বেজিং: এরকমও হয়! হ্যাঁ। শিশুরা অনেক সময় এমন সব কাণ্ড করে বসে, যা সহজে বিশ্বাস করা যায় না। মনে হয়, নিশ্চয় কেউ শিখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়। নিজের খেয়ালেই কাজটা করেছে। একদম পরিণত মানুষের মতো।
সম্প্রতি চিনের একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। স্কুলের এক খুদে পড়ুয়ার কাণ্ড। যা দেখে থ হয়ে গিয়েছেন তাঁর শিক্ষিকাও। কথায় বলে, মা আর সন্তানের মধ্যে নাড়ির টান। খুদে পড়ুয়ার কাণ্ড দেখে সেই কথাটাই আরও একবার সত্যি প্রমাণিত হল।
আরও পড়ুন– রাশিফল ১ নভেম্বর: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
চিনের স্কুলে পড়ুয়াদের দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। ভারতে যেমন মিড ডে মিল। অনেকটা সে রকম। তা ওই শিশুটিকেও দুপুরের খাবার দেওয়া হত। সে প্রতিদিন খাবার নিত। কিন্তু খেত না। বন্ধুদের খাওয়াদাওয়ার পর যা পড়ে থাকত, সেটা খেত। কিন্তু নিজের খাবারটা কী করত?
বন্ধুদের উচ্ছিষ্ট খেয়েই পেট ভরাত খুদে পড়ুয়া: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটা চিনের হাইনান প্রদেশের ঘটনা। সরকারি স্কুলের পড়ুয়া ১২ বছর বয়সী ওই শিশু প্রতিদিন স্কুলে যায়। কামাই করে না। নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। সবার সঙ্গে সেও খাবার নেয়। কিন্তু খায় না। বন্ধুদের পাতে যে উচ্ছিষ্ট পড়ে থাকত, তাই খেয়েই পেট ভরাত।
আরও পড়ুন– রেলস্টেশনে রমরমিয়ে গাঁজার ব্যবসা ! গ্রেফতার GRP-এর ৪ কনস্টেবল, বিলাসপুরে শোরগোল
দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই ঘটনা। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অবাক। তাঁদের মনে একটাই প্রশ্ন, খাবার যাচ্ছে কোথায়? এই রহস্যের সমাধান করেছেন এক শিক্ষিকা। পড়ুয়ার ভিডিও করেছেন তিনি। যা দেখে চোখের জল বাঁধ মানছে না অনেকেরই।
আসল ঘটনা দেখে থ হয়ে গেলেন শিক্ষক: শিশুর নাম লি শিবো। দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পর ক্লাস শুরু হবে। এদিকে লি-এর পাত্তা নেই। খোঁজ খোঁজ। কোথায় গেল লি? সব ক্লাসে খোঁজা হল। কোথাও নেই। শেষে লি-কে খুঁজতে খুঁজতে স্কুল গেটের সামনে চলে আসেন তাঁর শিক্ষক। সেখানে তখন এক অদ্ভুত দৃশ্য চলছে।
স্কুল গেটে বসে রয়েছেন লি শিবোর মা। তাঁকে দেখে একনজরেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। লি নিজের খাবার পরম যত্নে তুলে দিচ্ছে মায়ের মুখে। মা খুব খুশি। তিনি তৃপ্তি করে খাচ্ছেন। খাওয়াতে খাওয়াতে মাকে আদর করছে লি। কখনও মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। কখনও কপালের সামনে থেকে সরিয়ে দিচ্ছে চুল।
এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে যান লি-এর শিক্ষক। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গোটা ঘটনার ভিডিও করেন। এদিকে শিক্ষককে দেখে ভয় পেয়ে যায় লি। একছুটে পালাতে যায়। তাঁকে থামান শিক্ষক। তারপর লি-এর কাজের প্রশংসা করেন। পরে এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। এখন সেই ভিডিওই ভাইরাল।