হাড্ডাহাড্ডি খেলা। খেল টাই। আইপিএল–এর দ্বিতীয় ম্যাচেই সুপার ওভারে গড়াল খেলা।
IPL-এর দ্বিতীয় ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৮ রানের টার্গেট দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস৷ যদিও শেষ তিন ওভার ছাড়া এ দিন দিল্লির ব্যাটিং পুরোপুরি ব্যর্থ হয়৷ দিল্লি ইনিংসের শেষ দিকে দলকে লড়াইয়ে ফেরানন মার্কাস স্টয়নিস৷ মাত্র ২০ বলে তাঁর ৫২ রানের ইনিংসের সৌজন্যে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো স্কোর রাখে দিল্লি। এ দিন টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান পঞ্জাব অধিনায়ক কে এল রাহুল৷ দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নেমে এ দিন পুরোপুরি ব্যর্থ পৃথ্বী শাহ এবং শিখর ধাওয়ান জুটি৷ দু’ জনের ভুল বোঝাবুঝিতে শুরুতেই রান আউট হন ধাওয়ান৷ দলের ৯ রানের মাথায় শামির বলে আউট হয়ে ফেরেন পৃথ্বী৷ শামির বলেই দ্রুত ফিরে যান তিন নম্বরে নামা হেটমায়ারও৷
এর পর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং ঋষভ পন্থ জুটি গড়ে দিল্লির ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু যথারীতি সেট হয়ে গিয়েও উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন ঋষভ৷ ২৯ বলে ৩১ রান করে নবাগত লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোইয়ের বলে ফিরে যান তিনি৷ এর পর পরই দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে (৩৯) ফিরিয়ে দেন শামি। পর পর উইকেট হারিয়ে কোনও সময়ই প্রত্যাশিত রানের গতি তুলতে পারেনি দিল্লি৷ ১৭ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছয় তারা৷ শেষ দিকে অবশ্য দিল্লির হয়ে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস৷ পঞ্জাবের হয়ে এ দিন বল হাতে সব থেকে সফল মহম্মদ শামি৷ চার ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি৷ তাঁর আগুনে পেসের সামনে আত্মসমর্পণ করে দিল্লির ব্যাটিং৷
Need more of this, @MStoinis ?#DCvKXIP #Dream11IPL #IPL2020 #YehHaiNayiDilli pic.twitter.com/ebYTiQtEH7
— Delhi Capitals (Tweeting from ??) (@DelhiCapitals) September 20, 2020
পঞ্জাবের ওপেনিং ও মিডল ওর্ডার চোখ ধাঁধানো। সবাই ভেবেছিলেন খুব সহজে রান তুলে নিতে পারবে দল। কিন্তু শুরুটা ভাল করেও, ৪.৩ ওভারের মাথায় ৩০ রানে ফেরেন কে এল রাহুল। তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে উইকেট পড়তে থাকে পঞ্জাবের। অশ্বীনের একটা ওভার নাড়িয়ে দেয় পঞ্জাবকে। তিনি এক ওভারে তুলে নেন করুন নায়ার ও নিকোলাস পুরানের উইকেট। কিন্তু হাতে চোট পেয়ে এক ওভার করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। অশ্বিন যদি মাঠে থাকতেন, তাহলে বিপদ আরও বাড়ত দিল্লির। যাই হোক, তারপর নিজের উইকেট ছুড়ে দিয়ে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তুলে মারতে গিয়ে শানহাওয়াজ খানও ফেরেন। তবে একদিকে হাল ধরে রাখেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল। ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০ ওভারের মাথায় ধুঁকতে থাকতে দিল্লি। তারপর হাল ধরেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। অন্যপাশে ময়ঙ্ক আগারওয়াল। কিন্তু রাবাডার বলে ফিরে যান কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। খেলা মোটামুটি তখনই ঘুরে গিয়েছিল। কিন্তু খেলা জমিয়ে দেন ময়ঙ্ক। মোহিত শর্মার ওভারে পরপর ছয় মেরে পঞ্জাবের আশা হঠাৎ বাড়িয়ে দেন ময়ঙ্ক। রাবাডার ওভারে ক্যাচ ফেলেন শ্রেয়শ আইয়ার। অধিনায়কের হাত থেকে তখনই বোধহয় ফস্কে যায় দিল্লির জয়ের আশা। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৫ রান। ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় পঞ্জাব। রাজপুত্রের মতো ম্যাচ বের করে আনেন ময়ঙ্ক। কিন্তু শেষে সব ওলট পালট হয়ে খেলা হয়ে গেল টাই। গড়াল সুপার ওভারে।