? জাস্টিস কোর্ট বিল্ডিং কর্তৃপক্ষের অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবার জাস্টিস চাইছেন সৌরভের বাবা।