শেষলগ্নে ডেভিড উইলিয়ামসের গোল, তিরির গোল লাইন সেভ, চেন্নাইনকে হারাল এটিকে মোহনবাগান

এটিকে মোহনবাগান               চেন্নাইন -০
১ (উইলিয়ামস)

#গোয়া: অবশেষে জয়। ঘরে এল তিন পয়েন্ট। সাতের আইএসএলে দুর্দান্ত শুরু করেও শেষ কয়েকটি ম্যাচে হঠাৎ ছন্দ হারিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হার, গোয়ার বিরুদ্ধে ড্র। গোল করতে না পারা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ম্যানেজার অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের। অবশেষে বৃহস্পতিবার এল বহুমূল্যবান তিন পয়েন্ট। সৌজন্যে ডেভিড উইলিয়ামস। ষাট মিনিটের কিছু পরে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নেমে বাজিমাত করলেন তিনি। বেঙ্গালুরু ম্যাচের পর গোল ছিল না। গত মরশুমের ধারেকাছেও ছিলেন না ফর্মে। এমনকি তাঁকে ছেড়ে দিতে পারে দল এমন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু উইলিয়ামস প্রমাণ করলেন এই দলে তাঁর প্রয়োজন আছে। আর একজনের কথা বলতেই হবে। তিরি। অতিরিক্ত সময় গোল লাইন সেভ করে দলের জয় নিশ্চিত করলেন তিনি। চেন্নাইন ডিফেন্ডার সিফোভিচ হেড করেছিলেন, অরিন্দম অদ্ভুতভাবে গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। বল গোলে ড্রপ পড়ার মুখে বের করে দিলেন তিরি।

ম্যাচের সেরা ডেভিড উইলিয়ামস। তবে এদিন সবুজ মেরুন জার্সিতে বহুদিন পর চেনা ছন্দে দেখা গেল এডু গার্সিয়াকে। কিন্তু চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন স্প্যানিশ তারকা। চোট কতটা গুরুতর জানা যায়নি। কিন্তু বা পা মাটিতে ফেলতে পারছিলেন না। দলের অন্যতম সেরা প্লে মেকারের চোট চিন্তা বাড়াবে কোচের। এ দিন প্রথম দলে ছিলেন মনবীর সিং এবং জাভি হার্নান্দেজ। চেন্নাইন দলে ছিলেন না থাপা। চোট পেয়ে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন ব্রাজিলীয় ফুটবলার কৃভলারো। ম্যাচের প্রথম থেকে দাপট ছিল সবুজ মেরুনের। জাভির শট সেভ হয়। মনবীর একটা বল নিয়ে বক্সে ঢুকে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ঠিক করে বাড়াতে পারলেন না কৃষ্ণকে। না হলে কিন্তু এগিয়ে যেতে পারত সবুজ মেরুন। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি জাভির দুর্দান্ত একটি ফ্রি কিক বাঁচিয়ে দেন বিপক্ষ গোলরক্ষক। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সাহিলকে তুলে রেজিন, ম্যাক হিউকে তুলে রানে নামার পর সচল হয় মিডফিল্ড।

মনবিরের পরিবর্তে ডেভিড উইলিয়ামস নামার পর চাপ বাড়তে থাকে চেন্নাইন ডিফেন্সে। উইলিয়ামস দ্রুত জায়গা বদল করে ফাঁকি দিতে থাকেন বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। নব্বই মিনিটের মাথায় জাভির মাপা কর্নার থেকে স্পট জাম্প করে গোল করেন উইলিয়ামস। আবার প্রমাণ করলেন গুরুত্বপূর্ণ সময় জ্বলে উঠতে জানেন তিনি। অতীতেও বহু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রয় কৃষ্ণ আটকে গেলেও তিনি গোল করে দলকে জিতিয়েছেন। এ দিনও সমালোচকদের জবাব দিয়ে মোক্ষম সময় আসল কাজটা করে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা। অবশ্য শুভাশীষ বসু মাঠ ছাড়েন হ্যামস্ট্রিং টান অনুভব করায়। পরিবর্ত হিসেবে নেমে খারাপ খেলেননি সুমিত রাথি। এই জয়ের ফলে বারো ম্যাচে চব্বিশ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রইল হাবাস ব্রিগেড। এক ম্যাচ কম খেলে দুই পয়েন্ট বেশি মুম্বইয়ের।