Tag Archives: Imran Khan

Imran Khan: রাজনৈতিক জীবন শেষ! আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না ইমরান খান…কফিনে শেষ পেরেক পুঁতছে পাক সরকার

পাকিস্তান: বর্তমানে কারাবন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ তবে ইমরানের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে আরও৷ পড়শি রাষ্ট্র থেকে যা খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আর কোনওদিনই হয়ত প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এককালের এই দাপুটে ক্রিকেটার৷ শুধু তাই নয়, তাঁর রাজনৈতিক জীবনও  কার্যত শেষ হওয়ার পথে৷

বর্তমানে দুই মামলায় ৭১ বছর বয়সি ইমরান খানকে ইতিমধ্যেই জেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন শাহনওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ শরিফ৷ শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি তাঁর সরকার ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনেছে৷

সেই অভিযোগকে সামনে রেখে খুব শীঘ্রই এই দলকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে চলেছে শেহবাজ শরিফের সরকার৷ শরিফ সরকারের এক মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেছেন, ইমরান খান আইএমএফের সঙ্গে পাক সরকারের চুক্তি ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছেন। এরপরেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বর্তমান পাক সরকার।

আরও পড়ুন: আবারও কি সায়ন্তিকা-রেয়াতের মতো ঝঞ্ঝাট? নব নির্বাচিত চার বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতা চায় না বিধানসভা

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেছেন, পাকিস্তান সরকার তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ইমরানের দল দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।

তারার জানাচ্ছেন, পাক সরকারের কাছে তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে৷ সেই সমস্ত প্রমাণকে হাতিয়ার করেই পাক সরকার তেহরিক-ই-ইনসাফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আসলে ইমরান খানের রাজনৈতিক জীবন শেষ করার প্রস্তুতি, যাতে তিনি তাঁর জনপ্রিয়তার সুযোগ আর না নিতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ভোট বাড়াল বাম-কংগ্রেস! কিছুটা হলেও হল মুখরক্ষা, কী বলছে পরিসংখ্যান?

পাক সরকার দাবি করেছে, ইমরান খানের দলের নেতারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাথে পাকিস্তানের চুক্তি ব্যর্থ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। সেই কারণেই আইএমএফের সহায়তা পায়নি পাকিস্তান। তারার বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টাকে দেশবিরোধী কার্যকলাপ বলে মনে করছি এবং সেই কারণেই আমরা ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’

ইমরান খানকে গত ৯ মে লাহৌরে সংঘটিত হিংসার মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তবে নিরাপত্তার কারণে তাঁকে বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রাখা হয়েছে। তবে তাঁকে লাহৌর জেলে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

প্রায় বিক্রির মুখে পাকিস্তান ! শীঘ্রই শ্রীলঙ্কার অবস্থা হবে বলছেন ইমরান খান

#করাচি: ইমরান খান লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানে গদি ফিরে পাওয়ার। তিনি ক্রিকেট মাঠের মতোই রাজনীতির লড়াইয়ে হার মানেন না সহজে এটা সবাই দেখেছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মনে করেন, দেশটিতে ২০২৩ সালের এপ্রিলে সরকার আগাম নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। তিনি আরো বলেছেন , নতুন সামরিক প্রধানের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই।

বিবিসি উর্দুর সংবাদদাতা উসমান জাহিদ, ইমরান খানের একটি বিশেষ সাক্ষাত্কার নেয়ার সময় তার সামনে প্রশ্ন রাখেন যে, তিনি দেশটির অর্থনৈতিক ও সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে সরকারের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত কি না? ইমরান খান বলেন, এই সরকার কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। বরং তারা নিলামের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সংসদ সদস্যদের কেনা-বেচার মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি ২০-২৫ কোটি রূপি দিয়ে এমপিদের ভোট ক্রয় করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান। এক্ষেত্রে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া, শেহবাজ শরিফকে সমর্থন জুগিয়েছেন বলে উল্লেখ করে ইমরান খান।

বাজওয়ার বিরুদ্ধে ১১০০ বিলিয়ন রূপি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে – এ কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের অর্থনীতি ডুবে গেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি চোরাবালিতে আটকা পড়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। অন্যথায় পাকিস্তানের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।

আপনি আগস্টের কথা বলছেন। কিন্তু আমি এখনকার কথা বলছি। আমাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। রিজার্ভ আছে মাত্র চার বিলিয়ন ডলার। বন্দরে পণ্য পড়ে আছে কিন্তু খালাস করা যাচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, বেকারত্ব বাড়ছে, কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বলেন ইমরান খান। শাহবাজ শরিফ দুদিন আগেই বলেছিলেন ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ করে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছে পাকিস্তান। এটা বলা উচিত হয়নি মনে করেন ইমরান।

কোহলিকে হারিয়ে ট্যুইট পোলে জয়ী ইমরান, পাকিস্তান মাতল সেলিব্রেশনে!

