রামনগর: উত্তরাখণ্ডের রামনগরে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক এইচআইভি সংক্রমিত কিশোরী ১৭ মাসে প্রায় ২০ যুবককে এইডসের এর পথে চালিত করেছে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে যাওয়া যুবকদের পরীক্ষা করা হলে তারা এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া যায়। ঘটনাটি রামনগরের গুলারঘট্টি এলাকায় ঘটেছে। এইচআইভি পজিটিভ যুবকদের কাউন্সেলিংয়ের সময় একটি কিশোরীর নাম বারবার সামনে আসে। জানা যায়, কিশোরীর স্ন্যাকের আসক্তি রয়েছে, এবং টাকার জন্য তিনি যুবকদের সঙ্গে শারীরীক সম্পর্ক করতেন।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স দেখে সম্পর্ক বাছেন মহিলা! বললেন ‘শুধু ধনী ছেলেদের সঙ্গে ডেট করি’
রিপোর্ট অনুযায়ী, নৈনিতাল জেলায় গত কয়েক বছরে এইচআইভি-এর কেস বেড়ে গিয়েছে৷ যার মধ্যে রামনগরে সবচেয়ে বেশি এইচআইভি কেস দেখা গিয়েছে। এখানে গত ১৭ মাসে ৪৫ জন এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। এপ্রিল ২০২৩ থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত এক বছরে ২৬ জন নতুন রোগী মিলেছে, এরপর এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ জন এইচআইভি সংক্রমিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ পুরুষ ও ১৫ নারী রয়েছেন। এই ৩০ পুরুষের ২০ যুবকই এই কিশোরীর থেকে সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর।
কীভাবে সংক্রমিত হলেন? রামনগরের রামদত্ত জোশী সংযুক্ত চিকিৎসা কেন্দ্রে কাউন্সেলর মনীষা খুল্বে সংক্রমিত যুবকদের সঙ্গে কথা বলেন৷ তখনই জানা যায় যে, রামনগরের গুলারঘট্টি এলাকার একটি দরিদ্র মুসলিম পরিবারের ১৭ বছরের কিশোরীর কথা৷ তার স্ন্যাকের প্রতি আসক্তি রয়েছে। স্ন্যাক কেনার জন্য তাকে যখন টাকার প্রয়োজন হয়, তখন সে যুবকদের ডেকে নিয়ে আসত। এই যুবকেরা কিশোরী যে যৌণ রোগে আক্রান্ত তা না জেনেই বারবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এইভাবেই শরীর থেকে শরীরে ছড়িয়ে যায় মারণ রোগটি৷
আরও পড়ুন: প্রবল কাজের চাপ, কর্মস্থলে ছুটি বাতিল, ‘বাচ্চা’ হারালেন মহিলা! বিস্তারিত জানুন
১৫ জন নারীও এই রোগের শিকার হওয়ায় কাউন্সেলর বুঝতে পারেন, সংক্রমিত যুবকদের মধ্যে কয়েকজন বিবাহিতও ছিল। তাদের স্ত্রীদেরও এইচআইভি সংক্রমিত হয়েছেন।
এইচআইভি এবং এইডস-এর মধ্যে পার্থক্য – হিউম্যান ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস (HIV) হল সেই ভাইরাস যা অ্যাকুইয়ার্ড ইমিউনো ডিফিশিয়েন্সি সিন্ড্রোম (AIDS) এর কারণ। এইচআইভি পজিটিভ হওয়া মানে এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়া। তবে এর প্রভাবে পড়া মানে এই নয় যে, ব্যক্তির এইডসে আক্রান্ত হয়েছে। যথাসময়ে চিকিৎসা করা গেলে এটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।