গ্যাসের দামে মাথায় হাত, আত্মনির্ভরতা কী ভাবে আসবে, প্রশ্ন মিমির

#কলকাতা: চার দিনের ব্যবধানে গ্যাসের দাম বেড়েছে মোট ৫০ টাকা। তিন মাসে মূল্যবৃ্দ্ধি হয়েছে ২২৫ টাকা। রান্নার গ্যাসের এমন লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিকেই এবার হাতিয়ার করলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তাঁর প্রশ্ন, গ্যাসের দাম দিতে কি রক্ত বেচতে হবে দেশবাসীকে?

মিমি এদিন ট্যুইটারে লেখেন, “আমার বাড়িতে আজ সকালে গ্যাস দিতে এসেছিল। গ্যাসের দাম শুনেই মূর্ছা যাচ্ছি।” আক্রমণ শানিয়ে মিমি বলেন, “কেয়া হুয়া তেরা বাদা। আত্মনির্ভর কেয়া অ্যায়সে বানেগা ইন্ডিয়া।” অর্থাৎ একদিকে যখন কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার বাংলায় এসে আত্মনির্ভরতার বার্তা দিচ্ছেন, সাংসদ অভিনেত্রী কটাক্ষ করছেন সেই বাক্যবন্ধকেই।

রবিবার মধ্যরাতেই আরও ২৫ টাকা বাড়ে গ্যাসের দাম। ডিসেম্বরে দুদফায় গ্যাসের দাম বেড়েছিল ১০০ টাকা। আপাতত কলকাতায় ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম ৮৪৫ টাকা ৫০ পয়সা। ফেব্রুয়ারিতে তিন দফায় দাম বেড়ে হল ১০০ টাকা। অনেকই প্রশ্ন তুলছেন, মার্চে কি আরও এক-দু দফায় দামবে গ্যাসের দাম? এই অবস্থায় পেট্রোপণ্যের বেলাগাম দামকেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল।গত কয়েক কয়েক দিন বারংবার পথে নেমেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। প্রসঙ্গত তেলের দামে একটাকা কর ছাড়ও দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় শেষ চমকটা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। গ্যাস-পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে তিনি ই-স্কুটি চালিয়ে নবান্নে যান। ফেরেনও সেই ভাবেই। ক্রমেই পরিষ্কার হয়, আসন্ন নির্বাচনে পেট্রোপণ্যের দাম একটি ইস্যু হয়ে উঠতে চলেছে।

উল্লেখ্য কুকুরের ক্যান্সার ধরা পড়ায় দীর্ঘদিন তাই নিয়েই ব্যস্ত মিমি চক্রবর্তী। মিটিং মিছিলেও দেখা যাচ্ছে না তাঁকে।  এই অবস্থায় মিমির ট্যুইটটি কার্যত রাজনীতির উত্তপ্ত ময়দানে নতুন করে তাঁর এন্ট্রি। দেখার, আগামী দিনে ঠিক কতটা ঝাঁঝালো হয়ে ওঠেন মিমি।