কলকাতা: কোর কমিটিকে অন্ধকারে রেখে বিজয়া সম্মিলনী নয়। এমনই বার্তা দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।
উপনির্বাচনের আগে বিজয়া সম্মিলনীকেই ভোট প্রচারের মূল হাতিয়ার করতে চেয়েছে তৃণমূল। সেই কথা মাথায় রেখেই জেলার বিভিন্ন ব্লকস্তরে দলীয় জনসংযোগ বাড়াতে বিজয়া সম্মিলনীকেই কাজে লাগাতে চাইছে তাঁরা।
গত পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ‘অনুব্রত হীন’ বীরভূমে কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতে ভাল ফল করেছিল তৃণমূল। তারপর থেকেই কোর কমিটির উপর আস্থা বেড়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। সূত্রের খবর, মাঝে কোর কমিটির নেতৃত্বের মধ্যে কিছু মতানৈক্য দেখা দেয়। তা কানে যায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কাছেও। তারপরেই জনসংযোগের ক্ষেত্রে প্রতিটি কর্মীর জন্যই এই বার্তা দেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের অফবিট লোথিয়ান দ্বীপ! ঘুরে আসুন নদীর মোহনার সুন্দর এই অভয়ারণ্যে
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অনুব্রতের অনুপস্থিতিতেও যে ভাবে হাল সামলে পঞ্চায়েতে বীরভূমে ঘাসফুল ফুটিয়েছে কোর কমিটি। তারপর থেকেই এই কমিটির উপর আস্থা রেখেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
তাই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলীয় যেকোনো জনসংযোগ কর্মসূচীতে কোন নেতা, কোথায় যাবেন তা কোর কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। বিজয়া সম্মিলনীর প্রসঙ্গে তা সবার প্রথমে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: বদলে গেল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোলের চেনা ছবি, খুললে গেল মৈত্রী দরজা
বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকতে হবে কোর কমিটির সব সদস্যকে। কোর কমিটির আহ্বায়ক এবং বাকি সদস্যরা ও জেলা সভাপতি কথা বলার পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। যেহেতু, বিজয়া সম্মিলনী একটি দলের জনসংযোগ কর্মসূচী। তাই এখানে দলের প্রতিটি কর্মীর উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন। কারও ইচ্ছা মতো বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া যাবে না বলেও জানানো হয়। সূত্রের খবর, আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর সাথে দলের শীর্ষ নেতৃত্বর এই বিষয়ে কথা হয়েছে।