হায়দরাবাদ: ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে মারা গিয়েছিলেন হায়দরাবাদে৷ তার প্রতিবন্ধী বাবা-মা জানতেই পারলেন না যে ছেলে আর নেই৷ সে বেঁচে আছে ভেবেই চারদিন থাকলেন মৃতদেহের সঙ্গে। প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে ছেলেটির দেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের ব্লাইন্ডস কলোনিতে৷ সেখানে একটি বাড়ির ভেতরে ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার বৃদ্ধ বাবা-মা, দুজনেরই বয়স ৬০-এর উপরে, অর্ধ-সচেতন অবস্থায় তারা লাশের পাশে পড়েছিলেন বলে জানানো হয়েছে পুলিশে তরফে।
আরও পড়ুন: ফিল্ড ট্রিপে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে মদ্য পান শিক্ষকদের, ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভ প্রকাশ অভিভাবকদের
প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, প্রায় চার থেকে পাঁচ দিন আগে ওই ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে মারা গিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অন্ধ বাবা-মা জানতেন না যে তাদের ছোট ছেলে মারা গেছে এবং তারা তাকে খাবার ও জলের জন্য ফোন করে যাচ্ছিলেন বারবার৷ কিন্তু তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি৷ নাগোল স্টেশন হাউস অফিসার এ সূর্য নায়ক বলছিলেন ঘটনাটি।
বাড়িটিতে পুলিশ পৌঁছানোর পর মৃতের বাবা-মাকে বহু ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া পাননি৷ তখন তাদের মনে হয়েছে, তাদের কানে আওয়াজ হয়তো পৌঁচাচ্ছে না৷ এরপর দরজা ভেঙে তারা বাড়ির ভিতরে ঢুকতে বাধ্য হয়৷ সেখানে গিয়ে অন্ধ দম্পতিকে দেখতে পাওয়া যায়৷ তারা লাশের সঙ্গে ছিলেন এক ঘরে৷
আরও পড়ুন: মাংসের দোকানের ছেলের সঙ্গে প্রেম, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী প্রেগন্যান্ট, তারপর…
পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের খাবার ও জল দেওয়া হয়। দম্পতির কাছ থেকে জানতে পারা যায় যে, তাদের দুই ছেলে৷ বড় ছেলে, সে অন্য শহরে থাকে৷ তাকেও দুঃসংবাদটি দেওয়া হয়৷ ঘর থেকে পচা গন্ধ আসছে দেখে প্রথমে অবশ্য আশপাশের বাড়ির লোকেরাই পুলিশকে প্রথম খবর দেয়৷ তারা সঠিক সময় না এসে পৌঁছালে এই বৃদ্ধ দম্পতিরও খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারত৷ কারণ, বেশ অনেকক্ষণ খাবারও বা জল কিছুই জোটেনি তাদের৷
লোকটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য একটি রাষ্ট্রীয় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।