কোহলিকে হারিয়ে ট্যুইট পোলে জয়ী ইমরান, পাকিস্তান মাতল সেলিব্রেশনে!

#ইসলামাবাদ: আইসিসি তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে গত দশকের সেরা একাদশ বেছে নিয়েছিল কিছু দিন আগে৷ কিন্তু কোনও টিমেই জায়গা পাননি পাকিস্তানের একজন ক্রিকেটার৷ সেই তালিকা দেখে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে সমর্থক ও মিডিয়া চূড়ান্ত হতাশ হয়েছিল৷ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল আইসিসি-র ওপর৷

অবশেষে পাক ফ্যানেরা সেলিব্রেশন করার কারণ খুঁজে পেলেন৷ সেই দেশের প্রাক্তন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আইসিসি-র ট্যুইট পোলে জয়ী হয়েছেন৷ তিনি হারিয়ে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে৷ এই আনন্দে পাকিস্তান সেলিব্রেশনে মাতল ট্যুইটারে৷

‘বেস্ট পেসসেটার’-এর ভোট করেছিল ক্রিকেটের সর্বচ্চো নিয়ামক সংস্থা৷ ইমরানের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন কোহলি, দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডিভিলিয়ার্স ও অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিং৷ যে ক্রিকেটারদের অধিনায়ক হওয়ার পরেই গড় ভাল হতে শুরু করেছিল, তাঁদেরকেই এই লড়াইয়ে রেখেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা৷

গত ২৪ ঘণ্টার ভোটের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ফলাফল ঘোষণা করেছে আইসিসি৷ কোহলির থেকে ১ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে জিতে গিয়েছেন ইমরান৷ কোহলি ৪৬ শতাংশ ভোট পান, ইমরান পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ ভোট৷

আইসিসি গত দশকের সেরা একাদশের নেতৃত্ব ভারতের দুই অধিনায়কের কাঁধেই তুলে দিয়েছিল৷ সীমিত ওভারের সংস্করণে এমএস ধোনি ও টেস্টে কোহলি ক্যাপ্টেন হন৷ যা দেখে বেজায় চটেছিলেন শোয়েব আখতার৷ প্রাক্তন পাক স্পিডস্টারের মতে এই দল আইপিএলের, বিশ্বের নয়৷

আখতার তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেছিলেন, “আইসিসি পাকিস্তানের একজন ক্রিকেটারকেও দলে নেয়নি৷ আমাদের দরকার নেই ওদের এক দশকের দলের৷ আইসিসি আইপিএলের টিম বেছে নিয়েছে৷ বিশ্ব ক্রিকেট দল নয় এটা৷ আমার মনে হয় আইসিসি ভুলে গিয়েছে পাকিস্তান তাদেরই সদস্য৷ যারা টি-২০ ক্রিকেট খেলে৷ বাবর আজমকে না নিয়েই আইসিসি টি-২০ দল বেছে নিয়েছে! অথচ এই ফর্ম্যাটে সে এখন বিশ্বের এক নম্বর৷

আখতার আরও বলেছিলেন, “আইসিসি শুধু টাকা, স্পনরসিপ আর আর টিভি সত্ত্ব বোঝে৷ ওরা ওয়ানডে ক্রিকেটে দু’টো নতুন বল আর তিনটে পাওয়ারপ্লে নিয়ে আসল৷ কোথায় ডেনিস লিলি, জেফ থমসনের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের তাবড় পাঁচ বোলার? ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, বিশ্বের দ্রুততম বোলার ও লেগ-স্পিনারদের ভুলে গেল? তাঁরা দূরে সরে গিয়েছে কারণ আইসিসি বাণিজ্যকরণ ও বস্তুবাদের জন্য দশটা লিগকে ঢুকিয়ে আরও বেশি করে রাজস্ব আদায় করবে৷”

আখতার শেষে নিজের প্রসঙ্গও টেনে এনে আইসিসি-কে বিঁধেছিলেন৷ তাঁর সংযোজন ছিল, “আইসিসি তিন বছরে শুধু দু’টো বিশ্বকাপ আর লিগ দেখল৷ সাতের দশকের ক্রিকেট আর আজকের ক্রিকেটে অনেক ফারাক আছে৷ যদি সচিন বনাম শোয়েব নাই থাকে, তাহলে আর ক্রিকেট দেখার আর মানে কী! টি-২০ ক্রিকেটে বাবর আজমের চেয়ে বড় প্লেয়ার কেউ নেই৷ ও পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার৷ ওর ব্যাটিং গড় বলে দিচ্ছে ওর পাকিস্তানের জন্য কী অবদান রয়েছে৷ ওর সঙ্গে শুধু বিরাট কোহলির তুলনা চলে৷ আমার ভিডিও দেখার পর আইসিসি বুঝবে যে, ওরা আইপিএলের দল করেছে৷”