শান্তিপুরের মহিষখাগি কালী মাতার পুজো

Kali Puja 2024: প্রায় ৪০০ কেজি ভোগপ্রসাদ রান্না করা হয় শান্তিপুরের এই প্রাচীন কালীপুজোয়

মৈনাক দেবনাথ, শান্তিপুর: নদিয়ার শান্তিপুর শহরের প্রায় ৩৫০ বছরের পুরোনো মহিশখাগী কালীমাতার পুজো আগে চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পরিচালনায় হলেও বিগত কর্মসূত্রে দূরে থাকার কারণে তাঁরা  ১৩ বছর আগে পুজোর দায়িত্বভার তুলে দিয়েছিলেন পাড়ার বারোয়ারির হাতে । তবে কলকাতা হোক কিংবা আমেরিকা-কালীপুজোয় পরিবারের মেয়েরা আজও উপস্থিত হন শান্তিপুরে।

পারিবারিক ভাবে দায়িত্বে থাকা কলকাতা নিবাসী শিপ্রা মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর মেয়ে আমেরিকা নিবাসী পম্পা ভট্টাচার্য এবারেও এসেছেন মায়ের পুজোয়। বারোয়ারি সম্পাদক কৃষ্ণ সেন সকলকে সঙ্গে নিয়ে এবারেও মহাসাড়ম্বরে এই পুজোর আয়োজন করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন প্রায় ৪০০ কেজি ভোগপ্রসাদ রন্ধন হয়ে থাকে যা ভক্তদের বিতরণ করা হয় মাটির সরা এবং হাঁড়িতে। সমগ্র শান্তিপুরের বিভিন্ন প্রান্তের এমনকি ভিন জেলা রাজ্য থেকেও শান্তিপুরের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষজন এই উপলক্ষে এসে থাকেন এবং পেয়ে থাকেন প্রসাদ।

আরও পড়ুন : খিচুড়ি, পোলাও, ভাজা, পোড়া শোল মাছ, মাংস…কী কী থাকে তারাপীঠে কালীপুজোর অন্নভোগে? জানুন

শোনা যায় চট্টোপাধ্যায় বংশের এই পুজোর মন্দির নির্মাণ করেন স্বয়ং মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। তবে বর্তমানে স্থানীয় বারোয়ারির তত্ত্বাবধানেই হয়ে আসছে এই জাগ্রত কালী মায়ের পুজো। প্রথমদিকে মন্দিরটা ছিল একটি কুঁড়েঘরের আদলে। পুজোটি আগে ছিল চট্টোপাধ্যায় বংশের। পরে মায়ের মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ হয় এলাকাবাসীর তৎপরতায়। পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর কাঁধে করে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ নিয়ে যান মাকে নিরঞ্জনের জন্যে। যা শান্তিপুরের অন্যতম আবেগ।