#ইসলামাবাদ: আইসিসি তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে গত দশকের সেরা একাদশ বেছে নিয়েছিল কিছু দিন আগে৷ কিন্তু কোনও টিমেই জায়গা পাননি পাকিস্তানের একজন ক্রিকেটার৷ সেই তালিকা দেখে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে সমর্থক ও মিডিয়া চূড়ান্ত হতাশ হয়েছিল৷ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল আইসিসি-র ওপর৷

অবশেষে পাক ফ্যানেরা সেলিব্রেশন করার কারণ খুঁজে পেলেন৷ সেই দেশের প্রাক্তন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আইসিসি-র ট্যুইট পোলে জয়ী হয়েছেন৷ তিনি হারিয়ে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে৷ এই আনন্দে পাকিস্তান সেলিব্রেশনে মাতল ট্যুইটারে৷

‘বেস্ট পেসসেটার’-এর ভোট করেছিল ক্রিকেটের সর্বচ্চো নিয়ামক সংস্থা৷ ইমরানের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন কোহলি, দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডিভিলিয়ার্স ও অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিং৷ যে ক্রিকেটারদের অধিনায়ক হওয়ার পরেই গড় ভাল হতে শুরু করেছিল, তাঁদেরকেই এই লড়াইয়ে রেখেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা৷

গত ২৪ ঘণ্টার ভোটের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ফলাফল ঘোষণা করেছে আইসিসি৷ কোহলির থেকে ১ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে জিতে গিয়েছেন ইমরান৷ কোহলি ৪৬ শতাংশ ভোট পান, ইমরান পেয়েছেন ৪৭ শতাংশ ভোট৷

আইসিসি গত দশকের সেরা একাদশের নেতৃত্ব ভারতের দুই অধিনায়কের কাঁধেই তুলে দিয়েছিল৷ সীমিত ওভারের সংস্করণে এমএস ধোনি ও টেস্টে কোহলি ক্যাপ্টেন হন৷ যা দেখে বেজায় চটেছিলেন শোয়েব আখতার৷ প্রাক্তন পাক স্পিডস্টারের মতে এই দল আইপিএলের, বিশ্বের নয়৷

আখতার তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেছিলেন, “আইসিসি পাকিস্তানের একজন ক্রিকেটারকেও দলে নেয়নি৷ আমাদের দরকার নেই ওদের এক দশকের দলের৷ আইসিসি আইপিএলের টিম বেছে নিয়েছে৷ বিশ্ব ক্রিকেট দল নয় এটা৷ আমার মনে হয় আইসিসি ভুলে গিয়েছে পাকিস্তান তাদেরই সদস্য৷ যারা টি-২০ ক্রিকেট খেলে৷ বাবর আজমকে না নিয়েই আইসিসি টি-২০ দল বেছে নিয়েছে! অথচ এই ফর্ম্যাটে সে এখন বিশ্বের এক নম্বর৷

আখতার আরও বলেছিলেন, “আইসিসি শুধু টাকা, স্পনরসিপ আর আর টিভি সত্ত্ব বোঝে৷ ওরা ওয়ানডে ক্রিকেটে দু’টো নতুন বল আর তিনটে পাওয়ারপ্লে নিয়ে আসল৷ কোথায় ডেনিস লিলি, জেফ থমসনের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের তাবড় পাঁচ বোলার? ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, বিশ্বের দ্রুততম বোলার ও লেগ-স্পিনারদের ভুলে গেল? তাঁরা দূরে সরে গিয়েছে কারণ আইসিসি বাণিজ্যকরণ ও বস্তুবাদের জন্য দশটা লিগকে ঢুকিয়ে আরও বেশি করে রাজস্ব আদায় করবে৷”

আখতার শেষে নিজের প্রসঙ্গও টেনে এনে আইসিসি-কে বিঁধেছিলেন৷ তাঁর সংযোজন ছিল, “আইসিসি তিন বছরে শুধু দু’টো বিশ্বকাপ আর লিগ দেখল৷ সাতের দশকের ক্রিকেট আর আজকের ক্রিকেটে অনেক ফারাক আছে৷ যদি সচিন বনাম শোয়েব নাই থাকে, তাহলে আর ক্রিকেট দেখার আর মানে কী! টি-২০ ক্রিকেটে বাবর আজমের চেয়ে বড় প্লেয়ার কেউ নেই৷ ও পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার৷ ওর ব্যাটিং গড় বলে দিচ্ছে ওর পাকিস্তানের জন্য কী অবদান রয়েছে৷ ওর সঙ্গে শুধু বিরাট কোহলির তুলনা চলে৷ আমার ভিডিও দেখার পর আইসিসি বুঝবে যে, ওরা আইপিএলের দল করেছে৷”