নয়ডা: পেশায় শ্রমিক। সাতসকালে কাজে বেরতে হয়। সেদিনও সকালেই কাজে বেরিয়েছিলেন ২৭ বছরের ওই তরুণী। রাস্তার এক ধার দিয়ে হাঁটছিলেন। আচমকাই খ্যাপা ষাঁড়ের মতো তীব্র গতিতে ছুটে আসে একটা এসইউভি (SUV)। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধাক্কা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তরুণীর।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে বিসরাখের সিআরসি সোসাইটির কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম শিল্পী। উত্তর প্রদেশের হরদোই জেলার জাটপুরার বাসিন্দা। পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। সকালে কাজে যাচ্ছিলেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে।
बिसरख में रईसज़ादे ने मज़दूर की दिवाली काली कर दी।दो बच्चों ने अपनी माँ खो दी।पुलिस ने गाड़ी ज़ब्त की लेकिन रात तक SHOका कहना था कि गाड़ी मालिक का पता नहीं।आरोपी तो फ़रार है ही।सुना है कोई प्रभावशाली परिवार है।
ग्रेनो वेस्ट में एक कार ने महिला को मारी थी टक्कर। @noidapolice pic.twitter.com/ZEkUy2Ky0i
— Manish Chaurasiya (@MANNNARAYAN) October 31, 2024
এসইউভি চালাচ্ছিলেন ১৭ বছরের এক তরুণ। ঘটনার পরই পালিয়ে যান তিনি। শুক্রবার রাতে ওই কিশোরকে আটক করে পুলিশ। দুর্ঘটনার মুহূর্ত ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তরুণীকে ধাক্কা মেরে কিছুদূর টেনে নিয়ে যায় এসইউভি। তারপর একটি বিদ্যুতের পোলে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি।
আরও পড়ুন- কোন ফুল সকালে সাদা, বিকেলে গোলাপি আর সন্ধ্যায় লাল? বলতে পারবেন না ৯৯ শতাংশই…! চ্যালেঞ্জ!
জানা গিয়েছে, সকালে এসইউভি নিয়ে বেরিয়ছিলেন ওই কিশোর। কিন্তু আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারান। তারপরই ধাক্কা মারেন তরুণীকে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার মাঝখান দিয়ে তীব্র গতিতে ছুটছে একটা এসইউভি। কোনওরকমে একটি ট্রাক্টরকে পাশ কাটান। তারপরই চাকা স্কিড করতে শুরু করে। শেষে ধাক্কা মারেন রাস্তার ধার দিয়ে হাঁটতে থাকা তরুণীকে।
রাস্তায় ছিটকে পড়েন তরুণী। তখনও গাড়ি থামাতে পারেননি ওই কিশোর। ওই অবস্থাতেই তাঁকে টানতে টানতে কিছুদূর নিয়ে যান। তারপর ধাক্কা মারেন বিদ্যুতের খুঁটিতে। রাস্তাতেই পড়েছিল শিল্পীর নিথর দেহ। পরে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নাবালককে কোন আক্কেলে এসইউভি চালাতে দিলেন তাঁর অভিভাবকরা, এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। একজন লিখেছেন, “পিতামাতা আর সন্তান, সবাইকেই ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।”
এক ইউজার আবার পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, “কালো কাচে ঢাকা গাড়ি। কোনও নম্বর প্লেট নেই। তীব্রগতিতে দিনরাত রাস্তায় ঘুরছে। পুলিশ তখনও ঘুমিয়ে থাকে।” আর এক ইউজার লিখেছেন, “ইএমআই-এর ফ্ল্যাট, ইএমআই-এর গাড়ি, অপদার্থ সন্তান।”
তীব্র গতিতে গাড়ি চালানোই এখন ট্রেন্ড। এই ট্রেন্ডকেও দুষেছেন অনেকেই। একজন লিখেছেন, “ছেলেটি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেল। আর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল তরুণীর। গাড়ি মোটেই ৪০ কিমিতে যাচ্ছিল না। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ১২০ কিমির আশপাশে স্পিড ছিল।”
আরেক ইউজার লিখেছেন, “কিছুই হবে না…।” আর একজনের বক্তব্য, “যদি পিতামাতা মনে করে, গাড়ি চালানোর মতো বয়স হয়েছে। তাহলে খুনের জন্যও শাস্তি পাওয়া উচিত। নাবালক বলে ছাড় দেওয়া চলবে না।”