কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয় ধনত্রয়োদশী৷ এই তিথি অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়৷ এ বছর ২৯ এবং ৩০ অক্টোবর, মঙ্গলবার-বুধবার পালিত হবে এই পুণ্যতিথি৷ এ বছর ধনতেরস পালিত হবে ২৯ এবং ৩০ অক্টোবর। ২৯ অক্টোবর সকাল ১০.৩১ মিনিটে শুরু হবে ত্রয়োদশী তিথি। থাকবে পরের দিন ৩০ অক্টোবর দুপুর ১.১৫ মিনিট পর্যন্ত।
অনেকেই মনে করেন এই তিথিতে সোনারুপোর গয়না বা দামি ধাতু কেনা মঙ্গলজনক৷ তার জন্য অর্থব্যয়েও দ্বিধা করেন না৷ কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না স্বল্প খরচের জিনিসেও মা লক্ষ্মীকে আবাহন করা যায় এই পুণ্যদিনে৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ কল্কি রাম৷
ধনতেরসে কিনুন ৫ টি তাজা পানপাতা৷ অনেক পরিবারে এই পাঁচটি পানপাতাকে ক্ষিতি, অপ, মরুৎ, ব্যোম, তেজ-এই পাঁচ মূল উপকরণের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷ সনাতনী মতে এই শুভ দিনে পাঁচটি পানপাতা কিনে বাড়িতে আনলে পুণ্য অর্জনের পথ সুগম হয়৷
খীল বাতাশী হল এক রকমের মুড়ি, যাতে মিষ্টি প্রলেপ দেওয়া থাকে৷ দশকর্মার দোকানে পুজোর সামগ্রীর মধ্যে এই প্রসাদ পেয়ে যাবে৷ ধনতেরসে এই উপকরণ বাড়িতে এনে লক্ষ্মী এবং বিষ্ণুর পুজোয় নিবেদন করুন৷ সৌভাগ্য বর্ষিত হবে জীবনে৷ বিকল্পে কিনতে পারেন সাদা বাতাসাও।
মা লক্ষ্মী এবং গণেশের মূর্তি এদিন কিনে আনাও অত্যন্ত মঙ্গলজনক৷ মনে করা হয় এর ফলে সংসারে সম্পদ ও অর্থের যোগান স্থায়ী হয়৷ জীবনে সিদ্ধিলাভের পথ হয় বাধা ও বিঘ্নহীন৷ আর্থিক স্থায়িত্ব, জ্ঞান ও মসৃণতা আসে জীবনে৷
এই তিথিতে কিনুন মা লক্ষ্মীর পদচিহ্ন৷ স্টিকার হিসেবেও সেগুলি কিনতে পাওয়া যায়৷ যেখানে ঠাকুরের সিংহাসন, যে আলমারিতে টাকা পয়সা রাখেন, সেখানে মা লক্ষ্মীর চরণচিহ্ন দিন৷ সংসারে শ্রী সম্পদের অভাব হবে না৷
এই তিথিতে ঝাড়ু বা ঝাঁটা কেনাও শুভ বলে মনে করা হয়৷ অনেক বাড়িতে এই তিথিতে নতুন ঝাঁটা কিনে বদলে ফেলা হয় পুরনো ঝাঁটা৷ মনে করা হয় এর ফলে সংসার থেকে সব নেগেটিভিটি দূর হয়৷
নুন হল পবিত্রতা ও বিশুদ্ধতার প্রতীক৷ ধনতেরসের দিন নুন কিনে আনা খুবই পুণ্যের বলে মনে করা হয়৷ অনেক পরিবারে মূল প্রবেশপথে এবং ঘরের কোণায় নুন ছড়িয়ে দেওয়া হয় এই তিথিতে৷ যাতে অশুভ শক্তি দূর হয়ে শুভ শক্তি সঞ্চারিত হয়৷
Post navigation
Just another WordPress site