‘অক্ষর শেডে’র চশমা! আনন্দ মাহিন্দ্রাকে যা বললেন খোদ স্পিনার!

#মুম্বই: দিন কয়েক ধরেই ‘অক্ষর শেডের’ চশমা নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে। আর এই চর্চার কেন্দ্রে রয়েছেন দেশের বিজনেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra)। আজকাল অক্ষর শেডের চশমা পরেই বাড়িতে খেলা দেখছেন তিনি। তাঁর কথায়, এই চশমা না কি লাকি চার্ম। বিষয়টি নিয়ে এবার আনন্দ মাহিন্দ্রাকে সাধুবাদ জানালেন স্পিনায় অক্ষর পটেল (Axar Patel) স্বয়ং। নেপথ্যের গল্পটা কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক!

বল হাতে মোতেরার মাটিতে তখন মস্তানি দেখাচ্ছেন অক্ষর। ব্রিটিশরা কার্যত ধরাশায়ী। সিরিজ জিতে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দোরগোড়ায় ভারত। এমন সময়ে অক্ষরের চশমা নিয়ে মাতামাতি করতে দেখা যায় আনন্দ মাহিন্দ্রাকে। Twitter-এ শিল্পপতি জানান, স্পিনার অক্ষর পটেলের পারফরম্যান্সে রীতিমতো মুগ্ধ তিনি। বোলিং’য়ের সময়ে একটি সানগ্লাস ব্যবহার করেন এই গুজরাতি স্পিনার। আনন্দ মাহিন্দ্রা জানতে চান, কোন ব্র্যান্ডের সানগ্লাস ব্যবহার করেন অক্ষর? নিশ্চয়ই এই চশমার কোনও কেরামতি রয়েছে! এর পর থেকে শুরু হয় চশমার খোঁজ। নেটিজেনরাও নানা মজার মন্তব্য করতে শুরু করেন।

শেষমেশ ‘অক্ষর শেডের’ চশমাটি হাতে পান মাহিন্দ্রা। Twitter-এ নতুন চশমার ছবিও পোস্ট করেন তিনি। সেই চশমা পরে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় T20 ম্যাচও দেখেন। অভিষেক টেস্ট সিরিজে অক্ষরের দুরন্ত বোলিংয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ট্যুইটে মাহিন্দ্রা লেখেন, প্রতিশ্রুতি রাখলাম। এবার অক্ষর শেডের চশমা চোখেই সেলফি তুললাম। বর্তমানে এটিই আমার গুড লাক চার্ম।

মুহর্তেই ভাইরাল হতে শুরু করে মাহিন্দ্রার ট্যুইট। ক্রিকেটপ্রেমীরাও সাধুবাদ জানিয়েছেন মাহিন্দ্রাকে। কথা রাখার জন্য সকলেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে নজর কেড়েছে অক্ষরের ট্যুইট। আনন্দ মাহিন্দ্রার ট্যুইট রিট্যুইট করে অক্ষর পটেল লেখেন, চশমাটিতে আপনাকে বেশ মানিয়েছে স্যার। এভাবে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

কিন্তু এই অক্ষর শেডের চশমা কোথা থেকে পাওয়া গেল? এবার এ নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়। শেষমেশ সব জল্পনার অবসান ঘটান দেশের বিজনেস টাইকুন। তিনি জানান, স্পোর্টিং টুল রেলিশ (Relish)-এর কাছ থেকে এই চশমা পেয়েছেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস এই চশমা জীবনে সাফল্য ও সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে। আপাতত এই চশমাতেই মজে দেশ।

উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড বধের এই সিরিজের অন্যতম পাওনা অক্ষর পটেল। বল হাতে ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের কাছে ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই বোলার। ৩টি টেস্টে ২৭টি উইকেট নেন। একই সঙ্গে কেরিয়ারের প্রথম তিন টেস্টেই চার বার ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। আর সেই কৃতিত্বেই যেন এক আলাদা মাত্রা যোগ করল আনন্দ মাহিন্দ্রার ট্যুইট।