রঙ্গেশ সিং, সোনভদ্র: মন্দিরের পাশে একটি বাড়িতে কসমেটিক্সের দোকান। মেয়েদের আনাগোনা লেগেই থাকে। ইদানীং ছেলেপুলেরাও যেতে শুরু করেছিল। কেনাকাটার পর হাতে প্লাস্টিক ঝুলিয়ে বেরিয়ে আসত। এমন কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন আশপাশের লোকজন। ছেলেরা আবার কবে থেকে কসমেটিক্সের দোকানে যেতে শুরু করল?
পুলিশের কাছেও খবর ছিল। তবে সেটা অন্যরকম। সেই খবরের উপর ভিত্তি করেই অভিযান চালায় পুলিশ। তারপর দোকানের ভিতর থেকে যা উদ্ধার হল, তাতে সকলের চক্ষু চড়কগাছ। কসমেটিক্সের সঙ্গেই চলছিল রমরমা বাজির ব্যবসাও। পুলিশি অভিযানে বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রের এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
গোপন সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে, সোনপরা জেলার আনপরা থানা এলাকায় বিপুল পরিমাণ বাজি জমা করা হয়েছে। এরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। জানা যায়, মন্দিরের কাছে একটি বাড়িতে কসমেটিক্সের দোকান চালান এক ব্যক্তি। তিনিই দোকানে অবৈধভাবে বাজি রেখেছেন। এরপরই দোকানে হানা দেয় পুলিশের একটি টিম। তল্লাশিতে দশ বস্তা এবং সাত বাক্স ভরা বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এর আগে রবার্টসগঞ্জের জনবহুল এলাকা থেকেও সাত লাখ টাকার বাজি আটক করা হয়। এবার ৫ লাখ টাকার বাজি উদ্ধার হল।
এই প্রসঙ্গে পিপরির সিও অমিত কুমার বলেন, একজন গৃহপরিচারিকার কাছ থেকে খবর পাওয়া যায় যে একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পটকা রাখা আছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পূর্ব পারসির রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের পাশের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ত্রিলোক চন্দ্র সিংলা নামের এক ব্যক্তির কসমেটিক্সের দোকান রয়েছে। তিনি ওই বাড়ির একটি ঘরকে গুদাম হিসাবে ব্যবহার করতেন। সেই ঘর থেকেই বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার হয়েছে।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া বাজির বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। দীপাবলির সময় অনেক দোকানদারই আতসবাজি বিক্রি করেন। ওই দোকানদারও সেটাই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আতসবাজির সঙ্গে অবৈধ পটকাও ছিল। আর সেটাই কাল হল। তল্লাশির সময় দোকানদারের কাছ থেকে বাজির কাগজপত্র চাওয়া হয়। তিনি কিছুই দেখাতে পারেননি। এরপরই বিপুল পরিমাণ বাজি বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোকানদারের বিরুদ্ধে অবৈধ বাজি ব্যবসার অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে