মুর্শিদাবাদ: অকাল বৃষ্টি। শীত শুরু হতেই বৃষ্টিতে মাথায় হাত মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থেকে ফরাক্কা সর্বত্রই চাষিদের অবস্থা সংকটে। টানা বৃষ্টিতে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লকের ঝাউদিয়া পশ্চিমপাড়া হুঁকোহারা ঘোষপাড়া রোশন নগর সহ বিভিন্ন এলাকায় জলের তলায় জমির ফসল। এমনকি ফরাক্কাতে বিভিন্ন জায়গায় জমি জলের তলায়। যেমন কলাই সরিষা, ধান, কফি, পালং শাক, কলাবাগান সহ ইত্যাদি ফসল। কৃষকদের দাবি, এই অসময়ে হঠাৎই বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেল তারা ঋণ করে চাষ আবাদ করেছে ঋণ শোধ করবে কিভাবে সরকারি সাহায্য দিলে কিছুটা হলেও তারা দাঁড়াতে পারবে বলে জানান।
আমন ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ফসল ঘরে তোলার সময়ে ধান গাছ নুয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। লোকসানের শঙ্কায় যেন তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এছাড়াও ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম শাক সবজি সহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য।
আরও পড়ুন: ৫০০ বছরের পুরনো দয়াময়ী কালী, কালীপুজোর রাতে যা হয় এই মন্দিরে…
অন্যদিকে, ফরাক্কা সহ বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় ধান ও শীতকালীন সবজি চাষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। চাষের জমিতে জল জমে যাওয়ায় ধানগাছ ও সবজির চারাগাছ জলে ডুবে গেছে এবং ঝোড়ো হাওয়ার প্রভাবে ধানগাছের মাথা নুয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকা জলে! বেহাল দশা স্কুলের মিড ডে মিলের শেডের!
ফরাক্কার বেওয়া পঞ্চায়েতের নিশিন্দ্রা গ্রামের কৃষক হরেন মন্ডল জানান, এ বছর তিনি ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন এবং বিঘা প্রতি প্রায় ৭ মণ ফসলের আশা করেছিলেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ধানগাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় তিনি প্রায় বিঘাপ্রতি ৩ মণ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। সরকারের কাছ থেকে সহায়তা পেলে কিছুটা সুরাহা হতে পারে বলে আশা করছে।
এছাড়া, ঘোড়াই পাড়ার কৃষক মেহেরুল শেখ জানান, অসময়ে দু’দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় তাদের ধান জমিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। ফলে ধান পচে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তিনি সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন যেন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে কৃষকরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পান।
কৌশিক অধিকারী