মা কালী 

East Bardhaman News: ৪ কেজি সোনা দিয়ে সাজানো হয় দেবী প্রতিমা, কাটোয়া শহরের প্রসিদ্ধ এই কালীপুজো 

পূর্ব বর্ধমান: চার কেজি সোনা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় কাটোয়ার এই কালী প্রতিমা। প্রায় ৪০০ বছরের পুরানো এই পুজো কাটোয়াবাসীর আবেগ। কাটোয়া শহর তথা পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম প্রসিদ্ধ পুজো এই কালীপুজো।

কাটোয়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রত্যেক বছর জাঁকজমক ভাবে এই কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ছোট থেকে বড় সকলেই এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন।

পুজোর সময় মন্দির চত্বর জুড়ে ভিড় জমান কয়েক হাজার মানুষ। প্রায় ৪০০ বছরের পুরানো এই পুজোর কীভাবে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে বহু জনশ্রুতি রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট পুজো সমিতির কার্যকরী সভাপতি শ্যামল কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, “এই পুজো ৪০০ বছর আগেকার, তবে কীভাবে শুরু হয়েছিল তা কেউ বলতে পারবে না৷ বুধবার দিন থেকে মাকে সাজানো হবে বৃহস্পতিবার হবে পুজো। প্রায় ১৫-২০ হাজার ভক্তরা আসেন, পুজোর পরে সকলকে প্রসাদ দেওয়া হয়।”

পুলিশ পাহারায় ব্যাঙ্কের লকার থেকে মা কালীর গয়না নিয়ে এসে পরানো হয়। গয়না পরানোর সময় মন্দিরের গর্ভগৃহে পুলিশ কর্মী ও পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।

এছাড়া পুজোর দিন থেকেই পুলিশ কর্মীরা মোতায়েন রাখা থাকে মন্দির চত্বরে। কাটোয়ার এই কালীর অন্যতম আকর্ষণ হল তাঁর সোনার গয়না। ভক্তদের দান করা সোনার গয়না যখন মা কালীকে পরানো হয়, তখন সেই দৃশ্য দেখার জন্য মন্দিরে বহু মানুষ ভিড় জমান।

পুজো সমিতির কার্যকরী সভাপতি শ্যামল কুমার ঘোষ আরও জানিয়েছেন, “সোনার নেকলেস, সোনার জিভ-সহ মায়ের মোট চার কেজি সোনার গহনা রয়েছে। আমরা পুজো উদ্যোক্তারা প্রচন্ড ব্যস্ততার সঙ্গে এখন দিন কাটাচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসন এবং বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রচন্ড সহযোগিতা করেন। সারাবছর আমরা এই পুজোর জন্য অপেক্ষায় থাকি।”

তবে শুধু সোনার গয়না নয়, বেশ কয়েক কেজি রুপোর গয়নাও পরানো হয় মা কালীকে। পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ এমনকি কলকাতা থেকেও বহু মানুষ আসেন এই পুজো দেখার জন্য।

ইতিমধ্যেই এবারেও জোর কদমে চলছে কালী পুজোর প্রস্তুতি। তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। মন্দিরে প্রবেশ করার রাস্তায় বসানো হচ্ছে বড় বড় লাইটের গেট, টাঙানো হচ্ছে ঝাড়বাতি। এক কথায় কাটোয়ার এই কালীপুজোর জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী